আমাদের সমাজে অশালীন কথা, অনর্থক আলাপচারিতা, অশ্লীলতা, বেহায়পনা, বেলেল্লাপনা, Immorality, indecencyকে এক কথায় ‘ফাহেশা’ বলা হয়। আমরাও বলে থাকি মাঝেমধ্যে। তাই নয় কি?

কিন্তু এই ফাহেশা আসলে কি?
এটা যেহেতু কুর’আনের শব্দ… অর্থাৎ, স্বয়ং মহান আল্লাহ ফাহেশা শব্দটি উল্লেখ করেছেন, তিনি আসলে কি বলেছেন?
তিনি আমাদের কি জানিয়েছেন?
চলুন দেখা যাক।
মহাগ্রন্থের অনুবাদ, ব্যাখ্য-বিশ্লেষণ থেকে ফাহিশা (فَاحِشَةً) অর্থ দাঁড়ায়- জঘন্য অপকর্ম।
যখন শুধু ফাহিশা (فَاحِشَةً) পাওয়া যাবে, তার অর্থ জঘন্য অপকর্ম।
যখন আল-ফাহ্‌শায়ি (الْفَحْشَاۤءِ) পাওয়া যাবে, তর অর্থ- সুনির্দিষ্ট একটি জঘন্য অপকর্ম।
আবার যখন আল-ফাওয়াহিশা (ٱلْفَوَٰحِشَ) পাবেন, তার অর্থ- অনেকগুলো জঘন্য অপকর্ম যা বহুবচন।
৬:১৫১ ও ৭:৩৩
অনুযায়ী আল-ফাওয়াহিশা (ٱلْفَوَٰحِشَ) দুই ধরনের-
১.প্রকাশ্য ও
২. গোপন।
প্রকাশ্য ফাহিশা গুলো হলো:
যেসব ‘জঘন্য অপকর্ম’ মুমিনরা ভুল করে করে ফেলে, তা প্রকাশ্য হওয়ার কথা।
বাপ-চাচা-দাদাদের বিয়ে করা নারীদের বিয়ে করা প্রকাশ্য অপকর্ম।
আগে থেকে চলে আসা বিভিন্ন ধরনের (অনির্দিষ্ট) কাজ যা পূর্বপুরুষরা করতো এবং সেসব কাজ আল্লাহ নির্দেশ—এমন দাবি করা হয়।
অন্যদিকে গোপন ফাহিশা হলো:

জিনা:
যে পুরুষ ধর্ষণ করে এবং বিবাহিত নারীর ইচ্ছায় তার সঙ্গে যৌনসম্ভোগ করা।
সমকামী পুরুষের পরষ্পরের যৌনকর্ম।
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ফাহিশা (الْفَحْشَاۤءِ)/ (ٱلْفَوَٰحِشَ) কোনগুলো?
কিছু ক্ষেত্রে মহাগ্রন্থে সরাসরি আল-ফহাশায়ি উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে “জঘন্য অপকর্মের” বর্ণনা দিয়ে তাকে সরাসরি ফাহিশা (فَاحِشَةً) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে; যা নিম্নরূপ।
লুতের জাতির পুরুষদের সমকামিতা ৭:৮০, ২৭:৫৪, ২৯:২৮
বিবাহিত নারীর সঙ্গে অন্য পুরুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন ১২:২৪
ধর্ষণ বা আয-জিনা (الزِّنٰىٓ) ১৭:৩২
পিতৃপুরুষদের বিয়ে করা নারীদের ফের বিয়ে করা ৪:২২

২. এবার চলুন, বিভিন্ন আয়াত থেকে ফাহিশা ও আল-ফাহিশা’র ব্যবহার দেখি।
২:১৬৯
সে-তো শুধু (اِنَّمَا) সে তোমাদের নির্দেশ দেয় অজ্ঞতার অন্যায় ও জঘন্য অপকর্মের (بِالسُّوْۤءِ وَالْفَحْشَاۤءِ) আর যেন তোমরা বলো আল্লাহকে নিয়ে যা তোমরা জানো না (وَاَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ)।

৩:১৩৫
আর তারা যখন করে জঘন্য অপকর্ম (وَالَّذِيْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً) অথবা নিজেদের ওপর নির্যাতন (اَوْ ظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ) আল্লাহকে স্মরণ হলে (ذَكَرُوا اللّٰهَ) অতঃপর তারা ক্ষমা চায় তাদের অন্যায়ের জন্য (فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْۗ) আর আল্লাহ ছাড়া কে ক্ষমা করে ভুল গুলো/অন্যায় গুলো (وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗ); আর যা করেছে তাতে অটল থাকেনা (وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا) যখন তারা জানতে পারে (وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ)।

৩.
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, “জঘন্য অপকর্ম” বা ফাআমাদের সমাজে অশালীন কথা, অনর্থক আলাপচারিতা, অশ্লীলতা, বেহায়পনা, বেলেল্লাপনা, Immorality, indecencyকে এক কথায় ‘ফাহেশা’ বলা হয়। আমরাও বলে থাকি মাঝেমধ্যে। তাই নয় কি?
কিন্তু এই ফাহেশা আসলে কি? এটা যেহেতু কুর’আনের শব্দ… অর্থাৎ, স্বয়ং মহান আল্লাহ ফাহেশা শব্দটি উল্লেখ করেছেন, তিনি আসলে কি বলেছেন? তিনি আমাদের কি জানিয়েছেন? চলুন দেখা যাক।
মহাগ্রন্থের অনুবাদ, ব্যাখ্য-বিশ্লেষণ থেকে ফাহিশা (فَاحِشَةً) অর্থ দাঁড়ায়- জঘন্য অপকর্ম।
যখন শুধু ফাহিশা (فَاحِشَةً) পাওয়া যাবে, তার অর্থ জঘন্য অপকর্ম।
যখন আল-ফাহ্‌শায়ি (الْفَحْشَاۤءِ) পাওয়া যাবে, তর অর্থ- সুনির্দিষ্ট একটি জঘন্য অপকর্ম।
আবার যখন আল-ফাওয়াহিশা (ٱلْفَوَٰحِشَ) পাবেন, তার অর্থ- অনেকগুলো জঘন্য অপকর্ম যা বহুবচন। (বিস্তারিত পড়ুন ও জানুন এখানে)
৬:১৫১ ও ৭:৩৩ অনুযায়ী আল-ফাওয়াহিশা (ٱلْفَوَٰحِشَ) দুই ধরনের- প্রকাশ্য ও গোপন।
প্রকাশ্য ফাহিশাগুলো হলো:
যেসব ‘জঘন্য অপকর্ম’ মুমিনরা ভুল করে করে ফেলে, তা প্রকাশ্য হওয়ার কথা।
বাপ-চাচা-দাদাদের বিয়ে করা নারীদের বিয়ে করা প্রকাশ্য অপকর্ম।
আগে থেকে চলে আসা বিভিন্ন ধরনের (অনির্দিষ্ট) কাজ যা পূর্বপুরুষরা করতো এবং সেসব কাজ আল্লাহ নির্দেশ—এমন দাবি করা হয়।
অন্যদিকে গোপন ফাহিশা হলো:
জিনা: যে পুরুষ ধর্ষণ করে এবং বিবাহিত নারীর ইচ্ছায় তার সঙ্গে যৌনসম্ভোগ করা।
সমকামী পুরুষের পরষ্পরের যৌনকর্ম।
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ফাহিশা (الْفَحْشَاۤءِ)/ (ٱلْفَوَٰحِشَ) কোনগুলো?
কিছু ক্ষেত্রে মহাগ্রন্থে সরাসরি আল-ফহাশায়ি উল্লেখ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে “জঘন্য অপকর্মের” বর্ণনা দিয়ে তাকে সরাসরি ফাহিশা (فَاحِشَةً) বলে চিহ্নিত করা হয়েছে; যা নিম্নরূপ।
লুতের জাতির পুরুষদের সমকামিতা ৭:৮০, ২৭:৫৪, ২৯:২৮
বিবাহিত নারীর সঙ্গে অন্য পুরুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন ১২:২৪
ধর্ষণ বা আয-জিনা (الزِّنٰىٓ) ১৭:৩২
পিতৃপুরুষদের বিয়ে করা নারীদের ফের বিয়ে করা ৪:২২
২.
এবার চলুন, বিভিন্ন আয়াত থেকে ফাহিশা ও আল-ফাহিশা’র ব্যবহার দেখি।
২:১৬৯ সে-তো শুধু (اِنَّمَا) সে তোমাদের নির্দেশ দেয় অজ্ঞতার অন্যায় ও জঘন্য অপকর্মের (بِالسُّوْۤءِ وَالْفَحْشَاۤءِ) আর যেন তোমরা বলো আল্লাহকে নিয়ে যা তোমরা জানো না (وَاَنْ تَقُوْلُوْا عَلَى اللّٰهِ مَا لَا تَعْلَمُوْنَ)।
৩:১৩৫ আর তারা যখন করে জঘন্য অপকর্ম (وَالَّذِيْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً) অথবা নিজেদের ওপর নির্যাতন (اَوْ ظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ) আল্লাহকে স্মরণ হলে (ذَكَرُوا اللّٰهَ) অতঃপর তারা ক্ষমা চায় তাদের অন্যায়ের জন্য (فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْۗ) আর আল্লাহ ছাড়া কে ক্ষমা করে ভুলগুলো/অন্যায়গুলো (وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗ); আর যা করেছে তাতে অটল থাকেনা (وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا) যখন তারা জানতে পারে (وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ)।

৩. গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, “জঘন্য অপকর্ম” বা ফাহিশা থেকে বাঁচার উপায় কি?
মহাগ্রন্থে বলা হয়েছে:
৩:১৩৫
আর তারা যখন করে “জঘন্য অপকর্ম” (وَالَّذِيْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً) অথবা নিজেদের ওপর নির্যাতন (اَوْ ظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ) আল্লাহকে স্মরণ হলে (ذَكَرُوا اللّٰهَ) অতঃপর তারা ক্ষমা চায় তাদের অন্যায়ের জন্য (فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْۗ) আর আল্লাহ ছাড়া কে ক্ষমা করে ভুলগুলো/অন্যায়গুলো (وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗ); আর যা করেছে তাতে অটল থাকেনা (وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا) যখন তারা জানতে পারে (وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ)।

২৯:৪৫
বর্ণনা করো (ٱتْلُ) যা ওহি করা হয়েছে তোমাকে (مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ) আল-কিতাবে (مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ) এবং যোগাযোগ-কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করো (وَاَقِمِ الصَّلٰوةَۗ ); নিশ্চয়ই যোগাযোগের কার্যক্রম “জঘন্য অপকর্ম”ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে (اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَاۤءِ وَالْمُنْكَرِ); আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ (وَلَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ ۗ); আর তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন (وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ)।

অর্থাৎ
‘আস-সালাওয়াত’ বা যোগাযোগ কার্যক্রম হলো ‘আল-ফাহশায়ি ওয়াল মুনকার’ থেকে বাঁচার পথ ও পদ্ধতি। সব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর যিকর! বা মহান রবের আদেশ-নির্দেশ-উপদেশ স্মরণ রাখা। নিশ্চিতভাবে আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ।

৪.যেসব অন্যায় কাজ ও ফাহিশা আলাদা বিষয়।

৫. ফাওয়াহিশা বনাম কবিরা ইসম {(كَبٰۤىِٕرَ الْاِثْمِ) বনাম (الْفَوَاحِشَ)} অর্থাৎ, জঘন্য অপকর্ম বনাম বড় স্বেচ্ছা-অপরাধ

৬. আল-ফাহিশার নির্দেশনা ও উসকানি আসে কোথা থেকে?

৭. সর্বশেষ ইঙ্গিতপূর্ণ বিশ্লেষণ ও একটি প্রশ্ন:
জিনা বা ধর্ষণ, বিবাহিত মেয়ের ইচ্ছায় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, পুরুষের সমকামী আচরণ (সে হিসেবে বলাৎকার) এবং পিতৃপুরুষদের বিয়ে করা নারীদের ফের বিয়ে করা সুস্পষ্ট ফাহিশা বা জঘন্য অপকর্ম।
পাশাপাশি, মহান আল্লাহর নামে এমন কিছু বলা, পালন করা—যা অতীত থেকেই হয়ে আসছে, কিন্তু মহাগ্রন্থে তার কোনো প্রমাণ নাই, দলিল নাই, নির্দেশনা নাই, সেসবও ফাহিশা। এই ধারায় নতুন করে আরও ফাহিশা ভবিষ্যতে আসবে বৈকি!
এর বাইরে, বিভিন্ন দেশে, সমাজে, পত্র-পত্রিকায়, অনলাইনে, রেডিও-টিভি-চলচ্চিত্রের দৃশ্য, রগরগে বিজ্ঞাপনে যা দেখা যায়, তা কি কুর’আন ঘোষিত ফাহিশা’র মধ্যে পড়ে?
ফাহিশা বা জঘন্য কর্মের বৈশিষ্ট্য এবং সু-নির্দিষ্ট ফাহিশা’র বাইরে আর কোনো অপকর্মকে ‘ফাহিশা’ বলা যাবে কি?
ঠিক যেমন, যা কিছু ‘হারাম’ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, তার বাইরে কিছু হারাম বা নিষিদ্ধ হতে পারে কি?
আপনি কি মনে করেন?
ফাহিশা থেকে বাঁচার উপায় কি?
মহাগ্রন্থে বলা হয়েছে:
৩:১৩৫
আর তারা যখন করে “জঘন্য অপকর্ম” (وَالَّذِيْنَ اِذَا فَعَلُوْا فَاحِشَةً) অথবা নিজেদের ওপর নির্যাতন (اَوْ ظَلَمُوْٓا اَنْفُسَهُمْ) আল্লাহকে স্মরণ হলে (ذَكَرُوا اللّٰهَ) অতঃপর তারা ক্ষমা চায় তাদের অন্যায়ের জন্য (فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْۗ) আর আল্লাহ ছাড়া কে ক্ষমা করে ভুলগুলো/অন্যায়গুলো (وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اللّٰهُ ۗ); আর যা করেছে তাতে অটল থাকেনা (وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلٰى مَا فَعَلُوْا) যখন তারা জানতে পারে (وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ)।

২৯:৪৫
বর্ণনা করো (ٱتْلُ) যা ওহি করা হয়েছে তোমাকে (مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ) আল-কিতাবে (مَآ اُوْحِيَ اِلَيْكَ) এবং যোগাযোগ-কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা করো (وَاَقِمِ الصَّلٰوةَۗ ); নিশ্চয়ই যোগাযোগের কার্যক্রম “জঘন্য অপকর্ম”ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে (اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَاۤءِ وَالْمُنْكَرِ); আর নিশ্চিতভাবে আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ (وَلَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ ۗ); আর তোমরা যা করো আল্লাহ তা জানেন (وَاللّٰهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ)।
অর্থাৎ
আস-সালাওয়াত’ বা যোগাযোগ কার্যক্রম হলো ‘আল-ফাহশায়ি ওয়াল মুনকার’ থেকে বাঁচার পথ ও পদ্ধতি। সব কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর যিকর! বা মহান রবের আদেশ-নির্দেশ-উপদেশ স্মরণ রাখা। নিশ্চিতভাবে আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *