আল্লাহ কোরআনে কাদের ধ্বংস কামনা করেছেন বা কোন বিষয়ে আল্লাহ সবচেয়ে ক্রুদ্ধ হয়েছেন?

আল্লাহর বলা ধ্বংসের লিস্টে আপনি পর্দা না করা,নামাজ না পড়া,হজ্ব না করা,রোজা না করা,কুরআন মুখস্থ না করা বা সুর করে না পড়া ইত্যাদি প্রচলিত কিছুই পাবেন না।আসুন দেখি আল্লাহর বলা ধ্বংস কাদের জন্য

১) ধ্বংস প্রত্যেক মিথ্যাবাদী(যারা আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে) পাপাচারীর জন্য।
(সুরা জাসিয়াহ-৭)

মানুষ জীবনে যত নামাজ ছুটে যাওয়ায় ভয়ে থাকে মানুষ তত কি আল্লাহর আয়াত নিয়ে মিথ্যা বলার ভয়ে থাকে ?
নামাজ ছুটে যাওয়ার জন্য যেই পাপবোধ হতো,তা কি আয়াতকে মিথ্যা বলার জন্য হতো?
সমাজ বেনামাজীকে যেভাবে দেখে সেভাবে কি আল্লাহর আয়াতের মিথ্যাবাদীকে দেখে?

২) ধ্বংস তার যে মানুষের ( মুসলিমদের) পিছনে অপবাদ রটায়। ধ্বংস তার যে মানুষকে (মুসলিমদেরকে) সামনে অপমানিত করে।(সুরা হুমাযাহ-১)

আমাদের সমাজে পর্দা করা মেয়ে প্রচুর পাবেন। কেউ একজন তাকে দেখে ফেললে সে গিল্টি ফিল করে কিন্তু সামনে পিছনে (অন্যের) মুসলিমদের নিন্দা করে তার গিলটি ফিল হয় না। সে অন্যকে পর্দা করতে উৎসায়িত করে কিন্তু সে অন্যের নিন্দা শুনে।

৪) ধ্বংস (আয়াত অস্বীকারকারীর) সেই ব্যক্তির যে জীবনোপকরণ সমূহ তার জন্য নিদির্ষ্ঠ করে রাখে এবং তার হিসাব কঠিন ভাবে রাখে।(সুরা হুমাযাহ-১,২)

আয়াত অস্বীকারতারীগন জীবনোপকরণ( সম্পদ) জমা রাখে এবং তা গুনে রাখে ভবিষৎতের ভয়ে। কারো বিপদে সেই সাহায্য করেনা,নিজে বিপদে পড়বে বলে। এটাই কি আল্লাহর আদেশ?

৫) ধ্বংস সে সব সালাতকারীর যারা তাদের সালাত সম্পর্কে উদাসীন।( সুরা মাউন-৪)

মানে যারা কুরআন জানায় উদাসিন মানে আল্লাহর আদেশ জানায়।কেননা জেনেই কায়েম করতে হয়।

৬) ধ্বংস তাদের যারা ভারসাম্যহীন জীবন যাপন করে ।(মুতাফ্যিফিন-১)

আল্লাহর বলা এই আদেশ যদি আমাদের হাজ্বি ব্যবসায়ী/জনগণ পালন করতেন,তাহলে সমাজের এ অবস্থা হত না।

৭) ধ্বংস ঐ সকল মিথ্যারোপকারীর যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে।(মুতাফ্যিফিন-১০,১১)

৮) ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং সামান্য মূল্য লাভের জন্য বলে এটা আল্লাহর নিকট হতে।(সুরা আল বাকারা-৭৯)

৯) ধ্বংস ও কঠিন শাস্থি ঐ সকল কাফিরদের জন্য নির্দিষ্ট,যারা পরকালের তুলনায় দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয় এবং আল্লাহর পথ হতে লোকদেরকে বাঁধা প্রদান করে।(সুরা ইবরাহিম-২,৩)

দুনিয়াবী স্বার্থে আয়াত অস্বীকারকারীগন অন্যের ব্যাপারে উদাসিন থাকে,জুলুম করে, এবং নিজের সুবিধা ভোগের জন্য তা গুনে গুনে রাখে, আবার আল্লাহর বলা পথে ব্যয় করাতে বাধা দেয় যেমন এতিম আত্নীয় ও অভাবী,প্রতিবেশীর হক আদায় করে না।
তারা এই লিস্টে পড়ে গেছে।

১০) ধ্বংস তাদের যারা মহান দিবসের উপস্থিতিকে অস্বীকার করে।(সুরা মরইয়াম-৩৮)

মানে যাদের বিচার দিবস নিয়ে কোন ভয় নেই।

১১) ধ্বংস ঐ সকল লোকদের যারা আল্লাহ সম্পর্কে অযথা মিথ্যা কথা বানায়।(সুরা আম্বিয়া-১৮)

এই লিস্টে পড়ে গেছে আমাদের হুজুররা,এরাই আমাদের আল্লাহ সম্পর্কে জানতে না দিয়ে নিজেদেরই জ্ঞানী প্রমাণ করতে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বানায়।

১২) ধ্বংস ঐ সকল কাফিরদের যারা ধারনা করে আসমান,যমীন ও এর মাঝে যা কিছু আছে,আল্লাহ সেগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেছেন।(সুরা সা’দ-২৭)

আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে যাদের বাজে ধারণা তারা।

১৩) ধ্বংস তাদের যাদের অন্তর আল্লাহর স্মরণ হতে কঠোর হয়ে গেছে।(সুরা যুমার-২২)

আল্লাহর স্মরণ মানে আল্লাহ আল্লাহ জিকর করা নয় বরং আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী কাজ করা।

১৪) ধ্বংস তাদের যারা আল্লাহর সাথে শরীক করে।
(সুরা হা- মীম সাজদাহ-৬)

এই কাজ আমরা সবাই করছি,আল্লাহর বিধানের পাশা পাশি আমরা অনেক ব্যক্তির ফতোয়া,মতবাদ মানছি, নবী,সাহাবী,ধর্মগুরুর,চলমান রাসুলের নামে। আরএটাই শিরক। আল্লাহ কুরআন বিস্তারিত বলার পরও মানতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *