পর্ব: ০১
দ্বীনের নামে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হওয়া নিষেধ ;
আল্লাহ বলেন;

وَٱعْتَصِمُوا۟ بِحَبْلِ ٱللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا۟ۚ وَٱذْكُرُوا۟ نِعْمَتَ ٱللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَآءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِۦٓ إِخْوَٰنًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ ٱلنَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمْ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ

আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে (কুরআনকে) দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না। আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। তারপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ভালবাসার সঞ্চার করেছেন। অতঃপর তাঁর অনুগ্রহে তোমরা ভাই-ভাই হয়ে গেল। আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াত সমূহ বয়ান করেন, যাতে তোমরা হিদায়াত প্রাপ্ত হও।(আলে-ইমরান ৩:১০৩)

مِنَ ٱلَّذِينَ فَرَّقُوا۟ دِينَهُمْ وَكَانُوا۟ شِيَعًاۖ كُلُّ حِزْبٍۭ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ

যারা নিজদের দীনকে বিভক্ত করেছে এবং যারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে (তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না)। প্রত্যেক দলই নিজদের যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।(আর-রূম ৩০:৩২)

إِنَّ ٱلَّذِينَ فَرَّقُوا۟ دِينَهُمْ وَكَانُوا۟ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِى شَىْءٍۚ إِنَّمَآ أَمْرُهُمْ إِلَى ٱللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُوا۟ يَفْعَلُونَ

নিশ্চয়ই যারা নিজেদের দ্বীনের মধ্যে নানা মতবাদ সৃষ্টি করে ওকে খন্ড বিখন্ড করেছে এবং বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে, তাদের সাথে কোন ব্যাপারে তোমার কোন দায়িত্ব নেই, তাদের বিষয়টি নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সমর্পিত, পরিশেষে তিনিই তাদেরকে তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে অবহিত করবেন।(আল-আন’আম ৬:১৫৯)

وَلَا تَكُونُوا۟ كَٱلَّذِينَ تَفَرَّقُوا۟ وَٱخْتَلَفُوا۟ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُۚ وَأُو۟لَٰٓئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ

তোমরা তাদের মত হয়ো না যারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং তাদের কাছে নিদর্শন সমূহ আসার পরও মতভেদ করেছিল। ওদের জন্য রয়েছে বিরাট শাস্তি। (আলে-ইমরান ৩:১০৫)

#

স্রষ্টার দ্বীনে আমৃত্যু লিপ্ত থাকার ধারাবাহিক করনীয় কাজ সমূহঃ

১। প্রথমে স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস আসার পরের কাজটাই হল সিয়াম বা আল্লাহর যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

২। সিয়ামের মাধ্যমে আল্লাহর নাজিলকৃত কিতাব খুঁজে বুঝে পড়ে আল্লাহর স্বরুপ সহ বিধান, বিভিন্ন কাহিনী ও উপমার শিক্ষা, করনীয়, বর্জনীয় ইত্যাদি সম্মন্ধে সম্মক ধারনা নিয়ে মুত্তাকী বা আল্লাহ সচেতনতা অর্জন।

৩। সিয়ামে প্রাপ্ত জ্ঞান ও হিকমা সমূহ সার্বক্ষনিক স্মরনে/জিকিরে রেখে যাবতীয় কর্ম/সালাত সম্পাদন বা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশুদ্ধি/যাকাত অর্জন।

৪। এভাবেই সার্বক্ষনিক কাজ/সালাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জীবন যাপনে আমৃত্যু পরিভ্রমণে/বিচরনে/তাওয়াফে/হজ্জে থাকা।

৫। এভাবে চলমান/হজ্জে থাকার কোন পর্যায়ে বাঁধা প্রাপ্ত হলে বা কাজে ভুল বা কোন অন্যায় করে ফেলে মুত্তাকী বৈশিষ্টে ঘাটতি হয়ে গেলে পুনরায় সিয়াম করা। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ, জরিমানা, শাস্তি গ্রহনের পর কৃত ভুলের জন্য তওবা করা। ভুলের কারন শুধরানোর জন্য ও প্রয়োজনীয় জ্ঞানের ঘাটতি পূরনের জন্য ভুলের স্তর অনুযায়ী ৩/৭/৩০/৬০ বা প্রয়োজনীয় সংখ্যক দিন সমূহে পুনরায় সিয়াম পালন করা যাতে আল্লাহর বিধান বুঝার যে ঘাটতির কারনে ভুল হয়েছে তা থেকে মুক্ত হয়ে পুনরায় আল্লাহ সচেতন/মুত্তাকী হওয়া যাতে ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয়।

এভাবে আমৃত্যু পরিশুদ্ধ জীবন যাপনেই সফলতা ইনশাআল্লাহ।

#

আল্লাহকে দয়ালু হিসেবে মেনে নিতে কাফের, মুশরিক, মুনাফিক, কারোরই কোন আপত্তি থাকার কথা নয়।
কিন্তু ‘সর্বশক্তিমান’ হিসেবে মেনে নিতে প্রত্যেকের আপত্তি। ফেরাউন মেনে নিতে রাজি ছিল না।

রহমান শব্দের অর্থ :

রাহমান শব্দের অর্থ ‘পরম করুণাময়’ এটা প্রচলিত অর্থ। আয়াত অনুযায়ী হয় ‘সর্বশক্তিমান’।
ফুরকান:৫৯-তিনি আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং এগুলির মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় পর্বে/মূহুর্তে /(দিনে) সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি (আরশে সমাসীন হন;)তার প্রশাসন সাজানোর কাজ সম্পন্ন করেন তিনিই রাহমান/সর্বশক্তিমান,কাজেই তাঁর সম্বন্ধে যে অবগত আছে তাকে জিজ্ঞেস করে দেখ।
ফুরকান:৬০ -যখন তাদেরকে বলা হয় তোমরা ‘রাহমান’কে সেজদা/মান্য কর। তখন তারা বলে, ‘রাহমান’ আবার কে? তুমি কাউকে সেজদা/মান্য করতে বললেই কি আমরা তাকে সেজদা/মান্য করব?
এতে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়।

রহমান যদি শুধু দয়ালু বুঝাতো সেজদা/মান্য করতে কারো আপত্তি থাকার কথা ছিল না।
ইয়াসিন:২৩-আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্য ইলাহ গ্রহণ করব? রাহমান আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের সুপারিশ আমার কোন কাজে আসবেনা এবং তারা আমাকে উদ্ধারও করতে পারবেনা।
এই আয়াতে লক্ষ্য করুন রাহমান অর্থ শুধু যদি দয়াময় হয় তাহলে তিনি কখনোই কারো ক্ষতি করতে পারেন না। রাহমান অর্থ সর্বশক্তিমান, তিনি ক্ষমাও করতে পারেন শাস্তিও দিতে পারেন।

‘রাহমান’ যে আয়াত গুলোতে আছে পড়ে দেখুন বুঝতে পারবেন-২১:৩৬,৪২ ; ৩৬:১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *