হিন্দুদের আনকাহি মন্ত্রটিই হলো মুসলমানদের প্রথম কলেমা
আমরা জানি
খুব নোংরা জলকে যেমন ফিল্টারেও পরিশোধন করা যায় না,
তেমনি খুব বেশি আরবের ব্যক্তি পূজারী খারাপ মানুষকে ভালোবেসেও কুরআনের পথে আনা যায় না।
তাই এদের সাথে যে ব্যবহার আমাদেরকে দিতে হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন,
(২৫/৬৩) আর রাহমানের বিশেষ বান্দাগণ তো তারাই,
১. যারা দুনিয়ার বুকে ধীর পায়ে চলাফেরা করে।
২.আর অশিক্ষিত মূর্খরা যখন তাদের সামনে কিছু বলে, তখন তারা বলে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
এদেরকে ত্যাগ করা উচিত। তা না হলে নিজের ক্ষতি হবে।
এর পরেও যারা গালমন্দ করবে তারা সেই নোংরা আরব ব্যক্তির ফলোয়ার যারা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছে।
রবের শান্তির রাজ্যে সকল মুসলিমদের জানা উচিৎ,
যোগ্য মানুষ কখনও অন্যের সমালোচনা করে না কিন্তু যোগ্যতাহীন মানুষ
গুলোই অন্যের সমালোচনা করে।
উত্তরণ বেদে বলা হয়েছে
“লা-ইলাহা হরতি পাপম ইল্লা ইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুন্ঠ অপ ইনুতি তজপি নাম মুহামদম “
সূত্র, উত্তরণ বেদ। আনকাহি, পঞ্চম অধ্যায়
অর্থ ” লা ইলাহা কহিলে পাপ মোচন হয়। ইল্লাল্লা কহিলে উচ্চ পদবী যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মোহাম্মদ নাম জপ কর।”
ইসলামের বিশেষ বার্তাবাহক রাসূলের শেখানো কলেমা হলো,
ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَـٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍۢ مِّن رُّسُلِهِۦ ۚ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ ٢٨٥
(২/২৮৫) বিশেষ বার্তাবাহক রাসূল ঈমান এনেছে যা কিছু রাসূলের রবের পক্ষ থেকে রাসূলের কাছে নাজিল করা হয়েছে, আর তদ্রুপ মুমিনরাও, এদের সবাই ঈমান এনেছে আল্লহ্, মালাইকাহ ও রবের লিখিত (বিধান ) সমূহের উপরে এবং সকল রাসূলদের উপরে। রবের বার্তাবাহক রাসূলদের মধ্যে কারোর সাথে পার্থক্য আমরা করবো না, আর তাদের ঘোষণা আমরা শুনেছি এবং মেনেও নিয়েছি। আমরা ক্ষমা চাই, হে আমাদের রব! আপনার কাছেই তো ফিরে যেতে হবে।