শয়তানের দল

Al-Mujadila ৫৮:১৯

اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطٰنُ فَاَنْسٰهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ ؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطٰنِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ الشَّيْطٰنِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ

শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভূলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।

আল্লাহর দল

Al-Ma’idah ৫:৫৬

وَمَنْ يَّتَوَلَّ اللّٰهَ وَرَسُوْلَهٗ وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فَاِنَّ حِزْبَ اللّٰهِ هُمُ الْغٰلِبُوْنَ

আর যারা আল্লাহ তাঁর রসূল এবং বিশ্বাসীদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই আল্লাহর দল এবং তারাই বিজয়ী।

বিশ্লেষণ

মধ্যপ্রচ্যের লেবাননে ও বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল আছে , যার নাম হিজবুল্লাহ (আল্লাহর দল)। তদ্রুপ আমাদের দেশে আরো ও একটি দল আছে , নাম হিজবুত তাওহিদ (একত্ববাদের দল)। এই নাম করনের মাধ্যমে এরা নিজেদেরকে মহান আল্লাহর উর্ধ্বে স্থাপন করেছে, আল্লাহকে অক্ষম বানিয়ে ফেলেছে। তাদের ধারনা আল্লাহর নামে কথা বলার জন্য কাউকে প্রয়োজন। এরা শয়তানের দল , এরা আল্লাহর ক্ষমতায় ও পরকালে বিশ্বাস করেনা। এরা আল্লাহকে নিজের জন্য একচেটিয়া মনে করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুবিধার জন্য আল্লাহর নামটি ব্যবহার করে ইহজগতে স্বার্থ সিদ্ধির আশায়।
Al-Hajj ২২:৭৪

مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَقَوِيٌّ عَزِيْزٌ

২২:৭৪ তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, মহাপরাক্রমশীল।
Az-Zumar ৩৯:৬৭

وَمَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدْرِهٖ ۖ وَالْاَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيٰمَةِ وَالسَّمٰوٰتُ مَطْوِيّٰتٌۢ بِيَمِيْنِهٖ ؕ سُبْحٰنَهٗ وَتَعٰلٰي عَمَّا يُشْرِكُوْنَ

{৩৯:৬৭ তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি। কেয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী থাকবে তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আসমান সমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তাঁর ডান হাতে। তিনি সুপ্রিম পাওয়ারের মালিক । আর এরা যাকে শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।}

আল্লাহ জিবরীলকে পাঠাননি এই ঘোষণা দেওয়ার জন্য যে , অমুক দলটি আল্লাহর দল বা এটি ব্যতীত এবং এটি ছাড়া অন্যরা শয়তানের দল। কিন্তু এই দলটি, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক আকাঙ্খার জন্য, আল্লাহর নাম ব্যাবহার করেছে । আল্লাহর নামের সাথে খেলা থেকে দূরে থাকার জন্য এরা তাদের দলের যে কোনও জাগতিক নাম রাখতে পারতেন কিন্তু নেতা তা করেননি।
Al-Anfal ৮:২

اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ اِذَا ذُكِرَ اللّٰهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَاِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ اٰيٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِيْمَانًا وَّعَلٰي رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ ۚۖ

৮:২ যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় রবের প্রতি ভরসা পোষণ করে।

এরা যখন আল্লাহর নামে কথা বলে , তখন এরা আল্লাহর সাথে নিজেকে শরিক করে। এটি এমন একটি দল যার শিরোনাম আল্লাহর প্রতি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবিচার।
Luqman ৩১:১৩

وَاِذْ قَالَ لُقْمٰنُ لِابْنِهٖ وَهُوَ يَعِظُهٗ يٰبُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللّٰهِ ؕؔ اِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ

৩১:১৩ যখন লোকমান উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বললঃ হে বৎস, আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা অন্যায়।
Al-An’am ৬:২১

وَمَنْ اَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرٰي عَلَي اللّٰهِ كَذِبًا اَوْ كَذَّبَ بِاٰيٰتِهٖ ؕ اِنَّهٗ لَا يُفْلِحُ الظّٰلِمُوْنَ

৬:২১ আর যে, আল্লাহর নামে মিথ্যা উদ্ভাবন করে বা তাঁর আয়াত সমূহকে মিথ্যা বলে, তার চাইতে বড় জালেম কে? নিশ্চয় জালেমরা সফলকাম হবে না।

হিজবুল্লাহ নামধারীরাই শয়তানের একমাত্র দল নয়। বর্তমানের মুসলমান নামধারী প্রায় সকলেই শয়তানের দলের মধ্যে রয়েছে, তারা ছিল এবং এখনও রয়েছে। কেন? এর উত্তর জানতে হলে জানতে হবে কাদেরকে আল্লাহ শয়তানের দল বলেছেন।
Al-Mujadila ৫৮:১৯

اِسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطٰنُ فَاَنْسٰهُمْ ذِكْرَ اللّٰهِ ؕ اُولٰٓئِكَ حِزْبُ الشَّيْطٰنِ ؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ الشَّيْطٰنِ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ

৫৮:১৯ শয়তান তাদেরকে বশীভূত করে নিয়েছে, অতঃপর আল্লাহর স্মরণ (ذِكْرَ اللَّهِ ) ভূলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।

আল্লাহর স্মরন বলতে তাসবিহ গুনে আল্লাহর নাম জপা নয় , যাকে অনেকে জিকর বলে। আর যত বড় পাপীই হোক আল্লাহর নাম কখনো ভুলানো সম্ভব না। যেটা ভুলানো সম্ভব এবং শয়তানের দলের সকল সদস্যরা ভুলে বসে আছে , তা হল- ‘জিকরি আল্লাহি ‘অর্থাৎ আল্লাহর কিতাব কুরআন , যাতে আছে আল্লাহর আদেশ ও নিষেধ।

৩৮:১ وَالْقُرْآنِ ذِي الذِّكْرِ

এবং স্মরনেপূর্ণ (জিকর) কুরআন।

লোভ কিংবা ভয় দিয়েই মানুষকে বশীভূত করা সম্ভব। এখন জানব শয়তান কিভাবে বশীভূত করে আল্লাহর স্মরন তথা আল্লাহর নির্দেশ ভুলিয়ে দেয়:

১) মিথ্যা প্রতিশ্রুতি

শয়তান শুরু করেছিল আদমকে দিয়ে। আদমকে কিভাবে বশীভূত করে আল্লাহর নির্দেশকে ভুলিয়ে দিয়ে নিষিদ্ধ শাজারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল মনে আছে? ফেরেশতা ও অমর হওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে:
Al-A’raf ৭:২০

فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطٰنُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وٗرِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْاٰتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهٰكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هٰذِهِ الشَّجَرَةِ اِلَّاۤ اَنْ تَكُوْنَا مَلَكَيْنِ اَوْ تَكُوْنَا مِنَ الْخٰلِدِيْنَ

অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করল, যাতে তাদের অঙ্গ, যা তাদের কাছে গোপন ছিল, তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী।

{৭:২০… সে বললঃ তোমাদের পালনকর্তা তোমাদেরকে এ শাজার থেকে নিষেধ করেননি; তবে তা এ কারণে যে, তোমরা না আবার মালাক (ফেরেশতা) হয়ে যাও-কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী।

আজ শয়তান জান্নাতের চাবি, শাফায়াত, পাপ মোচনের দোয়া ও তরিকা , অল্প কয়েক দিনের দোযখ বাসের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুরআনের নির্দেশ ভুলিয়ে দিয়েছে। কোরানিক নির্দেশের বিপরীতে সত্য কথা বলতে মানুষ ভুলে গেছে, অন্যায় অবিচার দুর্নীতি আজ সামাজিক আদর্শ।

২)দারিদ্রতার ভয়

Al-Baqarah ২:২৬৮

اَلشَّيْطٰنُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَاْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَآءِ ۚ وَاللّٰهُ يَعِدُكُمْ مَّغْفِرَةً مِّنْهُ وَفَضْلًا ؕ وَاللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ ۖۙ

২:২৬৮ শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সুবিজ্ঞ।

৩) মন্দ কাজ শোভন
Al-An’am ৬:৪৩

فَلَوْلَاۤ اِذْ جَآءَهُمْ بَاْسُنَا تَضَرَّعُوْا وَلٰكِنْ قَسَتْ قُلُوْبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطٰنُ مَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

৬:৪৩… বস্তুতঃ তাদের অন্তর কঠোর হয়ে গেল এবং শয়তান তাদের কাছে সুশোভিত করে দেখাল, যে কাজ তারা করছিল।

৪) অপব্যায়কারী
Al-Isra’ ১৭:২৭

اِنَّ الْمُبَذِّرِيْنَ كَانُوْۤا اِخْوَانَ الشَّيٰطِيْنِ ؕ وَكَانَ الشَّيْطٰنُ لِرَبِّهٖ كَفُوْرًا

১৭:২৭ নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।

৫) মদ ও জুয়া

Al-Ma’idah ৫:৯১

اِنَّمَا يُرِيْدُ الشَّيْطٰنُ اَنْ يُّوْقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَآءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِ وَعَنِ الصَّلٰوةِ ۚ فَهَلْ اَنْتُمْ مُّنْتَهُوْنَ

৫:৯১ শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে।

কিয়ামতের দিনে শয়তানের দলের পরিনতি-

Al-An’am ৬:১২৮

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيْعًا ۚ يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُمْ مِّنَ الْاِنْسِ ۚ وَقَالَ اَوْلِيٰٓؤُهُمْ مِّنَ الْاِنْسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَّبَلَغْنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِيْۤ اَجَّلْتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثْوٰىكُمْ خٰلِدِيْنَ فِيْهَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰهُ ؕ اِنَّ رَبَّكَ حَكِيْمٌ عَلِيْمٌ

যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে অনুগামী করে নিয়েছ। তাদের মানব বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে ফল লাভ করেছি। আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি। আল্লাহ বলবেনঃ আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। তথায় তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; কিন্তু যখন চাইবেন আল্লাহ। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী।

Al-An’am ৬:১২৯

وَكَذٰلِكَ نُوَلِّيْ بَعْضَ الظّٰلِمِيْنَ بَعْضًۢا بِمَا كَانُوْا يَكْسِبُوْنَ

এমনিভাবে আমি পাপীদেরকে একে অপরের সাথে যুক্ত করে দেব তাদের কাজকর্মের কারণে।

Al-An’am ৬:১৩০

يٰمَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ اَلَمْ يَاْتِكُمْ رُسُلٌ مِّنْكُمْ يَقُصُّوْنَ عَلَيْكُمْ اٰيٰتِيْ وَيُنْذِرُوْنَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هٰذَا ؕ قَالُوْا شَهِدْنَا عَلٰۤي اَنْفُسِنَا وَغَرَّتْهُمُ الْحَيٰوةُ الدُّنْيَا وَشَهِدُوْا عَلٰۤي اَنْفُسِهِمْ اَنَّهُمْ كَانُوْا كٰفِرِيْنَ

হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে পয়গম্বরগণ আগমন করেনি? যাঁরা তোমাদেরকে আমার বিধানাবলী বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের এ দিনের সাক্ষাতের ভীতি প্রদর্শন করতেন? তারা বলবেঃ আমরা স্বীয় গোনাহ স্বীকার করে নিলাম। পার্থিব জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে। তারা নিজেদের বিরুদ্ধে স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা কাফের ছিল।

৬:১২৮-১৩০ যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেন, হে জিন সম্প্রদায়, তোমরা মানুষদের মধ্যে অনেককে অনুগামী করে নিয়েছ। তাদের মানব বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে ফল লাভ করেছি। আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেন, আমরা তাতে উপনীত হয়েছি। আল্লাহ বলবেনঃ আগুন হল তোমাদের বাসস্থান। তথায় তোমরা চিরকাল অবস্থান করবে; কিন্তু যখন চাইবেন আল্লাহ। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা প্রজ্ঞাময়, মহাজ্ঞানী। এমনি ভাবে আমি পাপীদেরকে একে অপরের সাথে যুক্ত করে দেব তাদের কাজকর্মের কারণে। হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়, তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য থেকে রাসুলগণ আগমন করেনি? যাঁরা তোমাদেরকে আমার বিধানাবলী বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের এ দিনের সাক্ষাতের ভীতি প্রদর্শন করতেন? তারা বলবেঃ আমরা স্বীয় গোনাহ স্বীকার করে নিলাম। পার্থিব জীবন তাদেরকে প্রতারিত করেছে। তারা নিজেদের বিরুদ্ধে স্বীকার করে নিয়েছে যে, তারা কাফের ছিল।
Al-A’raf ৭:৩৮

قَالَ ادْخُلُوْا فِيْۤ اُمَمٍ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِكُمْ مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ فِي النَّارِ ؕ كُلَّمَا دَخَلَتْ اُمَّةٌ لَّعَنَتْ اُخْتَهَا ؕ حَتّٰۤي اِذَا ادَّارَكُوْا فِيْهَا جَمِيْعًا ۙ قَالَتْ اُخْرٰىهُمْ لِاُوْلٰىهُمْ رَبَّنَا هٰۤؤُلَآءِ اَضَلُّوْنَا فَاٰتِهِمْ عَذَابًا ضِعْفًا مِّنَ النَّارِ ؕ قَالَ لِكُلٍّ ضِعْفٌ وَّلٰكِنْ لَّا تَعْلَمُوْنَ

৭:৩৮ আল্লাহ বলবেনঃ তোমাদের পূর্বে জিন ও মানবের যেসব সম্প্রদায় চলে গেছে, তাদের সাথে তোমরাও জাহান্নামে যাও। যখন এক সম্প্রদায় প্রবেশ করবে; তখন অন্য সম্প্রদায়কে অভিসম্পাত করবে। এমনকি, যখন তাতে সবাই পতিত হবে, তখন পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের সম্পর্কে বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক এরাই আমাদেরকে বিপথগামী করেছিল। অতএব, আপনি তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন। আল্লাহ বলবেন প্রত্যেকেরই দ্বিগুণ; তোমরা জান না।
Al-Ahqaf ৪৬:২০

وَيَوْمَ يُعْرَضُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا عَلَي النَّارِ ؕ اَذْهَبْتُمْ طَيِّبٰتِكُمْ فِيْ حَيَاتِكُمُ الدُّنْيَا وَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهَا ۚ فَالْيَوْمَ تُجْزَوْنَ عَذَابَ الْهُوْنِ بِمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُوْنَ فِي الْاَرْضِ بِغَيْرِ الْحَقِّ وَبِمَا كُنْتُمْ تَفْسُقُوْنَ

৪৬:২০ যেদিন কাফেরদেরকে জাহান্নামের কাছে উপস্থিত করা হবে সেদিন বলা হবে, তোমরা তোমাদের সুখ পার্থিব জীবনেই নিঃশেষ করেছ এবং সেগুলো ভোগ করেছ সুতরাং আজ তোমাদেরকে অপমানকর আযাবের শাস্তি দেয়া হবে; কারণ, তোমরা পৃথিবীতে অন্যায় ভাবে অহংকার করতে এবং তোমরা পাপাচার করতে।

শয়তান এবং জিনের বিষয়ে বার্জাখের অদৃশ্য সম্পর্কে এগুলি সবচেয়ে করুণাময় আল্লাহর হাদিস। আমরা কুরআনে আসা সমস্ত কিছুর প্রতি আমাদের বিশ্বাসের অংশ হিসাবে এটি বিশ্বাস করি।
Al-A’raf ৭:১৭৯

وَلَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْاِنْسِ ۫ۖ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا يَفْقَهُوْنَ بِهَا ۫ وَلَهُمْ اَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُوْنَ بِهَا ۫ وَلَهُمْ اٰذَانٌ لَّا يَسْمَعُوْنَ بِهَا ؕ اُولٰٓئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ

৭:১৭৯ আর আমি ছেড়ে রেখেছি জাহান্নামের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *