অর্থঃ
ছুটির /বিশ্রামের/অবকাশ যাপনের দিন/সময় /অবস্থান।ইত্যাদি।

নুদিয়া ঃ বিশ্রামের /ছুটির /অবকাশ যাপনের সময় যদি রাষ্ট্র /সমাজ/ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোন কাজের পরামশ্যের জন্য আহবান করা বা সাহায্য চাওয়া হয়, তখন সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে। আহবান শুনার পর নিজ অবস্থান( বা,ই) ছেড়ে দিয়ে দ্রত আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিতে হুকুম দেয়া হয়েছে।

ব্যক্তির /সমাজের /রাষ্ট্রের ঐই কাজকে এখানে সালাত বলা হয়েছে। যে কাজের জন্য আহবান করা হয়েছে তা শেষ হলে আবার বিশ্রামে /ছুটিতে থাকা ঐ ব্যক্তি তার স্থানে চলে যাবে সেখানে বিশ্রমে থাকা অবস্থায় আল্লাহর রহমতে সেই যে ব্যক্তির /সমাজের/রাষ্ট্রের আহবানে সাড়া দিয়ে কল্যাণ মূলক কাজ করেছে তার জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য রহমত কামনা করবে।যাতে এই রকম কাজ আরো করতে পারে। আর আহবানে সাড়া দেয়াটা হলো উত্তম কাজ যদি ঈমানদারগন বুঝতে পারে। সুরা জুমআ ; আয়াত ৯-১০.

অর্থঃ
ছুটির /বিশ্রামের/অবকাশ যাপনের দিন/সময় /অবস্থান।ইত্যাদি।

নুদিয়া ঃ বিশ্রামের /ছুটির /অবকাশ যাপনের সময় যদি রাষ্ট্র /সমাজ/ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোন কাজের পরামশ্যের জন্য সমাবেশর /একত্রিত হওয়ার আহবান করা বা সাহায্য চাওয়া হয়, তখন সেই ডাকে সাড়া দেওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।

বাইঃ
হুকুম

আহবান শুনার পর নিজ অবস্থান( বা,ই) ছেড়ে দিয়ে দ্রত আহবানকারীর আহবানে সাড়া দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার হুকুম দেয়া হয়েছে।

কারণঃ

কেননা ছুটিতে /বিশ্রামে থাকা ব্যক্তি অন্য কোন কাজ সোচ্চায় করতে চায় না।
তাই এখানে এই আহবানকে /সমাবেশে উপস্থিত হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সালাতঃ

ব্যক্তির /সমাজের /রাষ্ট্রের ঐই কাজকে এখানে সালাত বলা হয়েছে।

যিকরুল্লাহঃ

দ্রুত গিয়ে আহবানে সাড়া দিয়ে যে কাজের জন্য আহবান করা হয়েছে তা সম্পাদন করাকে যিকরুল্লাহ বলা হয়েছে।

যে কাজের জন্য আহবান করা হয়েছে তা শেষ হলে আবার বিশ্রামে /ছুটিতে থাকা ঐ ব্যক্তি তার স্থানে চলে যাবে সেখানে বিশ্রামে থাকা অবস্থায় আল্লাহর রহমতে সে যে ব্যক্তির /সমাজের/রাষ্ট্রের আহবানে সাড়া দিয়ে কল্যাণ মূলক কাজ করেছে তার জন্য আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করবে এবং ভবিষ্যতের জন্য রহমত কামনা করবে।যাতে এই রকম কাজ আরো করতে পারে। আর আহবানে সাড়া দেয়াটা হলো উত্তম কাজ যদি ঈমানদারগন বুঝতে পারে। সুরা জুমআ ; আয়াত ৯-১০.

ইয়াওমুস্ সাবত?
জুম্আর সালাত?

♦ আরবী فِى ٱلسَّبْتِ শব্দের অর্থ শনিবার(ইয়াহুদীদের)/রবিবার (খ্রীষ্টানদের) /শুক্রবার (মুসলমানদের) নয় এর অর্থ হবে বিশ্রামবারে/বিশ্রামের দিন/ছুটির দিন/অবকাশ যাপনের সময় ইত্যাদি । সূত্রঃ(গুগল ট্রেন্সেলেটর)
আমরা বিকৃত ইহুদি ধর্মের অনুকরে এর অনুবাদ করছি শনিবার যা সঠিক নয়।

ব্যাখ্যাঃ

আল্লাহ বলেছেন ;

An-Naba’ 78:9

وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا

তোমাদের ঘুমকে বিশ্রামের বস্তু বানিয়েছি;

Al-Furqan 25:47

وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلَّيْلَ لِبَاسًا وَٱلنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ ٱلنَّهَارَ نُشُورًا

তিনিই তোমাদের আচ্ছাদনের জন্য রাত, বিশ্রামের জন্য ঘুম এবং (কাজকর্মে) উঠে পড়ার জন্য দিন দিয়েছেন।

♦নির্দিষ্ট বারে বিশ্রামের দিনের সালাত(ব্যাক্তি/সমাজ /রাষ্ট্রের যে কোন কাজের জন্য আহবানকে নুদিয়া বলে আর আহবানে সাড়া দিয়ে কাজ সম্পন্ন করাকে জুমআর সালাত আদায় বলে ) যা আমরা শুক্রবার হিসাবে জানি। এই নির্দিষ্ট বারে বিশ্রামের দিনে ইবাদত অন্য নবী ও কওমের লোকদের জন্য ও ছিল।

An-Nisa’ 4:154

وَرَفَعْنَا فَوْقَهُمُ ٱلطُّورَ بِمِيثَٰقِهِمْ وَقُلْنَا لَهُمُ ٱدْخُلُوا۟ ٱلْبَابَ سُجَّدًا وَقُلْنَا لَهُمْ لَا تَعْدُوا۟ فِى ٱلسَّبْتِ وَأَخَذْنَا مِنْهُم مِّيثَٰقًا غَلِيظًا

আর তাদের কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা নেওয়ার জন্য তূর পাহাড়কে তাদের ওপরে তুলে ধরেছিলাম এবং তাদেরকে বলেছিলাম, “অবনত মস্তকে দরজায় প্রবেশ করো”; তাদেরকে বলেছিলাম, “(সাপ্তাহিক ইবাদতের জন্য) বিশ্রামের দিনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না”। এভাবে তাদের কাছ থেকে কঠোর প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম।

♦আল্লাহ্ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর (আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন) প্রশাসন সাজিয়েছেন । আর আরশে অধিষ্ঠিত হওয়ার দিনটি হচ্ছে বিশ্রামেরদিন বা জুমাবার /সাবত যাকে আমরা শুক্রবার/শনিবার /রবিবার হিসাবে জানি।

Al-A’raf 7:54

إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ يُغْشِى ٱلَّيْلَ ٱلنَّهَارَ يَطْلُبُهُۥ حَثِيثًا وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ وَٱلنُّجُومَ مُسَخَّرَٰتٍۭ بِأَمْرِهِۦٓۗ أَلَا لَهُ ٱلْخَلْقُ وَٱلْأَمْرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ

নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর (আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন)প্রশাসন সাজিয়েছেন । তিনি পরিয়ে দেন রাতের উপর দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র দৌড় স্বীয় আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।

Al-A’raf 7:163-166

(وَاسْئَلْھُمْ عَنِ الْقَرْیَةِ الَّتِیْ کَانَتْ حَاضِرَةَ الْبَحْرِﺭ اِذْ یَعْدُوْنَ فِی السَّبْتِ اِذْ تَاْتِیْھِمْ حِیْتَانُھُمْ یَوْمَ سَبْتِھِمْ شُرَّعًا وَّیَوْمَ لَا یَسْبِتُوْنَﺫ لَا تَاْتِیْھِمْﹱ کَذٰلِکَﹱ نَبْلُوْھُمْ بِمَا کَانُوْا یَفْسُقُوْنَﯲوَاِذْ قَالَتْ اُمَّةٌ مِّنْھُمْ لِمَ تَعِظُوْنَ قَوْمَاﺫ اۨللہُ مُھْلِکُھُمْ اَوْ مُعَذِّبُھُمْ عَذَابًا شَدِیْدًاﺚ قَالُوْا مَعْذِرَةً اِلٰی رَبِّکُمْ وَلَعَلَّھُمْ یَتَّقُوْنَﯳفَلَمَّا نَسُوْا مَا ذُکِّرُوْا بِھ۪ٓ اَنْجَیْنَا الَّذِیْنَ یَنْھَوْنَ عَنِ السُّوْ۬ئِ وَاَخَذْنَا الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا بِعَذَابٍۭ بَئِیْسٍۭ بِمَا کَانُوْا یَفْسُقُوْنَﯴفَلَمَّا عَتَوْا عَمَّا نُھُوْا عَنْھُ قُلْنَا لَھُمْ کُوْنُوْا قِرَدَةً خَاسِئِیْنَ )

তাদেরকে সমুদ্রের নিকটবর্তী (তীরবর্তী) সেই জনপদটি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করো; যখন (সেখানে) তারা (সাপ্তাহিক ইবাদতের জন্য) বিশ্রামের দিনের ব্যাপারে সীমালংঘন করত; যখন তাদের বিশ্রামের দিন মাছেরা পানির ওপরে ভেসে তাদের কাছাকাছি আসত, আর যে দিন তারা (সাপ্তাহিক ইবাদতের জন্য) বিশ্রামের দিন উদ্‌যাপন করত না সেদিন তারা আসত না। তাদের অবাধ্যতার কারণে এভাবেই আমি তাদেরকে পরীক্ষা করছিলাম। যেহেতু তারা সত্য ত্যাগ করত। স্মরণ কর, তাদের এক দল বলেছিল, ‘আল্লাহ যাদেরকে ধ্বংস করবেন কিংবা কঠোর শাস্তি দেবেন, তোমরা তাদেরকে উপদেশ দাও কেন?’
তারা বলেছিল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দায়িত্ব-মুক্তির জন্য এবং যাতে তারা সাবধান হয় এজন্য’, যে উপদেশ তাদেরকে দেয়া হয়েছিল তারা যখন সেটা বিস্মৃত হয় তখন যারা অসৎকার্য হতে নিবৃত্ত হত তাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং যারা জুলুম করে তারা কুফরী করত বলে আমি তাদেরকে কঠোর শাস্তি দেই। তারা যখন নিষিদ্ধ কার্য ঔদ্ধত্য সহকারে করতে লাগল তখন তাদেরকে বললাম, ‘ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও।

Al-Baqarah 2:65

وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ ٱلَّذِينَ ٱعْتَدَوْا۟ مِنكُمْ فِى ٱلسَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُوا۟ قِرَدَةً خَٰسِـِٔينَ

আর তোমাদের মধ্যে যারা (সাপ্তাহিক ইবাদতের জন্য) বিশ্রামের দিন
সম্পর্কে বাড়াবাড়ি করেছিল তোমরা তো তাদের কথা জেনেছো। তখন আমি তাদেরকে বলেছিলাম, “তোমরা নিকৃষ্ট বানর হয়ে যাও।”

♦সব যুগের মুমিনদের জন্য সাপ্তাহিক বিশেষ ইবাদতের বার এক ও অভিন্ন ছিল।মাছ ধরার উৎকৃষ্ট সময় হচ্ছে সকাল। আল্লাহ্ এই সময়ে সকল কাজ বন্ধ রেখে সমাবেশের আহবানে সাড়া দিয়ে যেতে বলেছেন। আবার সালাত শেষে(যে জন্য সমাবেশ ডেকে ছিল তা সম্পন্ন হয়ে গেলে) জমিনে ছড়িয়ে পড়তে বলেছেন। অথচ আমরা জুমার সালাত আদায় করি যোহরের সময়।

An-Nahl 16:124

إِنَّمَا جُعِلَ ٱلسَّبْتُ عَلَى ٱلَّذِينَ ٱخْتَلَفُوا۟ فِيهِۚ وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَحْكُمُ بَيْنَهُمْ يَوْمَ ٱلْقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُوا۟ فِيهِ يَخْتَلِفُونَ

(সাপ্তাহিক ইবাদতের জন্য) বিশ্রামের দিন তো তাদের জন্যই বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল যারা সে ব্যাপারে মতভেদ করেছিল। আর তারা যে ব্যাপারে মতভেদ করত, তোমার প্রভু কেয়ামতের দিন তাদের মধ্যে অবশ্যই তা মীমাংসা করবেন।

Al-Jumu’ah 62:9

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا نُودِىَ لِلصَّلَوٰةِ مِن يَوْمِ ٱلْجُمُعَةِ فَٱسْعَوْا۟ إِلَىٰ ذِكْرِ ٱللَّهِ وَذَرُوا۟ ٱلْبَيْعَۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

হে ঈমানদারগণ! যখন
জুম্‌আর /সাবতের(বিশ্রামের দিনে)
সালাতের জন্য (রাষ্ট্রের /সমাজের /ব্যক্তির কল্যাণকর কাজের জন্য) ডাক (আহবান ) করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণপানে ছুটে আসবে(আল্লাহর বিধান পালনের জন্য) এবং কেনাবেচা বন্ধ করে দেবে (এখানে বাই অর্থ হলো অর্থাৎ তোমরা যে অবস্থানে আছো তা ত্যাগ করে আহবানে সাড়া দিবে) এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পারো।

Al-Jumu’ah 62:10

فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ وَٱبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِ ٱللَّهِ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হবে,(যে কাজের জন্য আহবান করা হয়েছে তা শেষ হলে) তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ রহমত সন্ধান করবে ও বেশি করে আল্লাহকে স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। (ভবিষ্যতে এরকম কল্যাণকর কাজ আরো করতে পারো)

Al-Jumu’ah 62:11

وَإِذَا رَأَوْا۟ تِجَٰرَةً أَوْ لَهْوًا ٱنفَضُّوٓا۟ إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَآئِمًاۚ قُلْ مَا عِندَ ٱللَّهِ خَيْرٌ مِّنَ ٱللَّهْوِ وَمِنَ ٱلتِّجَٰرَةِۚ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلرَّٰزِقِينَ

তারা যখন কোন বাণিজ্য অথবা বিনোদন দেখতে পায়, তখন তার দিকে ছুটে যায় এবং তোমাকে তোমার অবস্থানে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে যায়। বল, “আল্লাহর কাছে যা আছে তা বিনোদন ও বাণিজ্যের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আর আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।”

♦ জুমার /সাবতের সালাতের মূল বিষয় হচ্ছে কুরআনের বিধানের প্রতি ঈমান আনা।

An-Nisa’ 4:47

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ ءَامِنُوا۟ بِمَا نَزَّلْنَا مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبْلِ أَن نَّطْمِسَ وُجُوهًا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰٓ أَدْبَارِهَآ أَوْ نَلْعَنَهُمْ كَمَا لَعَنَّآ أَصْحَٰبَ ٱلسَّبْتِۚ وَكَانَ أَمْرُ ٱللَّهِ مَفْعُولًا

হে কিতাবধারীগণ! আমি কতগুলো চেহারা মুছে দিয়ে তা পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার আগে কিংবা তাদেরকে আছহাবুস সাব্‌তের (বিশ্রামের দিন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ অমান্য করে শাস্তিপ্রাপ্ত ইহুদিদের) ন্যায় অভিশপ্ত করার আগেই তোমরা তোমাদের কাছে বিদ্যমান কিতাবের সত্যায়নকারী আমার অবতীর্ণ এই কিতাব (আল-কোরআন) বিশ্বাস কর। আল্লাহর আদেশ কিন্তু কার্যকর হয়েই থাকে।

Al-Jumu’ah 62:9

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا نُودِىَ لِلصَّلَوٰةِ مِن يَوْمِ ٱلْجُمُعَةِ فَٱسْعَوْا۟ إِلَىٰ ذِكْرِ ٱللَّهِ وَذَرُوا۟ ٱلْبَيْعَۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

হে মুমিনগণ, যখন জুমু‘আর /সাবতের দিনে সালাতের জন্য(রাষ্ট্রের /ব্যক্তির/সমাজের কল্যাণে কোন কাজের জন্য) আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পারো।
অর্থ্যাৎ
তোমাদের অবস্থান ত্যাগ করে আহবানে সাড়া দাও।

Al-Jumu’ah 62:10

فَإِذَا قُضِيَتِ ٱلصَّلَوٰةُ فَٱنتَشِرُوا۟ فِى ٱلْأَرْضِ وَٱبْتَغُوا۟ مِن فَضْلِ ٱللَّهِ وَٱذْكُرُوا۟ ٱللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

অতঃপর যখন সালাত সমাপ্ত হবে তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় আর আল্লাহর অনুগ্রহ রহমত হতে অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার।

Al-Jumu’ah 62:11

وَإِذَا رَأَوْا۟ تِجَٰرَةً أَوْ لَهْوًا ٱنفَضُّوٓا۟ إِلَيْهَا وَتَرَكُوكَ قَآئِمًاۚ قُلْ مَا عِندَ ٱللَّهِ خَيْرٌ مِّنَ ٱللَّهْوِ وَمِنَ ٱلتِّجَٰرَةِۚ وَٱللَّهُ خَيْرُ ٱلرَّٰزِقِينَ

আর তারা যখন ব্যবসায় অথবা ক্রীড়া কৌতুক দেখে তখন তারা তার দিকে ছুটে যায়, আর তোমাকে তোমার অবস্থানে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে যায়। বল, আল্লাহর কাছে যা আছে তা ক্রীড়া- কৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উত্তম। আর আল্লাহ সর্বোত্তম রিযকদাতা।

Al-‘Ankabut 29:45

ٱتْلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِۗ وَلَذِكْرُ ٱللَّهِ أَكْبَرُۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন যা তোমরা কর।

Fatir 35:29

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَٰبَ ٱللَّهِ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنفَقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَٰرَةً لَّن تَبُورَ

যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে তাদের এমন ব্যবসায়ের যার ক্ষয় নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *