বিদায় হজ্জ

বিদায় হজ্জের ভাষণ নিয়ে চরম মিথ্যাচার

যুগ যুগ ধরে ধর্মখোর,ধর্মব্যবসায়ীরা আমাদেরকে জানানো ও শেখানো হয়েছে যে রাসূলের বিদায় হজ্বের ভাষণে ২টি জিনিস রেখে গেছেন,কোরআন ও নবীর সুন্নাত।অথচ এই হাদীসটি সিহাহ সিত্তাহ ভুক্ত ৬টি হাদীস গ্রন্থের একটিতেও নাই। এবারে আসা যাক সিহাহ সিত্তায় তাইলে বিদায় হজ্বের বর্ণনায় আছেটা কি !

বিদায় হজ্বের বর্ণনা নিয়ে ৩টা হাদীস পাওয়া যায় যা হাদীস বিদদের কর্তৃক সহীহ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত,সিহাহ সিত্তাহ ভুক্ত গ্রন্থসমূহে (মুসলিম,আবু দাউদ ও ইবনে মাজায়)।আসেন সেই তিনটা হাদীস দেখে নেওয়া যাক,সেখানে কয়টা জিনিস নবী রেখে গেছেন মর্মে উল্লেখ আছে

▮১▮আমি তোমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বস্তু রেখে যাচ্ছি। আমার পরে যদি তোমরা তা মজবুত ভাবে ধারণ কর,তবে তোমরা কখনও গোমরাহ্ হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব।

রেফারেন্স,সুনানে আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) হাদীস নং ১৯০৩

▮২▮আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না।তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।”

রেফারেন্স,সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হজ্জ অধ্যায়,হাদীস নং ২৮২১,সহীহ মুসলিমের

▮৩▮আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি যা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।

রেফারেন্স,সুনানু ইবনে মাজাহ,হজ্জ অধ্যায় (পরিচ্ছেদ ১৯/৮৪) হাদীস নং ৩০৭৪

পৃথিবীতে যত নবী রাসূল এসেছে তারা কেউ আল্লাহর কিতাব ব্যতিত নিজের নামে কোন কিতাব লিখে যাননি কিন্তু তাদের নামে অন্যরা লিখেছে তাহলে সেইব কিতাব গুলো কতটা সত্য হতে পারে!!

নবী নিজেই কুরআন লিপিবদ্ধ করেননি বরং তা কিতাব আকারে এসেছে।

আল্লাহ বলেন ;

ইতিপূর্বে (কুরআনের আগে)আপনি কোন কিতাব পড়তেন না এবং স্বহস্তে লিখতেনও না,যদি এমনটি হতো,তাহলে মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করতে পারতো।(২৯:৪৮)

এভাবেই হাদিস ইসলামকে মানে আল্লাহর দেয়া বিধানকে করেছে ধর্মগুরুদের উপর নির্ভরশীল। সালাত যা মানুষের কর্ম সংশোধন করত বা আল্লাহর আদেশ,নিষেধ জানাতো তা হয়ে গেছে নামাজ পড়া। যাকাত যা ছিল পরিশুদ্ধতা ,তা আটকা গেছে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে ও নির্দিষ্ট পারসেন্টেজে।

হাদিসের মাধ্যমে এভাবেই ধর্ম আজ মিলিয়ন ডলারের বিজনেস।আর এ ব্যবসায় সেরা হচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরবের তেল না থাকলেও তথাকথিত হাদিসের হজ্বের মাধ্যমেই ১৩৯ বিলিয়ন ডলার বছরে তাদের ইনকাম থাকবেই!কালো পাথর!সাতবার ঘোরা!শয়তানকে পাথর মারা এবং যমযমের পানি আরও নানাবিধ কর্মকান্ড যা হাদিসের উপর দাঁড়িয়ে,তাদের আয়ের বিশাল মাধ্যম।এটাই কি কোরআনের হজ্ব?

নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির,যারা উপলদ্ধি করে না।(সূরাঃ আল আনফাল:২২)

আমরা সবাই জানি অর্থাৎ আমাদেরকে জানানো ও শেখানো হয়েছে যে নবী মুহাম্মাদ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে ২টি জিনিস রেখে গেছেন, কোরআন ও নবীর সুন্নাত
“আমি তোমাদের ভেতর এমন বস্তু রেখে গেলাম, যদি সেটি আঁকড়ে ধর তাহলে তোমরা কখনো গোমরাহ হবে না: আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নত”
[মুয়াত্তা মালেক ৪৬/১.৩, মুরসাল হাদীস]
অথচ এই হাদীসটি সিহাহ সিত্তাহভুক্ত ৬টি হাদীস গ্রন্থের একটিতেও নাই !
তাইলে এই কথার সোর্স কি ??
এই বহুল প্রচলিত কথাটা আসছে মুয়াত্তা মালিকের ৪৬/১.৩ থেকে যা প্রচলিত হাদীস যাচাই বাছাই পদ্ধতির ক্রাইটেরিয়া অনুসারে একটি মুরসাল হাদীস। মুরসাল মানে হাদীসের বর্ণনায় কোন রাবীর নাম বাদ পড়া, অর্থাৎ এর বর্ণনাকারী পূর্ববর্তী কোন বর্ণনাকারীর নাম বলতে না পারলে সেটা মুরসাল হাদীস !
হাদীসের লিংক
https://www.iium.edu.my/deed/hadith/malik/046_mmt.html
এছাড়া আরো লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বিদায় হজ্জের ভাষণ এতো বড় আর গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলেও টোটাল বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের থেকে মাত্র এই এক লাইনই বর্ণনা করতে পেরেছেন রাবী ! বাকি জিনিস তার মনে নাই ! লক্ষাধিক মানুষের সামনে দেওয়া এই ভাষণের মাত্র এই ১টা লাইনই মনে আছে রাবীর, কি আশ্চর্য !
এবারে আসা যাক সিহাহ সিত্তাহয় তাইলে বিদায় হজ্জ্বের বর্ণনায় আছেটা কি !
বিদায় হজ্জ্বের বর্ণনা নিয়ে ৩টা হাদীস পাওয়া যায় যা হাদীসবিদদের কর্তৃক সহীহ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত, সিহাহ সিত্তাহ ভুক্ত গ্রন্থসমূহে (মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজায়)। আসেন সেই তিনটা হাদীস দেখে নেওয়া যাক, সেখানে কয়টা জিনিস নবী রেখে গেছেন মর্মে উল্লেখ আছে
▮১▮
আমি তোমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বস্তু রেখে যাচ্ছি। আমার পরে যদি তোমরা তা মজবুত ভাবে ধারণ কর, তবে তোমরা কখনও গোমরাহ্ হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব।
রেফারেন্স
সুনানে আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদীস নং ১৯০৩
https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=4&hadi…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *