মাসজিদ আল হারাম
নিষিদ্ধ মসজিদ

৯ঃ২৮

পর্ব-২

At-Taubah ৯:২৮

يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اِنَّمَا الْمُشْرِكُوْنَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هٰذَا ۚ وَاِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيْكُمُ اللّٰهُ مِنْ فَضْلِهٖۤ اِنْ شَآءَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ –

প্রচলিত অনুবাদ

হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র। সুতরাং এ বছরের পর তারা যেন মসজিদুল-হারামের নিকট না আসে। আর যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশংকা কর, তবে আল্লাহ চাইলে নিজ করুনায় ভবিষ্যতে তোমাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

মসজিদ অর্থ:

মাসজিদ আসছে সুজুদ থেকে, যার অর্থ মান্য করা বা মেনে নেয়া। মাসজিদ মানে মান্যরত অবস্থায় থাকা।

মাসজিদ আল হারাম হলো নিষিদ্ধ মাসজিদ। কাফির/মুশরিকরা যদি আল্লাহর দেয়া নিষিদ্ধ জিনিস (যেমন হত্যা, ফিতনা, ফ্যাসাদ, শিরক, ফুজারি/পাপাচার) মান্যরত অবস্থায় থাকে, তাহলে সেটাই হলো মাসজিদ আল হারাম।

নিষিদ্ধ মসজিদ কোনটি?

মানব তৈরি মসজিদ গুলো মাসজিদ আল হারাম বা নিষিদ্ধ মসজিদ (শিরকের আড্ডাখানা)। আর মুশরিকদের তৈরি রিচুয়ালের আড্ডাখানা হলো নিষিদ্ধ মাসজিদ। আর মুশরিকদের অপবিত্র বলেছেন আল্লাহ কুরআনে।

৯ঃ২৮ এর সঠিক অনুবাদ।

হে যারা ঈমান এনেছো!

ইন্নামা আলমুশরিকুনা নাজাসুনঃ
নিশ্চয়ই মুশরিকরা নাপাক/অপবিত্র

“ফা লা ইয়াক্বরাবুঃ
সুতরাং (ফা) কাছে যেওনা/এসোনা/নিকটবর্তী হইয়ো না (লা ইয়াক্বরাবু)”

আল মাসজিদ আল হারামঃ
নিষিদ্ধ মাসজিদের

 আর প্রচলিত অনুবাদে “ফা লা ইয়াক্বরাবু” কে দুর্নীতি করে লিখছে “সুতরাং তাদেরকে কাছে এনো না মাসজিদুল হারামে।” এই অংশে “তাদের” শব্দটার আরবি কোথায়? “ইয়াক্বরাবু” ক্রিয়ার পরে কি “হুন্না” বা “তাদেরকে” শব্দটা আছে?

যদি আল্লাহ বলতেন “ফা লা ইয়াক্বরাবুহুন্না ফি আল মাসজিদ আল হারাম” তাহলে প্রচলিত অনুবাদটা সঠিক হতো।

অর্থাৎ
নিষিদ্ধ মাসজিদ হলো মুশরিকদের রিচুয়ালে ভরা। সুতরাং মুমিনদের অপবিত্র মুশরিক এবং তাদের মাসজিদ আল হারামের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করা হচ্ছে ৯ঃ২৮।

অথচ
কত সহজে অনুবাদে দুর্নীতি করে বিষয়টাকে পুরাই বিপরীতমুখী করে রাখা হয়েছে (অর্থাৎ মাসজিদ আল হারাম কে পবিত্র মাসজিদ করে রাখা হয়েছে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *