ঈমান শব্দের অর্থ কি?

ঈমান অর্থঃ
১.স্বীকৃতি প্রদান করা
২.বিশ্বাস
৩.নিরাপত্তা
৪.নির্ভয়
৫.আস্থা
৬.বিনা প্রশ্নে কোন বিষয় বিশ্বাস স্হাপন করা ইত্যাদি অর্থ বোঝাতে ধাতু টি ব্যবহার হয়েছে। এবং যাকে বিশ্বাস করা যায় তার কাছেই নিরাপদ। আমানত শব্দটিও এই ধাতু থেকে এসেছে। বিশ্বাস করে কিছু রাখা।

ইমান শব্দের শাব্দিক বিশ্লেষণ

ঈমান امن শব্দটির মূলবর্ণ ا+م+ن এই ধাতু দ্বারা কুরআন মাজিদে বিভিন্ন রূপে ১০১ একটি শব্দ পাওয়া যায়। এবং ৩৫১ টি আয়াতে ৩৮০ বার এসেছে।

১.ঈমান আনতে হবে কার প্রতি?

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলছেনঃ

সূরা আন নাহল ১৭:৯৮

فَإِذَا قَرَأْتَ ٱلْقُرْءَانَ فَٱسْتَعِذْ بِٱللَّهِ مِنَ ٱلشَّيْطَٰنِ ٱلرَّجِيمِ

তুমি যখনি কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়ত্বান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।

সূরা আল মুমিনুন ২৩:৯৭

وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَٰتِ ٱلشَّيَٰطِينِ

আর বল : ‘হে আমার প্রতিপালক! আমি শয়ত্বানের কুমন্ত্রণা হতে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

২৪:৯৮

وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ

আর আমি তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আমার প্রতিপালক! যাতে তারা আমার কাছে আসতে না পারে।

সূরা আল মূলক ৬৭:২৯

قُلْ هُوَ ٱلرَّحْمَٰنُ ءَامَنَّا بِهِۦ وَعَلَيْهِ تَوَكَّلْنَاۖ فَسَتَعْلَمُونَ مَنْ هُوَ فِى ضَلَٰلٍ مُّبِينٍ

বল, ‘তিনিই দয়াময়, আমরা তাঁর উপরেই ঈমান রাখি, আর তাঁর উপরেই নির্ভর করি। তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কে সুস্পষ্ট গুমরাহীতে আছে।

সূরা আল জিন ৭২:১৩

وَأَنَّا لَمَّا سَمِعْنَا ٱلْهُدَىٰٓ ءَامَنَّا بِهِۦۖ فَمَن يُؤْمِنۢ بِرَبِّهِۦ فَلَا يَخَافُ بَخْسًا وَلَا رَهَقًا

আরো এই যে, আমরা যখন হিদায়াতের বাণী শুনতে পেলাম, তখন তাঁর উপর ঈমান আনলাম। যে ব্যক্তি তাঁর প্রতিপালকের উপর ঈমান আনে তার কোন ক্ষতি বা যুলমের ভয় থাকবে না।

২.ঈমানের সংজ্ঞা কি কি?

(আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার অর্থ আল্লাহকে বিশ্বাস করা। অতএব আল্লাহ যার প্রতি ঈমান আনতে বলবেন তার প্রতি ঈমান আনতে হবে এবং আল্লাহ যা বলবেন তাই নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করতে হবে)

আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলছেন

সূরা আল বাকারাহ ২:১৭৭(৩:৮৪)(২:১৩৬)

لَّيْسَ ٱلْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ ٱلْمَشْرِقِ وَٱلْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ ٱلْبِرَّ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَٱلْمَلَٰٓئِكَةِ وَٱلْكِتَٰبِ وَٱلنَّبِيِّۦنَ

তোমরা নিজেদের মুখ পূর্ব দিকে কর কিংবা পশ্চিম দিকে এতে কোন কল্যাণ নেই বরং কল্যাণ আছে এতে যে, কোন ব্যক্তি ঈমান আনবে।

১/আল্লাহর প্রতি
২/শেষ দিবসের প্রতি
৩/মালাইকাগণের প্রতি
৪/কিতাব সমূহের প্রতি
৫/নবী-রাসূলগণের প্রতি

সূরা আল হাক্কাহ ৬৯:৩৩ এ ঈমান অর্থ:বিশ্বাসী

সূরা আদ দুখান ৪৪:১৮ এ ঈমান অর্থ: বিশ্বস্ত।

সূরা আল ফাতহ ৪৮:২৭এ ঈমান অর্থ: নিরাপদে।

সূরা নূহ ৭১:২৮এ ঈমান অর্থ: মমিন রূপে।

সূরা আল ইসরা ১৭:৬৯ এ ঈমান অর্থ: নিশ্চিত হয়েছে।

সূরা আল আনফাল ৮:২১ এ নিরাপত্তার জন্য।

সূরা আল বাকারা ২:২৮৩ এ তার আমানতের।

সূরা আল আরাফ ৭:৯৮এ কিংবা নির্ভয়।

সূরা ইউসুফ ১২:১৭এ বিশ্বাসকারী।

সূরা আল আনআম ৬:৮১ এ নিরাপত্তা লাভের।

সূরা আন নিসা ৪:৮৩ এ শান্তির।

সূরা আল-হাশর ৫৯:২৩ এ নিরাপত্তাদাতা

৩.ঈমানের ঘোষণা দেওয়ার পদ্ধতি

সূরা আল ইমরান ৩:৮৪

قُلْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ عَلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ

বল, ‘আমরা আল্লাহর উপর এবং আমাদের প্রতি ও ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁর বংশধরের প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নাবীগণকে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু দেয়া হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছি; আমরা তাঁদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পিত।

সূরা আল বাকারা ২:১৩৬

قُولُوٓا ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ إِلَىٰٓ إِبْرَٰهِۦمَ وَإِسْمَٰعِيلَ وَإِسْحَٰقَ وَيَعْقُوبَ وَٱلْأَسْبَاطِ وَمَآ أُوتِىَ مُوسَىٰ وَعِيسَىٰ وَمَآ أُوتِىَ ٱلنَّبِيُّونَ مِن رَّبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ

তোমরা বল, ‘আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি এবং যা আমাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যা ইবরাহীম ও ইসমা‘ঈল এবং ইসহাক ও ইয়াকূব ও বংশধরদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে এবং যা মূসা ও ‘ঈসাকে দেয়া হয়েছে আর যা অন্যান্য নাবীগণকে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে দেয়া হয়েছে (এ সবের প্রতিও ঈমান এনেছি), আমরা এদের মধ্য হতে কোন একজনের ব্যাপারেও কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পিত’।

সূরা আল মায়েদা ৫:১১১

وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى ٱلْحَوَارِيِّۦنَ أَنْ ءَامِنُوا بِى وَبِرَسُولِى قَالُوٓا ءَامَنَّا وَٱشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ

স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম।

সূরা আল আনকাবুত ২৯:৪৬

وَلَا تُجَٰدِلُوٓا أَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْهُمْۖ وَقُولُوٓا ءَامَنَّا بِٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَأُنزِلَ إِلَيْكُمْ وَإِلَٰهُنَا وَإِلَٰهُكُمْ وَٰحِدٌ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ

উত্তম পন্থা ছাড়া কিতাবধারীদের সাথে তর্ক- বিতর্ক কর না; তবে তাদের মধ্যে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা বাদে। আর বল, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আর তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার উপর; আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ একই, আর তাঁর কাছেই আমরা আত্মসমর্পণ করেছি।

৪.ঈমান আনার পরে আল্লাহর কাছে দোয়া করা;

সূরা আল ইমরান ৩:১৯৩

رَّبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِى لِلْإِيمَٰنِ أَنْ ءَامِنُوا بِرَبِّكُمْ فَـَٔامَنَّاۚ رَبَّنَا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّـَٔاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ ٱلْأَبْرَارِ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা একজন ঘোষণাকারীকে ঈমানের ঘোষণা করতে শুনেছি যে, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো’। সে অনুযায়ী আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের অপরাধ গুলো ক্ষমা কর এবং আমাদের থেকে আমাদের মন্দ কাজ গুলো বিদূরিত কর আর নেক বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে আমাদের মৃত্যু ঘটাও।

৩:১৭

ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ إِنَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ

যারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, অতএব আমাদের অপরাধ সমূহ ক্ষমা কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা কর’।

৩:৫২

فَلَمَّآ أَحَسَّ عِيسَىٰ مِنْهُمُ ٱلْكُفْرَ قَالَ مَنْ أَنصَارِىٓ إِلَى ٱللَّهِۖ قَالَ ٱلْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنصَارُ ٱللَّهِ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَٱشْهَدْ بِأَنَّا مُسْلِمُونَ

অতঃপর ‘ঈসা যখন তাদের অবিশ্বাস অনুভব করল, তখন বলল, ‘কেউ আছে কি যে আল্লাহর পথে আমার সহায়ক হবে’। হাওয়ারীগণ বলল, ‘আমরাই আল্লাহর পথে আপনার সহায়ক হিসেবে কাজ করবো, আমরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি এবং সাক্ষী থাকুন যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী’।

৩:৫৩

رَبَّنَآ ءَامَنَّا بِمَآ أَنزَلْتَ وَٱتَّبَعْنَا ٱلرَّسُولَ فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ

‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের আনুগত্য স্বীকার করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ কর।

৫.কারা ঈমানদার?

সূরা আল বাকারাহ ২:২৮৫

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَاۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ

রসূল তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা তার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তারা সবাই আল্লাহর উপর, তাঁর সালাইকাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, (তারা বলে), ‘আমরা রসূলগণের মধ্যে কারও ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা কর আর প্রত্যাবর্তন তোমারই দিকে’।

সূরা আল মায়েদা ৫:৫৯

قُلْ يَٰٓأَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ هَلْ تَنقِمُونَ مِنَّآ إِلَّآ أَنْ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبْلُ وَأَنَّ أَكْثَرَكُمْ فَٰسِقُونَ

বল, ‘ওহে কিতাবধারী সম্প্রদায়! তোমরা এ ছাড়া অন্য কারণে আমাদের প্রতি রাগান্বিত নও যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আমাদের প্রতি আর আমাদের পূর্বে যা নাযিল হয়েছিল তার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছে ফাসিক।

৫:৮৩

وَإِذَا سَمِعُوا مَآ أُنزِلَ إِلَى ٱلرَّسُولِ تَرَىٰٓ أَعْيُنَهُمْ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوا مِنَ ٱلْحَقِّۖ يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ

রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয় তারা যখন তা শুনে, তুমি দেখবে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তখন তাদের চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।

২০:৮৩

إِنَّآ ءَامَنَّا بِرَبِّنَا لِيَغْفِرَ لَنَا خَطَٰيَٰنَا وَمَآ أَكْرَهْتَنَا عَلَيْهِ مِنَ ٱلسِّحْرِۗ وَٱللَّهُ خَيْرٌ وَأَبْقَىٰٓ

আমরা আমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছি যাতে তিনি আমাদের অপরাধ ক্ষমা করেন আর যে যাদু করতে তুমি আমাদেরকে বাধ্য করেছ তাও আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ ও স্থায়ী।

সূরা আল আরাফ ৭:১২১

قَالُوٓا ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

তারা বলল, ‘আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনলাম।

সূরা ইব্রাহিম ১৪:৩৫

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِيمُ رَبِّ ٱجْعَلْ هَٰذَا ٱلْبَلَدَ ءَامِنًا وَٱجْنُبْنِى وَبَنِىَّ أَن نَّعْبُدَ ٱلْأَصْنَامَ

স্মরণ কর, ইবরাহীম যখন বলেছিল, ‘হে আমার রব্ব! তুমি এ নগরীকে নিরাপদ কর আর আমাকে আর আমার সন্তানদেরকে প্রতিমা পূজা থেকে রক্ষা কর।

সূরা আল মুমিনুন ২৩:১০৯

إِنَّهُۥ كَانَ فَرِيقٌ مِّنْ عِبَادِى يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ ٱلرَّٰحِمِينَ

আমার বান্দাহদের একদল বলত- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’

সুরা ইয়াসিন ৭২:২

يَهْدِىٓ إِلَى ٱلرُّشْدِ فَـَٔامَنَّا بِهِۦۖ وَلَن نُّشْرِكَ بِرَبِّنَآ أَحَدًا

যা সত্য-সঠিক পথ প্রদর্শন করে, যার কারণে আমরা তাতে ঈমান এনেছি, আমরা কক্ষনো কাউকে আমাদের প্রতিপালকের অংশীদার গণ্য করব না।

সূরা আশ-শুআ’রা ২৬:৪৭

قَالُوٓا ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ

তারা বলল- ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম রব্বুল ‘আলামীনের প্রতি।

৬.ঈমানদারদের করণীয় কি?

সূরা আত তাওবা ৯:১৮

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا ٱللَّهَۖ فَعَسَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ أَن يَكُونُوا مِنَ ٱلْمُهْتَدِينَ

আল্লাহর মাসজিদের আবাদ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে ছলাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত গ্রহন করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা আল ইমরান ৩:১১০

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِٱلْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ ٱلْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِۗ وَلَوْ ءَامَنَ أَهْلُ ٱلْكِتَٰبِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُمۚ مِّنْهُمُ ٱلْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ

তোমরাই সর্বোত্তম উম্মাত, মানবজাতির (সর্বাত্মক কল্যাণের) জন্য তোমাদের আবির্ভুত করা হয়েছে, তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর ও আল্লাহর প্রতি ঈমান রক্ষা করে চল। যদি আহলে কিতাব ঈমান আনত, তাহলে নিশ্চয়ই তাদের জন্য ভালো হত, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মু’মিন এবং তাদের অধিকাংশই ফাসেক।

সূরা আল বাকারা ২:৬২

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَٱلَّذِينَ هَادُوا وَٱلنَّصَٰرَىٰ وَٱلصَّٰبِـِٔينَ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَلَهُمْ أَجْرُهُمْ عِندَ رَبِّهِمْ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে, যারা ইয়াহূদী হয়েছে এবং খৃষ্টান ও সাবিঈন- যারাই আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে, তাদের জন্য পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না।

সূরা আল মায়েদা ৫:৬৯

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَٱلَّذِينَ هَادُوا وَٱلصَّٰبِـُٔونَ وَٱلنَّصَٰرَىٰ مَنْ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে আর সাবিয়ী সম্প্রদায় আর নাসারা, যে কেউ আল্লাহ আর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই, চিন্তা-ভাবনা নেই।

সূরা আল আনআম ৬:৪৮

وَمَا نُرْسِلُ ٱلْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۖ فَمَنْ ءَامَنَ وَأَصْلَحَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ

আমি তো রসূলদেরকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী করে পাঠিয়েছি, অতঃপর (রসূলের আনুগত্য করে) যারা ঈমান আনে ও নিজেকে সংশোধন করে তাদের নেই কোন ভয়, নেই তাদের কোন দুঃখ।

সূরা আল আরাফ ৭:৮৬

وَلَا تَقْعُدُوا بِكُلِّ صِرَٰطٍ تُوعِدُونَ وَتَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ مَنْ ءَامَنَ بِهِۦ وَتَبْغُونَهَا عِوَجًاۚ وَٱذْكُرُوٓا إِذْ كُنتُمْ قَلِيلًا فَكَثَّرَكُمْۖ وَٱنظُرُوا كَيْفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلْمُفْسِدِينَ

‘যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ভয় দেখানোর জন্য আর আল্লাহর পথ থেকে বাধা দেয়ার জন্য প্রতিটি পথে পাহারা বসিও না, আর তাতে (অর্থাৎ আল্লাহর সহজ-সরল পথে) বক্রতা অনুসন্ধান কর না।’ স্মরণ কর, ‘তোমরা সংখ্যায় অল্প ছিলে, অতঃপর আল্লাহ তোমাদেরকে সংখ্যাধিক্য করে দিয়েছেন। লক্ষ্য কর, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণতি কী হয়েছিল।

সূরা আল কাহফ ১৮:৮৮

وَأَمَّا مَنْ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَلَهُۥ جَزَآءً ٱلْحُسْنَىٰۖ وَسَنَقُولُ لَهُۥ مِنْ أَمْرِنَا يُسْرًا

আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে তার জন্য আছে উত্তম পুরস্কার আর আমি তাকে সহজ কাজের নির্দেশ দেব।

সূরা আল কাসাস ২৮:৮০

وَقَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا ٱلْعِلْمَ وَيْلَكُمْ ثَوَابُ ٱللَّهِ خَيْرٌ لِّمَنْ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا وَلَا يُلَقَّىٰهَآ إِلَّا ٱلصَّٰبِرُونَ

যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলল- ‘ধিক তোমাদের প্রতি, আল্লাহর পুরস্কারই শ্রেষ্ঠতর তাদের জন্য যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে, আর সত্যপথে অবিচল ধৈর্যশীল ছাড়া অন্য কেউ তা প্রাপ্ত হয় না।

সূরা সাবা ৩৪:৩৭

وَمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُكُم بِٱلَّتِى تُقَرِّبُكُمْ عِندَنَا زُلْفَىٰٓ إِلَّا مَنْ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ ٱلضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا وَهُمْ فِى ٱلْغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ

ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।

সূরা আল গাফির ৪০:৩৮

وَقَالَ ٱلَّذِىٓ ءَامَنَ يَٰقَوْمِ ٱتَّبِعُونِ أَهْدِكُمْ سَبِيلَ ٱلرَّشَادِ

যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে আরো বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাদেরকে সঠিক পথ দেখাচ্ছি।

৪০:৩৯

يَٰقَوْمِ إِنَّمَا هَٰذِهِ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَا مَتَٰعٌ وَإِنَّ ٱلْءَاخِرَةَ هِىَ دَارُ ٱلْقَرَارِ

হে আমার সম্প্রদায়! পার্থিব এ জীবন ভোগ্য বস্তু মাত্র, আর আখিরাতই হল চিরকালীন আবাসস্থল।

সূরা আল গাফির ৪০:৪০

مَنْ عَمِلَ سَيِّئَةً فَلَا يُجْزَىٰٓ إِلَّا مِثْلَهَاۖ وَمَنْ عَمِلَ صَٰلِحًا مِّن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدْخُلُونَ ٱلْجَنَّةَ يُرْزَقُونَ فِيهَا بِغَيْرِ حِسَابٍ

যে খারাপ কাজ করবে তাকে কাজের অনুপাতেই প্রতিফল দেয়া হবে। পুরুষ হোক আর নারী হোক যে ব্যক্তিই সৎ কাজ করবে (উপরন্তু) সে মু’মিনও, তাহলে তারাই জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার মধ্যে তারা বে-হিসাব রিযক প্রাপ্ত হবে।

উক্ত আয়াত গুলি থেকে সুস্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় ঈমান আনার পর সৎকর্ম করতে হবে।

৭.সৎকর্মের তালিকা ক?

অবশ্য অবশ্যই আমাদের জানতে হবে সৎকর্ম সম্পর্কে কারণ আল্লাহ রব্বুল আলামিন কুরআনুল কারীমে সৎকর্মশীলদের জান্নাতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী এবং সৎকর্মশীল হয় জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সৎকর্মশীলদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা ১.শিরক করনা ২.মা-বাবার প্রতি রহম দিলের হয়
৩. অসহায় এতিম দরিদ্র এবং মেহনতী মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাগবে প্রচেষ্টা করেন
৪.সচ্ছল এবং অস্বচ্ছল অবস্থায় দান করেন
৫. সব সময় তার সৃষ্টির কল্যাণে মানবজাতির মুক্তির জন্য কাজ করেন
৬.সৎকর্মশীলদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তারা হালাল রিজিক উপার্জন করেন
৭.রক্ত সম্পর্কে তাদের সাথে বন্ধ মজবুত রাখেন
৮.ধৈর্য এবং ছলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করে এবং তারা ছলাত কায়েম করেন এবং যাকাত গ্রহনন করেন বা আত্মশুদ্ধির জন্য সচেষ্ট থাকেন

সূরা আল বাকারা ২:১৭৭

৯.এবং আল্লাহর ভালবাসার্থে ধন-সম্পদ আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম-মিসকীন, মুসাফির ও সাহায্য প্রার্থীদের এবং দাসত্বজীবন হতে নিস্কৃতি দিতে দান করবে এবং ছলাত কায়িম করবে ও যাকাত গ্রহন করতে থাকবে, ওয়া‘দা করার পর স্বীয় ওয়া‘দা পূর্ণ করবে এবং অভাবে, দুঃখ-ক্লেশে ও সংকটে ধৈর্য ধারণ করবে, এ লোকেরাই সত্যপরায়ণ আর এ লোকেরাই মুত্তাকী।

৮.যারা বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তারা প্রকৃত মুমিননা

২:১৪

وَإِذَا لَقُوا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا قَالُوٓا ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَىٰ شَيَٰطِينِهِمْ قَالُوٓا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِءُونَ

যখন তারা মু’মিনদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’; আর যখন তারা নিভৃতে তাদের শয়ত্বানদের (সর্দারদের) সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তোমাদের সাথেই আছি, আমরা শুধু তাদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করি মাত্র’।

২:৭৬

وَإِذَا لَقُوا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا قَالُوٓا ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَا بَعْضُهُمْ إِلَىٰ بَعْضٍ قَالُوٓا أَتُحَدِّثُونَهُم بِمَا فَتَحَ ٱللَّهُ عَلَيْكُمْ لِيُحَآجُّوكُم بِهِۦ عِندَ رَبِّكُمْۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ

যখন তারা মু’মিনদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি’। আবার যখন তারা নিভৃতে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আল্লাহ তোমাদের কাছে যা (তাওরাতে) ব্যক্ত করেছেন তোমরা কি তা তাদেরকে বলে দাও যাতে এর দ্বারা তারা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে তোমাদের বিরুদ্ধে যুক্তি পেশ করবে? তোমরা কি বুঝ না’?

সূরা আল বাকারা ২:৮

وَمِنَ ٱلنَّاسِ مَن يَقُولُ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَمَا هُم بِمُؤْمِنِينَ

মানুষের মধ্যে এমন লোক আছে যারা বলে, ‘‘আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাতের দিনের প্রতি ঈমান এনেছি’’ কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা মু’মিন নয়।

২:১২৬

وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّ ٱجْعَلْ هَٰذَا بَلَدًا ءَامِنًا وَٱرْزُقْ أَهْلَهُۥ مِنَ ٱلثَّمَرَٰتِ مَنْ ءَامَنَ مِنْهُم بِٱللَّهِ وَٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِۖ قَالَ وَمَن كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُۥ قَلِيلًا ثُمَّ أَضْطَرُّهُۥٓ إِلَىٰ عَذَابِ ٱلنَّارِۖ وَبِئْسَ ٱلْمَصِيرُ

স্মরণ কর যখন ইবরাহীম প্রার্থনা করেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি এ শহরকে নিরাপদস্থল কর এবং এর অধিবাসীদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও পরকালের উপর ঈমান আনে, তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান কর’। নির্দেশ হল, ‘যে কেউ কুফরী করবে তাকেও আমি কিছু দিনের জন্য উপকার লাভ করতে দেব এবং তারপর তাকে জাহান্নামের আগুনে দাখিল করব, আর কতই না নিকৃষ্ট তাদের ফেরার জায়গা’!

সূরা আল ইমরান ৩:৯৭

فِيهِ ءَايَٰتٌۢ بَيِّنَٰتٌ مَّقَامُ إِبْرَٰهِيمَۖ وَمَن دَخَلَهُۥ كَانَ ءَامِنًاۗ وَلِلَّهِ عَلَى ٱلنَّاسِ حِجُّ ٱلْبَيْتِ مَنِ ٱسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًاۚ وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَنِىٌّ عَنِ ٱلْعَٰلَمِينَ

তাতে সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে মাক্বামে ইবরাহীম যে কেউ তাতে প্রবেশ করবে নিরাপদ হবে। আল্লাহর জন্য উক্ত অবস্থানের হাজ্জ / সম্মেলন করা লোকেদের উপর আবশ্যক যার সে পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে এবং যে ব্যক্তি অস্বীকার করে নিঃসন্দেহে আল্লাহ বিশ্ব জাহানের মুখাপেক্ষী নন।

৩:১১৯

هَٰٓأَنتُمْ أُوْلَآءِ تُحِبُّونَهُمْ وَلَا يُحِبُّونَكُمْ وَتُؤْمِنُونَ بِٱلْكِتَٰبِ كُلِّهِۦ وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوٓا ءَامَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ ٱلْأَنَامِلَ مِنَ ٱلْغَيْظِۚ قُلْ مُوتُوا بِغَيْظِكُمْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

অবশ্য তোমরাই সেই লোক যে, তোমরা তাদেরকে মহববত কর, কিন্তু তারা তোমাদের সাথে মহববত রাখে না, উপরন্তু তোমরা সকল কিতাবের প্রতিও বিশ্বাস রাখ এবং যখন তারা তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তখন বলে যে, ‘আমরাও ঈমান এনেছি’ এবং যখন তারা একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি রাগে নিজেদের আঙ্গুলের মাথা কামড়াতে থাকে। তাদেরকে বল, ‘তোমরা নিজেদের রাগে মরতে থাক’। বস্তুতঃ অন্তরে যা আছে আল্লাহ তা খুব ভালভাবেই জানেন।

সূরা আল মায়েদা ৫:৪১

يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ لَا يَحْزُنكَ ٱلَّذِينَ يُسَٰرِعُونَ فِى ٱلْكُفْرِ مِنَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓا ءَامَنَّا بِأَفْوَٰهِهِمْ وَلَمْ تُؤْمِن قُلُوبُهُمْۛ وَمِنَ ٱلَّذِينَ هَادُواۛ سَمَّٰعُونَ لِلْكَذِبِ سَمَّٰعُونَ لِقَوْمٍ ءَاخَرِينَ لَمْ يَأْتُوكَۖ يُحَرِّفُونَ ٱلْكَلِمَ مِنۢ بَعْدِ مَوَاضِعِهِۦۖ يَقُولُونَ إِنْ أُوتِيتُمْ هَٰذَا فَخُذُوهُ وَإِن لَّمْ تُؤْتَوْهُ فَٱحْذَرُواۚ وَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ فِتْنَتَهُۥ فَلَن تَمْلِكَ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ شَيْـًٔاۚ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَمْ يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يُطَهِّرَ قُلُوبَهُمْۚ لَهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا خِزْىٌۖ وَلَهُمْ فِى ٱلْءَاخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথা গুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি।

সূরা আল মায়েদা ৫:৬১

وَإِذَا جَآءُوكُمْ قَالُوٓا ءَامَنَّا وَقَد دَّخَلُوا بِٱلْكُفْرِ وَهُمْ قَدْ خَرَجُوا بِهِۦۚ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا كَانُوا يَكْتُمُونَ

যখন তারা তোমাদের কাছে আসে তখন বলে ‘‘আমরা ঈমান এনেছি’’। বাস্তবে তারা কুফরী নিয়েই প্রবেশ করে, কুফরী নিয়েই বেরিয়ে যায়, তারা যা লুকিয়ে রাখে আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবগত।

সূরা আন নূর ২৪:৪৭

وَيَقُولُونَ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلرَّسُولِ وَأَطَعْنَا ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٌ مِّنْهُم مِّنۢ بَعْدِ ذَٰلِكَۚ وَمَآ أُوْلَٰٓئِكَ بِٱلْمُؤْمِنِينَ

তারা বলে- আমরা আল্লাহর প্রতি ইমান আনলাম আর রসূলের প্রতিও আর আমরা মেনে নিলাম। কিন্তু এরপরও তাদের মধ্যেকার একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা মু’মিন নয়।

সূরা আল বাকারাহ ২:১৩

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُۗ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

যখন তাদেরকে বলা হয়, যে সব লোক ঈমান এনেছে তাদের মতো তোমরাও ঈমান আন, তারা বলে, ‘নির্বোধেরা যেমন ঈমান এনেছে, আমরাও কি তেমনি ঈমান আনব’? আসলে তারাই নির্বোধ, কিন্তু তারা তা’ বুঝতে পারে না।

সূরা আন নিসা ৪:৫৫

فَمِنْهُم مَّنْ ءَامَنَ بِهِۦ وَمِنْهُم مَّن صَدَّ عَنْهُۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا

অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার উপর ঈমান আনল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখল, (দগ্ধ করার জন্য) প্রজ্জ্বলিত জাহান্নামই যথেষ্ট।

সূরা ইউনুস ১০:৮৩

فَمَآ ءَامَنَ لِمُوسَىٰٓ إِلَّا ذُرِّيَّةٌ مِّن قَوْمِهِۦ عَلَىٰ خَوْفٍ مِّن فِرْعَوْنَ وَمَلَإِيْهِمْ أَن يَفْتِنَهُمْۚ وَإِنَّ فِرْعَوْنَ لَعَالٍ فِى ٱلْأَرْضِ وَإِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلْمُسْرِفِينَ

মূসার উপর তার জাতির মধ্য হতে গুটিকয়েক লোক ব্যতীত কেউ ঈমান আনেনি ফির‘আওন ও তার প্রধানদের নির্যাতনের ভয়ে। বাস্তবিকই ফির‘আওন দুনিয়াতে খুবই উদ্ধত ছিল, আর সে ছিল অবশ্যই সীমালঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা গাফির ৪:৩০

وَقَالَ ٱلَّذِىٓ ءَامَنَ يَٰقَوْمِ إِنِّىٓ أَخَافُ عَلَيْكُم مِّثْلَ يَوْمِ ٱلْأَحْزَابِ

যে লোকটি ঈমান এনেছিল সে বলল- হে আমার জাতির লোকেরা! আগের জাতিগুলোর উপর যেমন (শাস্তির) দিন এসেছিল, আমি তোমাদের উপরও সে রকম (বিপর্যয়ের) আশঙ্কা করছি

সূরা আল আহকাফ ৪৬:১৭

وَٱلَّذِى قَالَ لِوَٰلِدَيْهِ أُفٍّ لَّكُمَآ أَتَعِدَانِنِىٓ أَنْ أُخْرَجَ وَقَدْ خَلَتِ ٱلْقُرُونُ مِن قَبْلِى وَهُمَا يَسْتَغِيثَانِ ٱللَّهَ وَيْلَكَ ءَامِنْ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّ فَيَقُولُ مَا هَٰذَآ إِلَّآ أَسَٰطِيرُ ٱلْأَوَّلِينَ

আর যে নিজ পিতামাতাকে বলে, ‘তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি আমাকে ভয় দেখাও যে, (মৃতুর পর) আমাকে উঠানো হবে অথচ আমার পূর্বে বহু মানব গোষ্ঠী অতীত হয়ে গেছে (কোথায় , কেউ তো উঠে আসল না)। পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানিয়ে (সন্তানকে তিরস্কার করে) বলে- দুর্ভোগ তোমার জন্য, তুমি ঈমান আন, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য।’ তখন সে বলে- ‘এ সব পুরান কালের কাহিনী ছাড়া আর কিছুই না।

সূরা সাবা ৩৪:৫২

وَقَالُوٓا ءَامَنَّا بِهِۦ وَأَنَّىٰ لَهُمُ ٱلتَّنَاوُشُ مِن مَّكَانٍۭ بَعِيدٍ

আর তারা বলবে- (এখন) আমরা ঈমান আনলাম। কিন্তু (ঈমান যেখানে আনতে হত সে স্থান থেকে তারা তো বহু দূরে এসে পড়েছে) এত দূরের জায়গা থেকে তারা ঈমানের নাগাল পাবে কীভাবে?

সূরা আল হুজুরাত ৪৯:১৪

قَالَتِ ٱلْأَعْرَابُ ءَامَنَّاۖ قُل لَّمْ تُؤْمِنُوا وَلَٰكِن قُولُوٓا أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ ٱلْإِيمَٰنُ فِى قُلُوبِكُمْۖ وَإِن تُطِيعُوا ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ لَا يَلِتْكُم مِّنْ أَعْمَٰلِكُمْ شَيْـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

বেদুঈনরা বলে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’। বল- ‘তোমরা ঈমান আননি, বরং তোমরা বল, ‘আমরা (মৌখিক) আনুগত্য স্বীকার করেছি’, এখন পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি। তোমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে মান্য কর তাহলে তোমাদের কৃতকর্মের কিছুই কমতি করা হবে না। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।

৯.ঈমান না আনলে ভয়াবহ শাস্তি

সূরা আল আম্বিয়া ২১:৬

مَآ ءَامَنَتْ قَبْلَهُم مِّن قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَٰهَآۖ أَفَهُمْ يُؤْمِنُونَ

তাদের পূর্বে আমি যে সমস্ত জনপদ ধ্বংস করেছি তাদের একটিও ঈমান আনেনি, তাহলে এরা কি ঈমান আনবে?

সূরা আল বাকারা ২:১৩৭

فَإِنْ ءَامَنُوا بِمِثْلِ مَآ ءَامَنتُم بِهِۦ فَقَدِ ٱهْتَدَواۖ وَّإِن تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِى شِقَاقٍۖ فَسَيَكْفِيكَهُمُ ٱللَّهُۚ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلْعَلِيمُ

সুতরাং এরা যদি তেমন ঈমান আনে, যেমন তোমরা ঈমান এনেছো, তাহলে তারা সঠিক পথ পাবে আর যদি অস্বীকার করে, তবে তারা ভেদাভেদে লিপ্ত, সে অবস্থায় তোমার জন্য তাদের (অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য) আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা।

সূরা ইউনুস ১০:৫১

أَثُمَّ إِذَا مَا وَقَعَ ءَامَنتُم بِهِۦٓۚ ءَآلْـَٰٔنَ وَقَدْ كُنتُم بِهِۦ تَسْتَعْجِلُونَ

তাহলে ওটা বাস্তবে ঘটে যাওয়ার পরই কি তোমরা তাতে বিশ্বাস করতে চাও? (ঘটে যাওয়ার পর বলা হবে) ‘এখন, (বিশ্বাস করলে) এটার জন্য তোমরা তাড়াহুড়ো করছিলে!’

সূরা ত্ব-হা ২০:৭১

قَالَ ءَامَنتُمْ لَهُۥ قَبْلَ أَنْ ءَاذَنَ لَكُمْۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِى عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحْرَۖ فَلَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَٰفٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ فِى جُذُوعِ ٱلنَّخْلِ وَلَتَعْلَمُنَّ أَيُّنَآ أَشَدُّ عَذَابًا وَأَبْقَىٰ

ফেরাউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রধান যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। কাজেই আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত আর পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর খেজুর গাছের শাখায় তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই শূলে চড়াব আর তখন তোমরা অবশ্য অবশ্যই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার ‘আযাব বেশি শক্ত আর বেশি স্থায়ী।

সূরা আশ-শুআ’রা ২৭:৪৯

قَالَ ءَامَنتُمْ لَهُۥ قَبْلَ أَنْ ءَاذَنَ لَكُمْۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِى عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحْرَ فَلَسَوْفَ تَعْلَمُونَۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيْدِيَكُمْ وَأَرْجُلَكُم مِّنْ خِلَٰفٍ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمْ أَجْمَعِينَ

ফেরাউন বলল- ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তাতে বিশ্বাস আনলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের ওস্তাদ যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা (এর পরিণাম) জানতে পারবে। আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত-পাগুলোকে বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর তোমাদের সব্বাইকে অবশ্য অবশ্যই ‘শূলে চড়াব।

সূরা আল বাকারা ২:৯

يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ

তারা আল্লাহ ও মু’মিনদেরকে প্রতারিত করে, আসলে তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে প্রতারিত করে না, কিন্তু এটা তারা উপলব্ধি করতে পারে না।

২:১৩

وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُۗ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ

যখন তাদেরকে বলা হয়, যে সব লোক ঈমান এনেছে তাদের মতো তোমরাও ঈমান আন, তারা বলে, ‘নির্বোধেরা যেমন ঈমান এনেছে, আমরাও কি তেমনি ঈমান আনব’? আসলে তারাই নির্বোধ, কিন্তু তারা তা’ বুঝতে পারে না।

সুরা হা-মীম সাজদাহ ৪১:৪০

إِنَّ ٱلَّذِينَ يُلْحِدُونَ فِىٓ ءَايَٰتِنَا لَا يَخْفَوْنَ عَلَيْنَآۗ أَفَمَن يُلْقَىٰ فِى ٱلنَّارِ خَيْرٌ أَم مَّن يَأْتِىٓ ءَامِنًا يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِۚ ٱعْمَلُوا مَا شِئْتُمْۖ إِنَّهُۥ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ

যারা আমার আয়াত সমূহের অর্থকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে, তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়। যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সেই উত্তম না ঐ ব্যক্তি যে ক্বিয়ামতের দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে হাজির হবে? তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে থাক। তোমরা যা কর তা তিনি দেখেন।

সূরা গাফির ৪০:৮৪

فَلَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا قَالُوٓا ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَحْدَهُۥ وَكَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهِۦ مُشْرِكِينَ

আমার শাস্তি তারা যখন দেখল তখন তারা বলল- আমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলাম আর যাদেরকে আমরা শরীক গণ্য করতাম তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম।

কিন্তু তারা নয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে।

সূরা আল আসর ১০৩:৩

إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَتَوَاصَوْا بِٱلْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِٱلصَّبْرِ

কিন্তু তারা নয় যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় এবং পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেয়।

১০.ঈমানদারদের পুরস্কার

সূরা ইউনুস ১০:৯

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا ٱلصَّٰلِحَٰتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُم بِإِيمَٰنِهِمْۖ تَجْرِى مِن تَحْتِهِمُ ٱلْأَنْهَٰرُ فِى جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ

যারা ঈমান আনে আর সৎ ‘আমাল করে, তাদের প্রতিপালক তাদের ঈমানের বদৌলতে তাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করবেন। নি‘মাতরাজি দ্বারা পরিপূর্ণ জান্নাতে, তাদের পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে।

সূরা আন নামাল ২৭:৮৯

مَن جَآءَ بِٱلْحَسَنَةِ فَلَهُۥ خَيْرٌ مِّنْهَا وَهُم مِّن فَزَعٍ يَوْمَئِذٍ ءَامِنُونَ

যারা সৎকাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, তাদের জন্য আছে উৎকৃষ্টতর প্রতিদান, সেদিন তারা ভীতি শঙ্কা থেকে নিরাপদ থাকবে।

সূরা সাবা ৩৪:৩৭

وَمَآ أَمْوَٰلُكُمْ وَلَآ أَوْلَٰدُكُم بِٱلَّتِى تُقَرِّبُكُمْ عِندَنَا زُلْفَىٰٓ إِلَّا مَنْ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحًا فَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمْ جَزَآءُ ٱلضِّعْفِ بِمَا عَمِلُوا وَهُمْ فِى ٱلْغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ

ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।

১৫:৪৬

ٱدْخُلُوهَا بِسَلَٰمٍ ءَامِنِينَ

তাদেরকে বলা হবে, ‘পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তোমরা এতে প্রবেশ কর।’

৪৪:৫৫

يَدْعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَٰكِهَةٍ ءَامِنِينَ

সেখানে তারা পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে নানান ফলমূল আনতে বলবে।

সূরা আদ দুখান ৪৪:৫৬

لَا يَذُوقُونَ فِيهَا ٱلْمَوْتَ إِلَّا ٱلْمَوْتَةَ ٱلْأُولَىٰۖ وَوَقَىٰهُمْ عَذَابَ ٱلْجَحِيمِ

সেখানে তারা মৃত্যু আস্বাদন করবে না (সেই) প্রথম মৃত্যুর পর, আর তিনি তাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন

সূরা আদ দুখান ৪৪:৫৭

فَضْلًا مِّن رَّبِّكَۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ

তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ, এটাই হল মহা সাফল্য।

১১/ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে নিচের আয়াত গুলো দেখে নিবেন ইনশাআল্লাহ;

(২:১৪+২৫+২৬+৮২+৯১+১০৩+১০৪+১৩৭+১৫৩+১৬৫+১৭২+১৭৮+১৮৩+২০৮+২১২+২১৩+২১৪+২১৮+২৪৯+২৫৪+২৫৭+২৬৪+২৬৭+২৭৭+২৭৮+২৮২+)(৩:৫৭+৬৮+৭২+১০০+১০২+১১৮+১৩০+১৪০+১৪১+১৪৯+১৫৬+১৯৩+২০০+)(৪:১৯+২৯+৩৯+৪৩+৪৭+৫১+৫৭+৫৯+৬০+৭১+৭৬+৯৪+১২২+১৩৫+১৩৬+১৩৭+১৪৪+১৫২+১৭৩+১৭৫)(৫:১+২+৬+৮+৯+১১+৩৫+৫১+৫৩+৫৪+৫৫+৫৬+৫৭+৬৫+৬৯+৮২+৮৭+৯০+৯৩+৯৪+৯৫+১০১+১০৫+১০৬+১১১)(৬:৮২)(৭:৩২+৪২+৮৭+৮৮+৯৬+১৫৭)(৮:১২+১৫+২০+২৪+২৭+২৯+৪৫+৭২+৭৪+৭৫)(৯:২০+২৩+২৮+৩৪+৩৮+৬১+৮৬+৮৮+১১৩+১১৯+১২৩+১২৪)(১০:২+৪+৯+৬৩+৯৮+১০৩)(১১+২৩+২৯+৫৮+৬৬+৯৪+৫৭)(১৩:২৮+২৯+৩১)১৪:২৩+২৭+৩১)(১৬:৯৯+১০২)(১৭:১০৭)(১৮:১৩+৩০+১৮:১০৭)(২৯:৭৩+৯৬)(২২:১৪+১৭+২৩+৩৮+৫০+৫৪+৫৬+৭৭)(২৪:১৯+২১+২৭+৫৫+৫৮+৬২)(২৬:২২৭)(২৭:৫৩)(২৯:৭+৯+১১+১২+৫২+৫৬+৫৮)(৩০:১৫+৪৫)(৩১:৮)(৩২:১৯)(৩৩:৯+৪১+৪৯+৫৩+৫৬+৬৯+৭০)(৩৪:৪)(৩৫:৭)(৩৬:৪৭)(৩৮:২৪+২৮)(৩৯:১০)(৪০:৭+২৫+৩৫+৫১+৫৮)(৪১:৮+১৮+৪৪)(৪২:১৮+২২+২৩+২৬+৩৬+৪৫)(৪৩:৬৯)(৪৫:১৪+২১+৩০)(৪৬:১১)(৪৭:২+৩+৭+১১+১২+২০+৩৩)(৪৮:২৯)(৪৯:১+২+৬+১১+১২+১৫)(৫২:২১)(৫৭:৭+১৩+১৬+১৯+২১+২৭+২৮)(৫৮:৯+১০+১১+১২)(৫৯:১০+১৮)(৬০:১+১০+১৩)(৬১:২+১০+১৪)(৬২:৯)(৬৩:৩+৯)(৬৪:১৪)(৬৫:১০+১১)(৬৬:৬+৮+১১)(৭৪:৩১)(৮৩:২৯+৩৪)(৮৪:২৫)(৮৫:১১)(৯৫:৬)(৯৮:৭)

সূরা আল ইমরান ৩:৫৩

رَبَّنَآ ءَامَنَّا بِمَآ أَنزَلْتَ وَٱتَّبَعْنَا ٱلرَّسُولَ فَٱكْتُبْنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ

‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি যা অবতীর্ণ করেছ আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, রসূলের আনুগত্য স্বীকার করেছি, সুতরাং আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের মধ্যে লিপিবদ্ধ কর।

সূরা ইব্রাহীম ১৪:৪০

رَبِّ ٱجْعَلْنِى مُقِيمَ ٱلصَّلَوٰةِ وَمِن ذُرِّيَّتِىۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَآءِ

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত প্রতিষ্ঠাকারী বানাও আর আমার সন্তানদেরকেও, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমার প্রার্থনা কবূল কর।

#

হিন্দুদের আনকাহি মন্ত্রটিই হলো মুসলমানদের প্রথম কলেমা

মনে রাখবেন,
খুব নোংরা জলকে যেমন ফিল্টারেও পরিশোধন করা যায় না,
তেমনি খুব বেশি আরবের ব্যক্তি পূজারী খারাপ মানুষকে ভালোবেসেও কুরআনের পথে আনা যায় না।
তাই এদের সাথে যে ব্যবহার আমাদেরকে দিতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন,
(২৫/৬৩) আর রাহমানের বিশেষ বান্দাগণ তো তারাই, যারা দুনিয়ার বুকে ধীর পায়ে চলাফেরা করে। আর অশিক্ষিত মূর্খরা যখন তাদের সামনে কিছু বলে, তখন তারা বলে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

এদেরকে ত্যাগ করা উচিত। তা না হলে নিজের ক্ষতি ক্ষতি হবে।
এর পরেও যারা গালমন্দ করবে তারা সেই নোংরা আরব ব্যক্তির ফলোয়ার যারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে।
রবের শান্তির রাজ্যে সকল মুসলিমদের জানা উচিৎ,
যোগ্য মানুষ কখনও অন্যের সমালোচনা করে না কিন্তু যোগ্যতাহীন মানুষ
গুলোই অন্যের সমালোচনা করে।

উত্তরণ বেদে বলা হয়েছে

“লা-ইলাহা হরতি পাপম ইল্লা ইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি তজপি নাম মুহামদম “
সূত্র, উত্তরণ বেদ। আনকাহি, পঞ্চম অধ্যায়

অর্থ ” লা ইলাহা কহিলে পাপ মোচন হয়। ইল্লাল্লা কহিলে উচ্চ পদবী যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মোহাম্মদ নাম জপ কর।”

ইসলামের বিশেষ বার্তাবাহক রাসূলের শেখানো কলেমা হলো,

ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّن رُّسُلِهِۦ ۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ ٢٨٥

(২/২৮৫) বিশেষ বার্তাবাহক রাসূল ঈমান এনেছে যা কিছু রাসূলের রবের পক্ষ থেকে রাসূলের কাছে নাজিল করা হয়েছে, আর তদ্রুপ মুমিনরাও, এদের সবাই ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌, মালায়িকাহ ও রবের লিখিত বিধান সমূহের উপরে এবং সকল রাসূলদের উপরে। রবের বার্তাবাহক রাসূলদের মধ্যে কারোর সাথে পার্থক্য আমরা করবো না, আর তাদের ঘোষণা আমরা শুনেছি এবং মেনেও নিয়েছি। আমরা ক্ষমা চাই, হে আমাদের রব! আপনার কাছেই তো ফিরে যেতে হবে।

ঈমান
পর্ব-০৭

মুমিন কারা? মুমিনদের পরিচয় কি?
“””””””””””””””””””””””””””””””””””
নিম্নে মুমিনের
পরিচয় কুরআন থেকে
উল্লেখ করা হলো;

১★ তারাই মুমিন যারা সন্দেহাতিত ভাবে আল্লাহ্‌ এবং রসূলের প্রতি ঈমান আনে।

২★ তারাই মুমিন যারা নিজেদের ধনসম্পদ ও জান-প্রাণ দিয়ে আল্লাহ্‌র পথে জিহাদ করে।

اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰہِ وَ رَسُوۡلِہٖ ثُمَّ لَمۡ یَرۡتَابُوۡا وَ جٰہَدُوۡا بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الصّٰدِقُوۡنَ ﴿۱۵﴾

মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছে। এরাই সত্যনিষ্ঠ। (49:15)

৩★ তারাই মুমিন যাদের অন্তরে মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ শ্রদ্ধাও সম্মান থাকে। যার কারণে, মহান আল্লাহর নাম স্বরণ করলে শ্রদ্ধা ও সম্মানে তাদের অন্তর কেপে উঠে। এবং মহান আল্লাহর বাণী সমূহ পাঠ করলে ইসলামের প্রতি তাদের বিশ্বাস আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।

৪★ তারাই মুমিন যারা মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখে।

اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِیۡنَ اِذَا ذُکِرَ اللّٰہُ وَجِلَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ وَ اِذَا تُلِیَتۡ عَلَیۡہِمۡ اٰیٰتُہٗ زَادَتۡہُمۡ اِیۡمَانًا وَّ عَلٰی رَبِّہِمۡ یَتَوَکَّلُوۡنَ ۚ﴿ۖ۲﴾

মুমিন তো তারা, যাদের অন্তর সমূহ কেঁপে উঠে যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয়। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াত সমূহ পাঠ করা হয় তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং যারা তাদের রবের উপরই ভরসা করে। (8:2)

৫★ তারাই মুমিন যারা সালাত কায়েম করে।

৬★ তারাই মুমিন যারা নিজেদের সম্পদ মহান আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে।

الَّذِیۡنَ یُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَ مِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ ؕ﴿۳﴾

যারা সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি, তা হতে ব্যয় করে। (8:3)

৭★ তারাই মুমিন যারা মিথ্যা সাক্ষ দেয়না।

৮★ তারাই মুমিন যারা অনর্থক কথা-বার্তা বা অনর্থক কাজে-কর্মে কান দেইনা। বরং সেসবের পাশ দিয়ে যেতে হলে, নিজেরা নিজেই নিজেদের সম্মান রক্ষাকরে চলে যায়।

وَ الَّذِیۡنَ لَا یَشۡہَدُوۡنَ الزُّوۡرَ ۙ وَ اِذَا مَرُّوۡا بِاللَّغۡوِ مَرُّوۡا کِرَامًا ﴿۷۲﴾

আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য হয় না এবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়। (25:72)

৯★ তারাই মুমিন যারা পূর্ণ শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে সালাত পালন করে।

الَّذِیۡنَ ہُمۡ فِیۡ صَلَاتِہِمۡ خٰشِعُوۡنَ ۙ﴿۲﴾

যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত। (23:2)

১০★ তারাই মুমিন যারা অনর্থক কথা-বার্তা বলে না। এবং অনর্থক কাজ-কর্ম করে না।

وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ عَنِ اللَّغۡوِ مُعۡرِضُوۡنَ ﴿ۙ۳﴾

আর যারা অনর্থক কথাকর্ম থেকে বিমুখ।(23:3)

১১★ তারাই মুমিন যারা সঠিকভাবে যাকাত গ্রহন করে।

وَ الَّذِیۡنَ ہُمۡ لِلزَّکٰوۃِ فٰعِلُوۡنَ ۙ﴿۴﴾

আর যারা যাকাতের ক্ষেত্রে সক্রিয়। (23:4)

১২★ তারাই মুমিন যারা সমাজে নম্রভাবে চলাফেরা করে।

১৩★ তারাই মুমিন যারা অজ্ঞ লোকদের সাথে কোন বিষয়ে বাড়া-বাড়ি করে না। বরং অজ্ঞ লোকেরা যদি তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা তাদের হতে ভদ্রতার সাথে সরে যায়।

وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ ہَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَہُمُ الۡجٰہِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا ﴿۶۳﴾

আর রহমানের বান্দা তারাই যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং অজ্ঞ লোকেরা যখন তাদেরকে সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’।(25:63)

১৪★ মুমিন তারা যারা ইবাদতের সহিত রাত যাপন করে। (এবং যারা তাদের জীবন যাপন ব্যবস্খাকে রবকে মান্য করার মাধ্যমে অতিবাহিত করে বা রবকে মান্য করার উপর দাঁড় করায়।)

وَ الَّذِیۡنَ یَبِیۡتُوۡنَ لِرَبِّہِمۡ سُجَّدًا وَّ قِیَامًا ﴿۶۴﴾

আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দন্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে। (25:64)

১৫★ মুমিন তারা যারা মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নাম হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য দোওয়া করে।

وَ الَّذِیۡنَ یَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اصۡرِفۡ عَنَّا عَذَابَ جَہَنَّمَ ٭ۖ اِنَّ عَذَابَہَا کَانَ غَرَامًا ﴿٭ۖ۶۵﴾

আর যারা বলে, ‘হে আমাদের রব, তুমি আমাদের থেকে জাহান্নামের আযাব ফিরিয়ে নাও। নিশ্চয় এর আযাব হল অবিচ্ছিন্ন’।(25:65)

১৬★ মুমিন তারা যারা অপব্যয় করে না।

১৭★ মুমিন তারা যারা কার্পন্য করে না। বরং উভয়ের মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে।

وَ الَّذِیۡنَ اِذَاۤ اَنۡفَقُوۡا لَمۡ یُسۡرِفُوۡا وَ لَمۡ یَقۡتُرُوۡا وَ کَانَ بَیۡنَ ذٰلِکَ قَوَامًا ﴿۶۷﴾

আর তারা যখন ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না। বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থাকে। (25:67)

১৮★ মুমিন তারা যারা মহান আল্লাহ ছাড়া কারো থেকে সাহায্য চাই না।

১৯★ মুমিন তারা যারা খুন-খারাবি করে না।

وَ الَّذِیۡنَ لَا یَدۡعُوۡنَ مَعَ اللّٰہِ اِلٰـہًا اٰخَرَ وَ لَا یَقۡتُلُوۡنَ النَّفۡسَ الَّتِیۡ حَرَّمَ اللّٰہُ اِلَّا بِالۡحَقِّ وَ لَا یَزۡنُوۡنَ ۚ وَ مَنۡ یَّفۡعَلۡ ذٰلِکَ یَلۡقَ اَثَامًا ﴿ۙ۶۸﴾

আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহকে ডাকে না এবং যারা আল্লাহ যে নাফসকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না। আর যারা ব্যভিচার করে না। আর যে তা করবে সে আযাবপ্রাপ্ত হবে। (25:68)

অতএব, যারা এসব গুণাবলির অধিকারী হবে তারাই প্রকৃত মুমিন।

اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ حَقًّا ؕ لَہُمۡ دَرَجٰتٌ عِنۡدَ رَبِّہِمۡ وَ مَغۡفِرَۃٌ وَّ رِزۡقٌ کَرِیۡمٌ ۚ﴿۴﴾

তারাই প্রকৃত মুমিন। তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট উচ্চ মর্যাদাসমূহ এবং ক্ষমা ও সম্মানজনক রিয্ক। (8:4)

এবং তারাই সফল।

قَدۡ اَفۡلَحَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ۙ﴿۱﴾

অবশ্যই মুমিনগণ সফল হয়েছে,(23:1)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *