আল্লাহ আমাদের যে সকল প্রশ্ন করবে তার মধ্যে ১৫ টি দেওয়া হলো । এবার চলুন দেখি আমার, আপনার উত্তর রেডি আছে তো?
(১)কুরআন সম্পর্কে সকলকে প্রশ্ন করা হবে।(সুরা ঝুখরুফ ৪৩, আয়াত ৪৪)
(২) প্রশ্ন করা হবে মুত্তাক্বীদেরকে যে,তোমাদের রব কি নাযিল করেছিলেন?তারা বলবেঃ মহাকল্যাণ। (অর্থাৎ কোরআন) (সুরা নাহল ১৬,আয়াত ৩০)
(৩)প্রশ্ন করা হবে আয়াত সম্পর্কে,তোমাদের নিকট কি আমার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনানো হত না?(সুরা মুমিনুন ২৩,আয়াত ১০৫-১০৬)
(৪) প্রশ্ন করা হবে আয়াত সম্পর্কে যে,তোমাদের কাছে কি তোমাদের মধ্য হতে রছূলগণ আসেনি যারা তোমাদের কাছে আমার আয়াত সমূহ বর্ণনা করতেন? (সুরা আনআম ৬,আয়াত ১৩০)
(৫) প্রশ্ন করা হবে,আয়াত প্রত্যাখ্যান করে অন্যকিছু করেছিলে কি? (সুরা নামল ২৭,আয়াত ৮৪)
(৬)প্রশ্ন করা হবে,আয়াত না মেনে অহংকার করেছিলে কি? আমার আয়াত গুলো কি তোমাদের কাছে পাঠ করা হয়নি?(সুরা যাছিয়া ৪৫,আয়াত ৩১) (লক্ষ্য করুন,আল্লাহ অন্য কোনো বাণীর কথা জিজ্ঞাসা করবেন না)।
(৭)প্রশ্ন করা হবে সমস্ত মানুষকে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে এবং সমস্ত রছূলগণকেও আল্লাহর বাণী পৌঁছে দেয়া সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে। (সুরা আরাফ ৭, আয়াত ৬)
(৮) প্রশ্ন করা হবে সম্পদ ও মিথ্যা উদ্ভাবন সম্পর্কে। আল্লাহ নিজেই নিজের শপথ করে বললেন যে, তাদেরকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হবে।(সুরা নাহল,১৬, আয়াত ৫৬)
(৯) প্রশ্ন করা হবে নিয়ামত,রিযিক,প্রাচুর্য ও সম্পদ সম্পর্কে।(সুরা তাকাছুর ১০২,১-৮)
(১০) প্রশ্ন করা হবে ভোগবিলাসপূর্ণ জীবন সম্পর্কে। যেমন- ভোগবিলাসপূর্ণ জীবনধারণ,গল্পগুজব,বিত্ত সম্পদশালীরা আল্লাহর আয়াতের প্রতি অহংকার, এবং আল্লাহর বাণী নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করে অন্য যা কিছু মান্য করে চলে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবশ্য অবশ্যই প্রশ্ন করবেন)।(সুরা মুমিনুন ২৩,আয়াত ৬৪-৬৮)
(১১) প্রশ্ন করা হইবে,মানুষ যা কিছু করে সে সম্পর্কে।(সুরা নাহল ১৬,আয়াত ৯৩)
(১২) প্রশ্ন করা হবে সকলকে তাদের কাজকর্ম সম্পর্কে। এই আয়াতে আল্লাহ নিজেই নিজের কছম করে কথাটা বলেছেন)।(সুরা হিজর ১৫,আয়াত ৯২:৯৩)
(১৩) প্রশ্ন করা হবে দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে যে, জীবনে সৎকর্ম করেছো কিনা?(সুরা ফাতির ৩৫,আয়াত ৩৭)
(১৪) প্রশ্ন করা হবে এতিমের সম্পদ ও অঙ্গিকার বা ওয়াদা সম্পর্কে।(সুরা বনি ইছরাঈল ১৭,আয়াত ৩৪)
(১৫) প্রশ্ন করা হবে কান,চক্ষু ও অন্তর সম্পর্কে।(সুরা বনি ইছরাঈল ১৭,আয়াত ৩৬)
আমরা গোড়ামি ধরে রাখতে পছন্দ করি।আমরা কুরআন না জেনে,না বুঝে যত অজ্ঞ থাকব,ততই ধর্মব্যবসায়ীদের লাভ!আমাদের অজ্ঞতাই ধর্ম ব্যবসায়ীদের বড় পুঁজি।আমরা কোরআনের আয়াত নিয়ে চিন্তা না করে,চিন্তা করি, নবী কিসের তৈরি?
নবী কয়টা বিয়ে করছে?
কি খাইছে?
কেমন ইস্তেঞ্জা করছে ইত্যাদি ইত্যাদি???
হাসানাহ বনাম সাইয়্যিাত
ভালো দিয়ে মন্দকে প্রতিহত করা।
১.Al-Anfal 8:37)
لِيَمِيزَ ٱللَّهُ ٱلْخَبِيثَ مِنَ ٱلطَّيِّبِ وَيَجْعَلَ ٱلْخَبِيثَ بَعْضَهُۥ عَلَىٰ بَعْضٍ فَيَرْكُمَهُۥ جَمِيعًا فَيَجْعَلَهُۥ فِى جَهَنَّمَۚ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْخَٰسِرُونَ
আল্লাহ পৃথক করেন মন্দকে ভাল হতে আর মন্দের কতককে কতকের উপর রাখবেন এবং সেগুলোকে একসাথে স্তূপ করবেন। এরপর তা জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।
২.Ash-Shura 42:40)
وَجَزَٰٓؤُا۟ سَيِّئَةٍ سَيِّئَةٌ مِّثْلُهَاۖ فَمَنْ عَفَا وَأَصْلَحَ فَأَجْرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ
আর মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ। অতঃপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপোস নিস্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর নিকট রয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদের পছন্দ করেন না।
৩.Al-Mu’minun 23:96)
ٱدْفَعْ بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ ٱلسَّيِّ
মন্দের মুকাবিলা কর যা উত্তম তাই দিয়ে,
৪.Al-Baqarah 2:81)
بَلَىٰ مَن كَسَبَ سَيِّئَةً وَأَحَٰطَتْ بِهِۦ خَطِيٓـَٔتُهُۥ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِد
যে মন্দ উপার্জন করবে এবং তার পাপ তাকে বেষ্টন করে নেবে, তারাই আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে হবে স্থায়ী।
৫.Fussilat 41:34)
وَلَا تَسْتَوِى ٱلْحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُۚ ٱدْفَعْ بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِى بَيْنَكَ وَبَيْنَهُۥ عَدَٰوَةٌ كَأَنَّهُۥ وَلِىٌّ حَمِيمٌ
আর ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত কর তা দ্বারা যা উৎকৃষ্টতর, ফলে তোমার ও যার মধ্যে শত্রুতা রয়েছে সে যেন হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।