সুরা ১০৮: আল কাউসার আয়াত সংখ্যা: ৩
{بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
إنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ إنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ}
১. এই সুরা ১০টি শব্দ দিয়ে গঠিত।
২. সুরাটির ১, ২ ও ৩ নং আয়াত পৃথক ১০টি হরফ বা অক্ষর দিয়ে গঠিত।
৩. এই সুরায় ১০টি হরফ বা অক্ষর শুধুমাত্র একবারই ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ت، ع ، ،ط، ي، ث، ه ، ح، ف، ش، ص
৪. প্রথম অক্ষর আলিফ (إ) একদম ১০ বার পাওয়া যায় এ সুরায়।
৫. শেষ অক্ষর র (ر)- যা তিনটি বাক্যের শেষে দেখা যায়। জানেন কি? আরবি বর্ণমালার ১০ নম্বর হরফটি হলো র (ر)!
৬. তিনটি বাক্যের শেষ তিনটি শব্দ (কাউসার, আনহার, আবতার) লেখা হয়েছে আলাদা আলাদা ১০টি হরফ/অক্ষর দিয়ে। অক্ষরগুলো হলো- ا، ل،ك، و، ث، ر، ن، ح، ب، ت
৭. তিনটি বাক্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা তিনটি শব্দ হলো- আতইনা, লিরব্বিকা, শানিয়াকা। একেবারে ১০টি আলাদা হরফ দিয়েই শব্দ তিনটি লেখা হয়েছে। হরফগুলো হলো- ا، ع، ط، ي، ن، ك، ل،ر،ب، ش
৮. তিনটি বাক্যের অবশিষ্ট প্রথম ৩টি শব্দ ইন্না (২বার), ফাসল্লি ও হুয়া লিখতে ১০টি হরফ-ই ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ا، ن، ا، ف، ص، ل، ا، ن، ه، و
৯. এই সুরার শুরুতে আছে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। যা মহাগ্রন্থের প্রথম সুরার প্রথম আয়াতও বটে (১:১)। বিসমিল্লাহ আয়াতটি লিখতেও ব্যবহার করা হয়েছে ১০টি পৃথক হরফ ( ب، س، م، ا، ل، ه، ر، ح، ن، ي )। এই বিসমিল্লাহ বাক্যের ডান বা বাম দিক থেকে গুনে আসলে ১০ম হরফ বা অক্ষরটি হলো র (ر); যা সুরা কাউসার এর গুরুত্বপূর্ণ একটি অক্ষর!
১০. এই সুরা শেষ হয়েছে র (ر) হরফ দিয়ে। গোটা মহাগ্রন্থে এমন ১০টি সুরাই পাওয়া যায়, যা শেষ হয়েছে র (ر) হরফ দিয়ে (সুরা নম্বর: ৫, ২২, ৩১, ৪২, ৫৪, ৬০, ৯৭, ১০০, ১০৩, ১০৮)। এই দশটি সুরার মধ্যে ধারাবাহিকভাবে দশম সূরাটি হলো সবচেয়ে ছোট সুরা- আল-কাউসার।
কাউসার সুরা থেকে (১০৮নং) কুরআনের শেষ পর্যন্ত র (ر) অক্ষর দিয়ে শেষ হয়েছে- এমন দশটি শব্দই পাওয়া যায়।
১১. র (ر) হরফটি আছে এমন ১০ম শব্দটি পাওয়া যায় বাকারার ৩নং আয়াতে (২:৩)। আর, এই ২:৩ আয়াতটি হলো মহাগ্রন্থের ১০ম আয়াত।
১২. কাউসার সুরার দুটি আয়াত শুরু হয়েছে ইন্না (إنَّا) শব্দ দিয়ে। যার অর্থ নিশ্চয়ই। ইন্না (إنَّا) শব্দটি প্রথম পাওয়া যায় সুরা বাকারার ৬নং আয়াতে (২:৬)।
মহাগ্রন্থের শুরু থেকে র (ر) হরফ যুক্ত ১০ম আয়াতটি হলো এই ২:৬ আয়াত।
১৩. ইন্না শব্দটির প্রথম হরফ আলিফ (ا) ১০ বার ব্যবহার করা হয়েছে এই ২:৬ আয়াতে।
১৪. এই সুরার মত আরো একটি সুরা শুরু ও শেষ হয়েছে ইন্না (إنَّا) ও এবং র (ر) দিয়ে। সেই সুরাটি হলো আল-কদর, ৯৭নং সুরা।
সুরা কদর ও সুরা কাউসারের মধ্যে আছে ১০টি সুরার পার্থক্য।
১৫. সুরা আল-কদরে দশম হরফ র (ر) দশবারই ব্যবহার করা হয়েছে।
১৬. সুরা আল-কদরের ইন্না (إنَّا) থেকে সুরা কাউসারের ইন্না (إنَّا) পর্যন্ত শুধু দশটা বাক্যই পাওয়া যায়, যা ইন্না (إنَّا) দিয়ে শুরু হয়েছে।
অতএব, যেকেউ নিজের মেধা দিয়ে কোনো সুরা লিখতে চায়, তাকে সবচেয়ে ছোট এই সুরার মতো গাণিতিক সমন্বয় করেই তা লিখতে হবে! যা চিন্তা করাও অসম্ভব!
Document download Link: https://drive.google.com/…/1ejB1saw9F1GnUv924UQ…/view…
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: মৌলিক গবেষণা ও তথ্য উদঘাটনের জন্য Quran Research ইউটিউব চ্যানেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।