আল ক্বুরআনে -ক্বুরআনের পরিচয়।

 আল ক্বুরআনুল কারীম-ই পূর্ণাঙ্গ, পরিপূর্ণ, যথেষ্ট, পূর্ণবিবৃত, বিস্তারিত, ব্যাখ্যাকৃত, সন্দেহমুক্ত, কন্টকমুক্ত,বক্রতামুক্ত, সর্বন্যায়নিষ্ঠ, সর্বস্বচ্ছ, সর্বসুন্দর, বলিষ্ঠ, সকল কিছুর বর্ণনা সম্বলিত এবং সামগ্রীক ব্যাখ্যাসহ অবতীর্ণ তথা মানবজীবনের সকল যুগের সকল স্তরের সয়ংক্রিয়, কার্যকরী, প্রাণবন্ত, চিরস্থায়ী, সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক সমাধান গ্রন্থ ও একক, একমাত্র, অবিকল্প সংবিধান।

কুরআনের নাম সমূহ

আল্লাহ, কুরআনের নাম রেখেছেন,

১।কুরআনুল আজিম,১৫:৮৭
অর্থঃমহান কুরআন,
২।কুরআনুম মাজিদ,৮৫:২১
মর্যাদাপুর্ন কুরআন,
৩।কুরআনিম মুবিন,১৫:১
সুস্পষ্ট কুরআন,
৪.আল,কুরআন,২৭:৯২
৫:কুরআনিল হাকিম,৩৬:২
প্রজ্ঞাময়/বিজ্ঞানময়ম কুরআন,
৬:কুরআনুন কারিম,৫৬:৭৭
সম্মানিত কুরআন,
৭:কুরআনান আজাবা ৭২:১
বিস্ময়কর কুরআন,—————-
অথচ কথিত, আশেকে রাসুল, নবি প্রেমি,রাসুলের অনুসারিগন,
কুরআনের নাম পরিবর্তন করে, নাম দিয়েছে, কুরআন শরিফ,আর তাদের রচিত হাদিসের নাম ও হাদিস শরিফ, অর্থাত কুরআনের সমকক্ষ করে আল্লাহর সাথে শরিক স্থাপন করেছে,
যেখানে আল্লাহ বলেছেন তারঁ বাক্য কথা বা শব্দের কোন পরিবর্তন বা রদবদল নেই, না অগ্র হতে না পিছন হতে।৬:১১৫)৫০:২৯)১৮:২৭)৪১:৪২)অর্থাৎ উক্ত আয়াত অনুযাই যারা কুরআনের নাম পরিবর্তন করে কুরআন শরিফ নাম রেখেছে, তারা ২৯:৪৭) আয়াত অনুযাই কাফের ও মুশরিক।
আর কাফির ও মুশরিকদের আবাসস্থল কোথায় তা সকলেরই জানা আছে।

⛔”কুরআনের বৈশিষ্ট্যসমূহ”⛔

✅ কুরআন উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ।

➡️ “আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি?” – (৫৪:১৭, ২২, ৩২, ৪০)

✅ কুরআনের ‌আয়াতসমূহ বক্রতামুক্ত।

➡️ “সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি।” – (18: 1)

✅ কুরআন সন্দেহমুক্ত।

➡️ “এটা ঐ কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশ।” – (2: 2)

✅ কুরআন সুস্পষ্ট।

➡️ “আলিফ-লাম-র, এগুলো কিতাবের এবং সুস্পষ্ট কুরআনে আয়াত সমূহ।” – (15: 1)

✅ কুরআন বিস্তারিত।

➡️ “আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত।” – (7: 52)

✅ কুরআন যথেষ্ট।

➡️ “এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে।” – (29: 51)

✅ কুরআন পথনির্দেশকারী গ্রন্থ।

➡️ “এবং নিশ্চিতই এটা মুমিনদের জন্যে হেদায়েত ও রহমত।” – (27: 77)

 আল কুরআনুল কারীমের আলোকে আল কুরআনুল কারিমের পরিচয় নিম্নরূপ ;

১. কুরআন-ই আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ; ইয়াসিন-৩৬/৫, শুয়ারা-২৬/১৯২, নামল-২৭/৬, ঝুমার-৩৯/১, মুমিন-৪০/১, হামীম সাজদা-৪১/২।
কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহর তরফ থেকে অবতীর্ণ,

২. কুরআন-ই আল্লাহর নাযিলকৃত অহী যা রসূল (সঃ)-এর মুখ দিয়ে প্রকাশিত; আনয়াম-৬/১৯, নাজম-৫৩/৩,৪।

৩.কুরআন-ই হচ্ছে আল্লাহর একমাত্র কিতাব ; বাকারাহ-২/২,৪৪,১৫১,১৭৪, ১৭৬,১৭৭,২৩১, ইমরান-৩/৩,৭,৭৮,৭৯,১৬৪, নিসা-৪/৪৪,১০৫,১১৩,১২৭,
১৩৬,১৪০, মায়িদা-৫/৪৮, আনয়াম-৬/৯২, আরাফ-৭/২,৫২,১৯৬, হামীম সাজদা-৪১/৪১।

৪. আল কুরআনুল কারীম সরল, প্রাঞ্জুল, সুস্পষ্ট আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করা হয়েছে ; ইউসুফ-১২/২, শুয়ারা-২৬/১৯৫, হামীম সাজদা-৪১/৩।

৫. আল কুরআন জিবরীল দ্বারা অবতীর্ণ করা হয়েছে ; শুয়ারা-২৬/১৯৩।

৬. কুরআন আল্লাহ রব্বুল আলামীন রসূল -এর অন্তরে/হ্রদয়ে ঢেলে দিয়েছেন/সমাবেশ ঘটিয়েছেন/স্থাপন করে দিয়েছেন ; শুয়ারা-২৬/১৯৪, কিয়ামাহ-৭৫/১৬-১৮।

৭. কুরআনের উল্ল্যেখ পূর্ববর্তী কিতাব সমূহ বিদ্যমান ছিল ; শুয়ারা-২৬/১৯৬।

৮. কুরআন অনারবী ভাষায় নাযিল হয়নি কেন ; শুয়ারা-২৬/১৯৮-২০০,হামীম সাজদা-৪১/৪৪।
৯. কুরআন প্রশংসিত রাসূলের উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে ; মুহাম্মাদ-৪৭/২।

১০. কুরআন রমাদ্বান মাসে অবতীর্ণ করা হয়েছে ; বাকারাহ-২/১৮৫।

১১. কুরআন লাইলাতুল ক্বদরে অবতীর্ণ করা হয়েছে ; ক্বদর-৯৭/১।

১২. কুরআন ধীরে ধীরে নাযিল হয়েছে ; দাহর-৭৬/২৩।

১৩. কুরআন নাযিলের রাত বরকতময়, কল্যানময় ; দুখান-৪৪/৩।

১৪. কুরআন নাযিলের রাত হাজার মাসের চেয়েও অনেক অনেক উত্তম ;
ক্বদর-৯৭/৩।

১৫. আল কুরআনুল কারীম পাঠ ফরজ করা হয়েছে ; আলাক-৯৬/১,৩, কাসাস-২৮/৮৫, নূর-২৪/১।

১৬. আল কুরআন পাঠের নির্দেশ ; আনকাবুত-২৯/৪৫, কাহাফ-১৮/২৭।

১৭. আল কুরআন যথাযথ ভাবে/হক আদায় করে/বুঝে বুঝে পাঠ করতে হবে ; বাকারাহ-২/১২১।

১৮. ওলামা/আলিমদের প্রধান-প্রথম দায়িত্ব কুরআন তথা আল্লাহর কিতাব গভীরভাবে বুঝে/অনুধাবন করে পাঠ করা ; ফাতির-৩৫/২৮,২৯।

১৯. কুরআন পাঠ করে তদানুযায়ী কার্যক্রম/আমলা কার্যপ্রণালী বাস্তবায়ন না করে আত্নভোলা হওয়ার প্রতি আল্লাহর কঠিন ধমক ও ভৎর্সনা ; বাকারাহ-২/৪৪, সাফ্‌ফ-৬১/২,৩।

২০. কুরআনকে বহন করে অথচ কুরআন পাঠ করত: অনুধাবন করে কার্যকর করে/আমল করে না উপরন্ত মিথ্যায়িত করে তাদেরকে আল্লাহ রব্বুল আলামীন গাধার সাথে উপমা দিয়েছেন ; সাফ্‌ফ-৬১/৫।

২১. যারা কুরআনের আয়াত দ্বারা সমৃদ্ধি হওয়ার পরও অন্য কিছু তথা দুনিয়ার দিকে ঝুকে যায় তাদের আল্লাহ জিহ্বা বের করা কুকুরের সাথে তুলনা করেছেন ; আরাফ-৭/১৭৫-১৭৭।

২২. যারা কুরআনুম মুবীনের আয়াত/-শিক্ষা ভালভাবে মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করে না/বুঝে না/মানে না –তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা সর্বনিকৃষ্ট জীব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ; আনফাল-৮/২২,৫৫, বায়্যিনাহ-৯৮/৬।

২৩. যারা আল্লাহ প্রদত্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে আল্লাহর আয়াত বুঝে না/শুনে না/দেখে না তারা চতুষ্পদ পশুর চেয়েও অধম ও অতিব পথহারা, পথভ্রষ্ট ; আরাফ-৭/১৭৯।

২৪. কুরআন থেমে থেমে, বুঝে বুঝে, ধীরে ধীরে, সুষ্ঠভাবে পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন ; মুঝ্‌ঝাম্মিল-৭৩/৪, ত্বহা-২০/১১৪, কিয়ামাহ-৭৪/১১।

২৫. কুরআন পাঠের সময় নিরবে, নিশ্চুপ, হয়ে শ্রবণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ; আরাফ-৭/২০৪।

২৬. কাফিরদেরকে কুরআন পাঠ করে শুনালেও তারা তা মানে না ও বিনীত হয় না ; ইনশিক্বাক-৮৪/২১।

২৭. আল কুরআন সরাসরি আল্লাহ-ই শিক্ষা দেন অর্থাৎ আল্লাহ-ই হচ্ছেন কুরআনের শিক্ষক ; আর রহ্‌মান-৫৫/২, আ’লা-৮৭/৬, ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৭।

২৮. কুরআন পাঠে গভীর মনোনিবেশ না করার প্রতি ধমক ; নিসা-৪/৮২, হাদীদ-৫৭/২৪, স্বদ-৩৮/২৯।

২৯. কুরআনুল কারীমের সংরক্ষক স্বয়ং আল্লাহ রব্বুল আলামীন ; হিজর-১৫/৯।

৩০. কুরআন পড়িয়ে, বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহর-ই ; ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৭।

৩১. কুরআনের বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আল্লাহ রব্বুল আলামীন নিজেই নিজের
উপর আবশ্যক করে নিয়েছেন ; ক্বিয়ামাহ-৭৫/১৯, আর রহ্‌মান-৫৫/৪।

৩২. কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে ব্যাখ্যাকৃত ও বিশ্লেষিত ; হুদ-১১/১, হামিম
সাজদা-৪১/৩।

৩৩. এই কুরআন-ই একমাত্র ওহী ; শুরা-৪২/৭,৫২, আনয়াম-৬/১৯, ইউসুফ-
১২/৩, বনী ইসরাঈল-১৭/৯।

৩৪. কুরআনের ব্যাখ্যা কুরআন-ই ; বাকারাহ-২/৯৯, আরাফ-৭/৫২, ১৭৪,
আনয়াম-৬/৫৫, ১০৫, ১২৬, হুদ-১১/১, ৬, বনী ইসরাঈল-১৭/১২, ৪১, ৮৯,
কাহাফ-১৮/৫৪।

৩৫. কুরআন ভাগ ভাগ করে পড়ে বুঝার জন্য নাযিল করা
হয়েছে ; বনী ইসরাঈল-১৭/১০৬।

৩৬. কুরআন-ই একমাত্র সর্বোচ্চ সরল, সঠিক প্রদর্শন করে ; বনী ইসরাঈল-
১৭/৯।

৩৭. কুরআন-ই মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত ; বাকারাহ-২/২।

৩৮. এই কুরআন-ই হেদায়া ; জাসিয়া-৪৫/১১।

৩৯. এই কুরআন-ই সর্বোত্তম তাফসীর ; ফুরকান-২৫/৩৩।

৪০. এই কুরআন-ই সব কিছুর সুস্পষ্ট বয়ান ; আল ইমরান-৩/১৩৮, হিজর-
১৫/১, ইয়াসিন-৩৬/৬৯।
৪১. এই কুরআন-ই সব কিছুর বর্ণনা, ব্যাখ্যা ; নাহল-১৬/৮৯।

৪২. এই কুরআন-ই সকলের ইতিহাস ; আম্বিয়া-২১/১০।

৪৩. এই কুরআন-ই সর্বোত্তম হাদীছ ; ঝুমার-৩৯/২৩।

৪৪. এই কুরআন ছাড়া অন্য কোন হাদীছের প্রতি ঈমান আনা যাবে না ;
মুরসালাত-৭৭/৫০, কাহাফ-১৮/৬, জাসিয়া-৪৫/৬, আম্বিয়া-২১/৫০।

৪৫. এই কুরআন-ই তাফছীল যা তাফসীরের সমার্থক শব্দ ; ইউনুস-১০/৩৭,
ইউসুফ-১২/১১১।

৪৬. এই কুরআন-ই একমাত্র সংবিধান ; আল ইমরান-৩/৫৮, আনয়াম-
৬/১৫৫, আম্বিয়া-২১/৫০।

৪৭. এই কুরআন-ই একমাত্র ওয়াজ/মাওয়িজা ; আল ইমরান-৩/১৩৮,
ইউনুস-১০/৫৭।

৪৮. এই কুরআন-ই একমাত্র অন্তরের শিফা ; বনী ইসরাঈল-১৭/৮২, ইউনুস-
১০/৫৭।

৪৯. এই কুরআন-ই মুবারক, বরকতময়, কল্যানময়, মঙ্গলময়, সমৃদ্ধিময় বিধান
; আনয়াম-৬/৯২।

৫০. এই কুরআন-ই সুন্নাহ; আহযাব-৩৩/৩৮, বনী ইসরাঈল-১৭/৭৭, ফাতাহ-
৪৮/২৩।

৫১. এই কুরআন-ই ফিক্‌হ/ফিকাহ ; বাকারাহ-২/৪৪, আম্বিয়া-২১/১০,
তাওবাহ-৯/১২২।

৫২. এই কুরআন-ই মহা মর্যাদাবান ; ক্বাফ-৫০/১, বুরুজ-৮৫/২১।

৫৩. এই কুরআন-ই লাওহি মাহফুজে ছিল ; ওয়াকিয়াহ-৫৬/৭৭, বুরুজ-
৮৫/২২।

৫৪. এই কুরআন-ই তাসদীক, মুসদ্দিক তথা সকল আসমানী গ্রন্থের
সত্যয়নকারী ও যাচাইকারী ; বাকারাহ-২/৮৯, আল ইমরান-৩/৩, ইউনুস-
১০/৩৭ ।

৫৫. এই কুরআন হল আরবী ভাষায় নাযিলকৃত আল্লাহর একমাত্র সংবিধান/
কুরআনী সংবিধান ; রা’দ-১৩/৩৭।

৫৬. কুরআন-ই হচ্ছে মুহাইমিন বা সংরক্ষণকারী ; মায়িদা-৫/৪৮।

৫৭. কুরআন-ই মুবীন বা সুস্পষ্ট, উম্মুক্ত গ্রন্থ ; আনয়াম-৬/৫৯, ইউসুফ-১২/১,
কাসাস-২৮/২ ।

৫৮. কুরআন-ই এক অতি আশ্চর্য কিতাব ; জ্বিন্ন-৭২/১ ।

৫৯. জ্বিন জাতির কিছু লোক এই কুরআন-ই শ্রবণ করে ; জ্বিন্ন-৭২/১,
আহ্‌কাফ-৪৬/২৯, ৩০ ।

৬০. কুরআন-ই একমাত্র হক/সত্য/মহাসত্য বিধান ; ঝুমার-৩৯/২ ।

৬১. কুরআন আল্লাহর বানী, ১০:৩৭/৩২:২)

৬২. কুরআন আল্লাহর নিটক হতে নাযিলকৃত ২৭:৬)৪৬:২)

৬৩. কুরআনই ওহী ২০:১১৪/৫৩:৪)

৬৪. কুরআন সংরক্ষনের দায়ীত্ব আল্লাহর ১৫:৯)

৬৫. কুরআনই হাদিস ৩৯:২৩/৪৫:৬)

৬৬. কুরআন সন্দেহ মুক্ত যা মুত্তাকিদের জন্য পথ প্রদর্শন করে, ২:২)

৬৭.মালাইকারা(ফেরেস্তারা), আল্লাহ যা বলেন তা ব্যতিরেকে কিছুই বলতে ও জানাতে পারেনা, ২:৩২

৬৮. কুরআন শয়তানের বানী নহে, ৮১:২৫)

৬৯.আল্লাহ ব্যতিত কুরআন কেউ রচনা করতে পারবেনা, ১১:১৩/৪৬:৮

৭০ .কুরআনে পরস্পর বিরোধী কথা নেই এবং আল্লাহ নিজেই রচনা করেছে, ৪:৮২/১০:৩৭

৭১.কুরআন সত্য মিথ্যার ফায়সালাকারি ও প্রভেদকারি, ৮৬:১৩-১৪/২৫:১

৭২.কুরআন পুঙ্খনুপঙ্খ ও বিস্তারিত ভাবে বর্ননাকৃত, ৬:১১৪-১২৬/১৫:১

৭৩.কুরআন বুঝার জন্য সহজ করা হয়েছে, ৫৪:১৭-২২-৩২

৭৪.কুরআন প্রজ্ঞাময় ও সত্যবক্তা, ৩৬:২/২:৪১

৭৫.কুরআন মানুষের জন্য জ্ঞ্যানের কথ ও বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রহমত, এবং মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ ৪৫:২০/১৬:৮৯

৭৬.এটি (কুরআন)সারা বিশ্বের জন্য একটি উপদেশ মাত্র, ৬:৯০

৭৭.কুরআন সত্য গ্রন্থ ৫:৪৮

৭৮.কুরআন সতর্ককারী, ৪১:৩-৪

৭৯.কুরআনই আমাদের ইমাম, পথপ্রদর্শক, ৪৬:১২
সুরা ওয়াকিয়া —৮০. এটা বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।

৮০. তবুও কি তোমরা এই বাণীর(হাদিসের) প্রতি শৈথিল্য প্রদর্শন করবে?

৮১. এবং একে মিথ্যা বলাকেই তোমরা তোমাদের ভূমিকায় পরিণত করবে?

৮২.. কুরআন–ই- হচ্ছে সঠিক মিযান/মানদণ্ড ; হাদীদ-৫৭/২৫ ।

৮৩.. কুরআন–ই- আল্লাহ্‌র তেলাওয়াত ; বাকারাহ্‌-২/২৫১, আল ইমরান-
৩/৫৮, কাসাস-২৮/২ ।

৮৪.. কুরআন–ই- আল্লাহ্‌র রসূল এর তেলাওয়াত ; বাকারাহ্‌-
২/১২৯, আনকাবুত-২৯/৪৫ ।

৮৫. কুরআন–ই- রসূলদের তেলাওয়াত ; বাকারাহ্‌-২/১৫১, আরাফ-৭/৩৫ ।

৮৬. কুরআন–ই- মুমিনদের তেলাওয়াত ; বাকারাহ্‌-২/১২১ ।

৮৭.. কুরআনের আয়াতে বিশ্বাসীরাই মুসলিম ; নামল-২৭/৮১, রূম-৩/৫৩,
যুখরুফ-৪৩/৬৯ ।

৮৮.কুরআন–ই- একমাত্র অসীলাহ্‌ ; মায়িদা-৫/৩৫ ।

৮৯.কুরআন–ই- সামঞ্জস্যপূর্ণ ও পুনঃ পুনঃ উচ্চারনীয় গ্রন্থ ; ঝুমার-৩৯/২৩ ।

৯০. কুরআন জালিমদের শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি করে ; ইসরা-১৭/৮২ ।

৯১. কুরআন–ই- সকল উদাহরণের সমাহার ; ইসরা-১৭/৮৯, রূম-৩০/৫৮,
ঝুমার-৩৯/২৭ ।

৯২.কুরআন থেকে অধিকাংশ লোক পলায়ন করে ; ইসরা-১৭/৪১ ।

৯৩. অধিকাংশ লোক কুরআনের ব্যাপারে কুফরী করে ; ইসরা-১৭/৮৯ ।

৯৪.অধিকাংশ লোক কুরআন নিয়ে বিতর্ক/ঝগড়া করে ; কাহাফ-১৮/৫৪ ।

৯৫. অধিকাংশ মানুষ-ই- কুরআনের প্রতি ঈমান আনবে না এটাই পূর্ববর্তীদের
রীতি ; হিজর-১৫/১৩ ।

৯৬. কুরআন পরিবর্তনের প্রস্তাবের উত্তরে নবীকে দ্বারা আল্লাহ্‌ যা বলিয়েছেন ;
ইউনুস-১০/১৫ ।

৯৭.. আল্লাহ্‌র নির্দেশে নবীর মুখ থেকে কুরআন বের হয়েছে ; ইউনুস-১০/১৬ ।

৯৮. কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ্‌র উন্মুক্ত চ্যালেঞ্জ ; বাকারাহ্‌-২/২৩, হুদ-
১১/১৩, ইসরা-১৭/৮৮ ।

৯৯. কুরআন কাফিরদের জন্য অনুশোচনার একমাত্র কারণ ; হাক্কাহ্‌-৬৯/৫০ ।

১০০. কুরআন-ই- মুত্তাকীদের আখেরাতের টিকিট ; হাক্কাহ-৬৯/৪৮ ।

১০১. নবীকে কুরআন-ই- আঁকড়ে ধরতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ; যুখরুফ-
৪৩/৪৩ ।

১০২. কুরআন-ই- সিরাতুম মুস্তাকীম ; যুখরুফ-৪৩/৪৩, ইয়াসিন-৩৬/৬১ ।

১০৩. কুরআনের ব্যাপারে নবী/রসূলসহ সকলকে জিজ্ঞেস করা হবে ; যুখরুফ-
৪৩/৪৪ ।

১০৪. কুরআন-ই- আল্লাহ্‌র রিসালাহ্‌ ; আহযাব-৩৩/৩৯, জ্বিন্ন-৭২/২৩-২৮ ।

১০৫. কুরআন শয়তানের বক্তব্য হতে পারে না ; তাকভীর-৮১/২৫, শুয়ারা-
২৬/২১০ ।

১০৬. কুরআন গণকের গণক যন্ত্র নয় ; হক্কাহ্‌-৬৯/৪২ ।

১০৭. কুরআন জগতসমূহের অধিবাসীদের জন্য একমাত্র মহান সংবিধান ;
তাকভীর-৮১/২৭, ফুরকান-২৫/১ ।

১০৮. কুরআনে কোন বক্রতা/জড়তা নেই ; কাহাফ-১৮/১, ঝুমার-৩৯/২৮ ।

১০৯. কুরআন দ্বারা পরকালে বিচার করা হবে ; নামল-২৭/৭৮ ।

১১০. কুরআন-ই- একমাত্র রহমত/দয়া ; নামল-২৭/৭৭, কাসাস-২৮/৮৬ ।

১১১. কুরআন-ই- সুখবর সুসংবাদ ; নাহল-১৬/৮৯, হামিম সাজদা-৪১/৪ ।

১১২. কুরআন খুবই সহজ সরল ; মারইয়াম-১৯/৯৮, দুখান-৪৪/৫৭, রূম-
৫৪/১৭,২২,৩২,৪০ ।

১১৩. কুরআন পাঠের পূর্বশর্ত ; নাহল-১৬/৯৮ ।

১১৪. কুরআন কাফিরদের সাথে অন্তরায় তৈরী করে ; ইসরা-১৭/৪৫ ।

১১৫. কুরআন দ্বারা আনন্দ প্রকাশ কর ; ইউনুস-১০/৫৭, ৫৮, র’দ-১৩/৩১,
৩৬ ।

১১৬. কুরআনকে বাদ দিয়ে অন্য কোন গ্রন্থ যারা মুখ এলিয়ে/আওড়িয়ে/বাকাঁ
করে পাঠ করে যাতে মানুষ বুঝতে পারে ইহা আল্লাহ্‌র কিতাব ; আল ইমরান-
৩/৭৮ ।

১১৭. কুরআনের আয়াত বিকৃতকারীদের পরিচয় ও পরিণাম ; হামীম সাজদা-
৪১/৪০ ।

১১৮. কুরআন ব্যাতিরেকে যারা অন্যান্য গ্রন্থরাজি রচনা করে আল্লাহ্‌র নামে
চালাতে চায় তাদের পরিণতি ; বাকারাহ্‌-২/৭৯ ।

১১৯. আল্লাহ্‌র হাদীছ তথা কুরআনকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের অশুভ পরিণাম ;
আরাফ-৭/১৮২, ক্বলাম-৬৮/৪৪ ।

১২০. রসূল কুরআন ছাড়া অন্য কিছু রচনা করলে/প্রকাশ করলে কি অবস্থা
হত! ; হাক্কাহ্‌-৬৯/৪৪-৪৭ ।

১২১. কোন দুঃখ/দুর্ভোগ/অশান্তি/অকল্যানের জন্য কুরআন নাযিল করা হয়নি ;
ত্বহা-২০/২ ।

১২২. কুরআনের আয়াত নিয়ে/দ্বারা/মাধ্যমে কোন রকমের ব্যবসা/কেনাবেচা/
ক্রয়-বিক্রয়/বিকিকিনি/বিনিময় গ্রহণ করাই যাবে না ; বাকারাহ্‌-২/১৭৪,
তাওবাহ্‌-৯/৯, ইউনুস-১০/৭২, শুয়ারা-২৬/১৪৫, হুদ-১১/২৯ ।

১২৩. রসূল (সঃ)-কে কুরআন ছাড়া অন্য কোন তন্ত্র/মন্ত্র বা কবিতা শিক্ষা দেয়া
হয় নি ; ইয়াসিন-৩৬/৬৯ ।

১২৪. কুরআন-ই- রসূল এর উত্তম আদর্শ/উসওয়াতুন হাসানাহ্‌ ; আহযাব
-৩৩/২১ ।

১২৫. কুরআন প্রচারে/প্রকাশে/প্রতিষ্ঠায় কোন সংকোচ/দ্বিধাদন্দ্ব থাকতে পারবে না
; আরাফ-৭/২ ।

১২৬. কুরআন-ই- হচ্ছে রসূল উপর নাযিলকৃত, আরোপিত শরীয়ত ;
জাসিয়া-৪৫/১৮ ।

১২৭. আল কুরআনে নাযিলকৃত বিধানকেই শুধু অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া
হয়েছে ; আনয়াম-৬/১০৬, আরাফ-৭/৩, ইউনুস-১০/১০৯, আহযাব-৩৩/২ ।

১২৮.আল কুরআনে নাযিলকৃত বিধান দিয়েই বিচার-ফয়সালা তথা শাসনকার্য
পরিচালনা করতে হবে ; মায়িদা-৫/৪৯ ।

১২৯. আল কুরআনে নাযিলকৃত বিধান দ্বারা যারা বিচার-ফয়সালা করে না/করে
নি/করছে না/করবে না তারা কাফির, জালিম ও ফাসিক ; মায়িদা-৫/৪৪-৪৭ ।

১৩০. আল কুরআনের প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন ভাবেই মুসলিম পরিচয়ে পরিচিত
হওয়া যাবে না ; মায়িদা-৫/৬৮ ।

১৩১. কুরআনের প্রতি যাদের ঈমান নেই তারাই কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ
করেছে/করে/করবে ; মায়িদা-৫/৮১

১৩১.কুরআনের ব্যাপারে নবী/রসূলসহ সকলকে জিজ্ঞেস করা হবে ;
(যুখরুফ- ৪৩:৪৪)

#

কুরআনের ১০০ সালাত বা আদেশ

০১. কথাবার্তায় কর্কশ হবেন না। (০৩ঃ১৫৯)
০২. রাগকে নিয়ন্ত্রণ করুন (০৩ঃ১৩৪)।
০৩. অন্যের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। (০৪ঃ ৩৬)
০৪. অহংকার করবেন না। (০৭ঃ ১৩)
০৫. অন্যকে তার ভুলের জন্য ক্ষমা করুন (০৭ঃ ১৯৯)
০৬. লোকদের সাথে ধীরস্থির হয়ে শান্তভাবে কথা বলুন। (২০ঃ ৪৪)
০৭. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। (৩১ঃ ১৯)
০৮. অন্যকে উপহাস করবেন না (৪৯ঃ ১১)
০৯. পিতামাতার প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করুন। (১৭ঃ ২৩)
১০. পিতামাতার প্রতি অসম্মান জনক শব্দ উচ্চারণ করবেন না। (১৭ঃ ২৩)
১১. অনুমতি না নিয়ে পিতামাতার শোবার ঘরে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ৫৮)
১২. ঋণ গ্রহণ করলে তা লিখে রাখুন। (০২ঃ ২৮২)
১৩. কাউকে অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। (০২ঃ ১৭০)
১৪. ঋণ গ্রহণকারীর কঠিন পরিস্থিতিতে পরিশোধের সময় বাড়িয়ে দিন। (২ঃ ২৮০)
১৫. কখনো রিবার সাথে জড়িত হবে না। (০২ঃ ২৭৫)
১৬. কখনো ঘুষের সাথে জড়িতে হবে না। (০২ঃ১৮৮)
১৭. প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবেন না। (০২.১৭৭)
১৮. আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখুন (০২ঃ ২৮৩)
১৯. সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করবে না। (২:৪২)
২০. ইনসাফের সাথে বিচার করবেন। (০৪ঃ ৫৮)
২১. ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে যান। (০৪: ১৩৫)
২২. মৃতদের সম্পদ তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে বিতরণ করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৩. মহিলাদের উত্তরাধিকারের অধিকার আদায় করুন। (০৪ঃ ০৭)
২৪. এতিমদের সম্পত্তি গ্রাস করবেন না। (০৪.১০)
২৫. এতিমদের রক্ষা করুন। (০২.২২০)
২৬. অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করবেন না। (০৪ঃ ২৯)
২৭. মানুষের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করুন। (৪৯ঃ ০৯)
২৮. সন্দেহ এড়িয়ে চলুন। (৪৯ঃ ১২)
২৯. গুপ্তচরবৃত্তি করবেন না, কুৎসা রটাবেন না। (৪৯ঃ ১২)
৩০. আল্লাহর বিধানুসারে বিচার করুন। (০৫ঃ ৪৫)
৩১. সাদাকাতে সম্পদ ব্যয় করুন। (৫৭ঃ০৭)
৩২.দরিদ্রকে খাবার খাওয়ান। (১০৭ঃ ০৩)
৩৩. অভাবীকে অভাব পূরুনের উপায় বাতলে দিন। (০২ঃ ২৭৩)
৩৪. অপব্যয় করবেন না। (১৭ঃ ২৯)
৩৫. খোঁটা দিয়ে দানকে নষ্ট করে দিবেন না। (০২ঃ ২৬৪)
৩৬. অতিথিকে সম্মান করুন। (৫১ঃ ২৬)
৩৭. কেবলমাত্র নিজে আমল করে তারপর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যকে আমল করার আদেশ দিবেন। (০২ঃ৪৪)
৩৮. কাউকে গালাগালি করবেন না। (০২ঃ ৬০)
৩৯. লোকজনকে মসজিদে যেতে বাধা দিবেন না। (০২ঃ ১৪৪)
৪০. কেবল তাদের সাথেই লড়াই করুন, যারা আপনার সাথে লড়াই করে (০২ঃ ১৯০)
৪১. যুদ্ধের শিষ্টাচার মেনে চলুন। (০২ঃ ১৯১)
৪২. যুদ্ধেংদেহী হবেন না। (০৮ঃ১৫)
৪৩. দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। (০২ঃ ২৫৬)
৪৪. সকল নবির উপর ঈমান আনুন। (২: ২৮৫)
৪৫. স্ত্রীর মাসিকের সময় যৌন মিলন করবেন না। (০২ঃ ২২২)
৪৬. আপনার শিশুকে পূর্ণ দুবছর বুকের দুধ খাওয়ান। (০২ঃ ২৩৩)
৪৭. অননুমোদিত উপায়ে যৌন মিলন করবেন না। (১৭ঃ ৩২)
৪৮. যোগ্যতা অনুসারে নেতৃত্বের দায়িত্ব অর্পণ করুন। (০২ঃ ২৪৭)
৪৯. কোনো ব্যক্তিকে সামর্থ্যের বাহিরে বেশি বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। (০২ঃ ২৮৬)
৫০. বিভক্তি উসকে দিবেন না। (০৩ঃ ১০৩)
৫১. মহাবিশ্বের বিস্ময় ও সৃষ্টি সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা করুন (৩: ১৯১)
৫২. আমল অনুযায়ী পুরুষ ও মহিলাদের সমান পুরষ্কার পাবেন; তাই আমল করুন। (৩: ১৯৫)
৫৩. ‘মাহরাম’ আত্মীয়কে বিবাহ করবেন না। (০৪ঃ ২৩)
৫৪. পুরুষ হিসেবে মহিলাদের সুরক্ষা দিন। (০৪ঃ ৩৪)
৫৫. কৃপণ হবেন না । (০৪ঃ ৩৭)
৫৬. অন্তরে পরশ্রীকাতরতা পুষে রাখবেন না। (০৪ঃ ৫৪)
৫৭. একে অপরকে হত্যা করবেন না। (০৪ঃ ৯২)
৫৮. প্রতারণার পক্ষে ওকালতি করবেন না। (০৪ঃ ১০৫)
৫৯. পাপ কাজে এবং আগ্রাসনে সহযোগিতা করবেন না। (০৫ঃ০২)
৬০. সৎ কাজে সহযোগিতা করুন। (০৫ঃ ০২)
৬১. সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই কোনো কিছু সত্য বলে গ্রহণ করবেন না। ( ০৬ঃ ১১৬)
৬২. ন্যায়বিচার করুন। (০৫ঃ ০৮)
৬৩. অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। (০৫ঃ ৩৮)
৬৪. পাপ ও বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে লড়াই করুন (০৫ঃ ৬৩)
৬৫. মৃত প্রাণী, রক্ত, শুকরের মাংস ভক্ষণ থেকে দূরে থাকুন। (০৫ঃ ০৩)
৬৬. মাদক এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন (৫:৯০)
৬৭. জুয়া খেলবেন না। (০৫ঃ ৯০)
৬৮. অন্য ধর্মের দেবদেবীদের অবমাননা করবেন না। (০৬ঃ ১০৮)
৬৯. ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দ্যেশ্যে মাপে কম দিবেন না। (০৬ঃ ১৫২)
৭০. খান এবং পান করুন; তবে অপচয় করবেন না। (০৭ঃ ৩১)
৭১. সালাতের সময় ভালো পরিচ্চদ গ্রহন করুন। (০৭ঃ ৩১)
৭২. আশ্রয়প্রার্থীকে সুরক্ষা দিন, সহযোগিতা করুন। (০৯ঃ ০৬)
৭৩. বিশুদ্ধতাকে আঁকড়ে ধরুন। (০৯ঃ ১০৮)
৭৪. আল্লাহর রহমতের আশা কখনই পরিত্যাগ করবেন না। (১২ঃ ৮৭)
৭৫. অজ্ঞতাবশত ভুল করলে আল্লাহর ক্ষমা প্রত্যাশা করুন। ( ১৬ঃ ১১৯)
৭৬. মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করুন হিকমা ও উত্তমভাবে। (১৬ঃ ১২৫)
৭৭. অন্যের পাপের বোঝা কাউকে বইতে হবে না, বিশ্বাস করুন। (১৭ঃ ১৫)
৭৮. দারিদ্র্যের ভয়ে আপনার বাচ্চাদের হত্যা করবেন না। (১৭ঃ ৩১)
৭৯. যে বিষয়ে জ্ঞান আপনার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে কারও পিছু লাগবেন না। (১৭ঃ ৩৬)
৮০. নিরর্থক কাজ থেকে দূরে থাকুন। (২৩ঃ ০৩)
৮১. অনুমতি না নিয়ে অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করবেন না। (২৪ঃ ২৭)
৮২. যারা আল্লাহকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, তাদের জন্য তিনি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন, এই বিশ্বাস রাখুন। (২৪:৫৫)
৮৩. জমিনে নম্রভাবে চলাফেরা করুন। (২৫ঃ ৬৩)
৮৪. পৃথিবীতে আপনার অংশকে অবহেলা করবেন না। (২৮ঃ ৭৭)
৮৫. আল্লাহর সাথে অন্য কোনো উপাস্যকে ডাকবেন না। (২৮ঃ ৮৮)
৮৬. সমকামিতার ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হবেন না। (২৯ঃ ২৯)
৮৭. সৎ কাজের আদেশ দিন, অসৎ কাজে বাধা দিন। (৩১ঃ ১৭)
৮৮. জমিনের উপর দম্ভভরে ঘুরে বেড়াবেন না। (৩১ঃ ১৮)
৮৯. মহিলারা তাদের জাকজমকপূর্ণ পোষাক প্রদর্শন করে বেড়াবে না। (৩৩ঃ ৩৩)
৯০. আল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা করেন, বিশ্বাস রাখুন। (৩৯ঃ ৫৩)
৯১. আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না। (৩৯ঃ ৫৩)
৯২. ভালো দ্বারা মন্দকে প্রতিহত করুন। (৪১ঃ ৩৪)
৯৩. পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। (৪২ঃ ১৩)
৯৪. সর্বোত্তম মানুষ হওয়ার লড়াই করুন। (৪৯ঃ ১৩)
৯৫. বৈরাগ্যবাদী হবেন না। ( ৫৭ঃ ২৭)
৯৬. জ্ঞান অন্বেষণে ব্যাপৃত হোন। ( ৫৮ঃ ১১)
৯৭. অমুসলিমদের সাথে সদয় এবং নিরপেক্ষ আচরণ করুন। (৬০ঃ ০৮)
৯৮. লোভ থেকে নিজেকে বাঁচান। (৬৪ঃ ১৬)
৯৯. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (৭৩ঃ ২০)
১০০. ভিক্ষুককে ফিরিয়ে দিবেন না। (৯৩ঃ ১০)

#

📖 কুরআনের তিনটি শিক্ষনীয় ঘটনাঃ

Al-Baqarah 2: Ayat 258-260

🕛 أَلَمْ تَرَ إِلَى ٱلَّذِى حَآجَّ إِبْرَٰهِۦمَ فِى رَبِّهِۦٓ أَنْ ءَاتَىٰهُ ٱللَّهُ ٱلْمُلْكَ إِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّىَ ٱلَّذِى يُحْىِۦ وَيُمِيتُ قَالَ أَنَا۠ أُحْىِۦ وَأُمِيتُۖ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَأْتِى بِٱلشَّمْسِ مِنَ ٱلْمَشْرِقِ فَأْتِ بِهَا مِنَ ٱلْمَغْرِبِ فَبُهِتَ ٱلَّذِى كَفَرَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهْدِى ٱلْقَوْمَ ٱلظَّٰلِمِينَ
🕛 أَوْ كَٱلَّذِى مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍ وَهِىَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْىِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَاۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُۥۖ قَالَ كَمْ لَبِثْتَۖ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍۖ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِا۟ئَةَ عَامٍ فَٱنظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْۖ وَٱنظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ ءَايَةً لِّلنَّاسِۖ وَٱنظُرْ إِلَى ٱلْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًاۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
🕛 وَإِذْ قَالَ إِبْرَٰهِۦمُ رَبِّ أَرِنِى كَيْفَ تُحْىِ ٱلْمَوْتَىٰۖ قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنۖ قَالَ بَلَىٰ وَلَٰكِن لِّيَطْمَئِنَّ قَلْبِىۖ قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِّنَ ٱلطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ ٱجْعَلْ عَلَىٰ كُلِّ جَبَلٍ مِّنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ٱدْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًاۚ وَٱعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عَزِيز حكيم.

📑তুমি কি সে ব্যক্তিকে দেখনি, যে ইবরাহীমের সাথে তার রবের ব্যাপারে বিতর্ক করেছে যে, আল্লাহ তাকে রাজত্ব দিয়েছেন? যখন ইবরাহীম বলল, ‘আমার রব তিনিই’ যিনি জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। সে বলল, আমিই জীবন দান করি এবং মৃত্যু ঘটাই। ইবরাহীম বলল, নিশ্চয় আল্লাহ পূর্বদিক থেকে সূর্য আনেন। অতএব তুমি তা পশ্চিম দিক থেকে আন। ফলে কাফির ব্যক্তি হতভম্ব হয়ে গেল। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত দেন না।

অথবা সে ব্যক্তির মত, যে কোন জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের উপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, ‘আল্লাহ একে কিভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর’? অতঃপর আল্লাহ তাকে এক’শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক’শ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কিভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, অতঃপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা’। পরে যখন তার নিকট স্পষ্ট হল, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।

আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব, আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি’? সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়’। তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়’।

৳##৳

🌺 কুরআনের ৪ টি অধিকার🌹

✅ কুরআন মনোযোগের সহিত শোনা।

وَإِذَا قُرِئَ ٱلْقُرْءَانُ فَٱسْتَمِعُواْ لَهُۥ وَأَنصِتُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
➡️ “যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা তা মনোযোগের সঙ্গে শ্রবণ কর আর নীরবতা বজায় রাখ যাতে তোমাদের প্রতি রহম করা হয়।”
(Al-A’raf 7: Verse 204)

✅ কুরআন তিলওয়াত করা।

وَرَتِّلِ ٱلْقُرْءَانَ تَرْتِيلاً
➡️ আর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে কুরআন তিলওয়াত করো।[সূরা মুযাম্মিল73:4]

✅ আয়াতসমূহ সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা।

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَآ
➡️ “তারা কি কুরআন সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা করে না, না তাদের অন্তরে তালা দেয়া আছে?” সূরা মুহাম্মাদ 47: 24

أَفَلَمْ يَدَّبَّرُواْ ٱلْقَوْلَ أَمْ جَآءَهُم مَّا لَمْ يَأْتِ ءَابَآءَهُمُ ٱلْأَوَّلِينَ
➡️ “তাহলে তারা কি এ বাণী সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? কিংবা তাদের কাছে এমন কিছু এসেছে যা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে আসেনি?”
(Al-Mu’minun 23: Verse 68)

কুরআন অনুসরণ করা।

وَهَـٰذَا كِتَـٰبٌ أَنزَلْنَـٰهُ مُبَارَكٌ فَٱتَّبِعُوهُ وَٱتَّقُواْ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
“এটি এমন একটি গ্রন্থ, যা আমরা অবতীর্ণ করেছি, খুব মঙ্গলময়, অতএব, এর অনুসরণ কর এবং ভয় কর-যাতে তোমরা করুণাপ্রাপ্ত হও।”
(Al-An’am 6: Verse 155)

🔰কুরআনের আরেকটি অলৌকিক শব্দ-বিন্যাস❗

“স্ত্রী” বুঝাতে কুরআন সর্বমোট তিন প্রকার শব্দ ব্যবহার করেছে।

(১) امرأة [ইমরাআহ]
“যে স্ত্রীর সাথে শুধু দৈহিক সম্পর্কই স্থাপিত হয়, মনস্তাত্বিক কিংবা চিন্তাভাবনার আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকেনা তাকে কুরআন [ইমরাআহ] বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে”। বাংলায় বলা যেতে পারে- “পত্নী”।

(২) زوجة [যাওজাহ]
“যে স্ত্রীর সাথে দৈহিক ও মনস্তাত্বিক বোঝাপড়া খুব ভালো তাকে কুরআন [যাওজাহ] বলেছে”। বাংলায় আমরা বলতে পারি “স্ত্রী”।

(৩) صاحبة [সাহিবাহ]
“যে স্ত্রীর সাথে মূলত কোন সম্পর্কই কাজ করেনা, কিংবা যে স্ত্রীর কোন অস্তিত্বই যেন নেই তাকে কুরআন [সাহিবাহ] বলে বুঝিয়েছে”। আমরা বাংলায় বলতে পারি “সাথী”।

“এবার দেখা যাক কুরআনের মধ্যে এ শব্দত্রয়ের বর্নিল শিল্প, যা কুরআনের অনুপম অলৌকিকতাকে নতুন রূপে তুলে ধরেছে”।

“নূহ ও লূত (আ) এর স্ত্রী ছিল, তবে তাদের মধ্যে ঈমান ও চিন্তা চেতনার কোন সম্পর্কই ছিল না, তাই কুরআন তাদের স্ত্রীদের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছে- ইমরাআহ নূহ (নূহ-পত্নী), ইমরাআহ লূত (লূত-পত্নী)”।

“আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের জন্যে নূহ-#পত্নী ও লূত-#পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল আমার দুই ধর্মপরায়ণ বান্দার গৃহে। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে রক্ষা করতে পারল না এবং তাদেরকে বলা হলঃ জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও”।[সূরা আত-তাহরীম- ১০]

“লক্ষ্য করুন, এখানে “যাওজাহ” (স্ত্রী) না বলে “ইমরাআহ” (পত্নী) বলেছেন। একইভাবে আশিয়া ও ফিরাউনের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিল কিন্তু ঈমান ও চিন্তার সূত্র ছিলনা তাই সেখানেও আল্লাহ “স্ত্রী” না বলে “পত্নী” বলে অভিহিত করেছেন”।

“আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-#পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন”।[সূরা আত-তাহরীম- ১১]

এবার আসুন “যাওজাহ” বা প্রকৃত “স্ত্রী” কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহিত হয়েছে তা পরখ করা যাক।

আদম এর স্ত্রী এর ক্ষেত্রে-
“এবং আমি আদমকে হুকুম করলাম যে, তুমি ও তোমার #স্ত্রী (যাওজাহ) জান্নাতে বসবাস করতে থাক এবং ওখানে যা চাও, যেখান থেকে চাও, পরিতৃপ্তিসহ খেতে থাক, কিন্তু এ গাছের নিকটবর্তী হয়ো না। অন্যথায় তোমরা যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়বে”।[সূরা আল-বাক্বারাহ- ৩৫]

রাসূলও তার স্ত্রীগণ-
“হে নবী! আপনি আপনার #স্ত্রীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু”।
[সূরা আল-আহযাব; ৫৯]

এবার একটি মজার বিষয় লক্ষ্য করা যাক। যাকারিয়া (আ) যখন আল্লাহর কাছে স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব স্বত্বেও সন্তানের জন্যে দোয়া করছিলেন সেই কথাটি কোরআন কোট করেছে “ইমরাআহ” বা “পত্নী” শব্দযোগে।
“আমি ভয় করি আমার পর আমার স্বগোত্রকে এবং আমার #পত্নী (ইমরাআহ) বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে এক জন কর্তব্য পালনকারী দান করুন।”

সম্ভবত এর কারণ হিসেবে বলা যায়, সেই সময়ে যাকারিয়া (আ) ও তার স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য ছিল কিংবা চিন্তার দ্বন্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর সমাধান হয়ে যায়। এই কারণেই যাকারিয়া (আ) এর সন্তান লাভের পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন “যাওজাহ” বা “স্ত্রী” শব্দ দিয়ে।

“অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার #স্ত্রীকে (যাওজাহ) সংশোধন করে দিয়েছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।”
[সূরা আল-আম্বিয়া- ৯০]

এই কারণেই যখন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছে তখন কি করা উচিত সেই বিষয়ে বিধান দিতে গিয়েও কুরআন নারীকে “পত্নী” বা “ইমরাআহ” বলে বর্ণনা করেছে।

“যদি কোন “পত্নী” (ইমরাআহ) স্বীয় স্বামীর পক্ষ থেকে অসদাচরণ কিংবা উপেক্ষার আশংকা করে, তবে পরস্পর কোন মীমাংসা করে নিলে তাদের উভয়ের কোন গোনাহ নাই। মীমাংসা উত্তম। মনের সামনে লোভ বিদ্যমান আছে। যদি তোমরা উত্তম কাজ কর এবং আল্লাহভীরু হও, তবে, আল্লাহ তোমাদের সব কাজের খবর রাখেন।” [সূরা আন-নিসা- ১২৮]

আর এরকমের কোন সম্পর্ককে ফোকাস না করে যখন সাধারন স্বামী-স্ত্রীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তখন কুরআন স্ত্রীকে “নিসা” (স্ত্রীগণ) বলে প্রকাশ করেছে।

যখন কোরআন বুঝাতে চেয়েছে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আদৌ কোন সম্পর্ক নেই তখন “সাহিবাহ” বা “সাথী” বলে জানিয়েছে। যেমন কেয়ামতের ময়দানে কেউ যখন কারো থাকবেনা, সবাই দিগ্বিদিক ছুটবে, কোন সম্পর্কই আর কোন কাজে আসবেনা… এমন অবস্থার বর্ননা দিতে গিয়ে কুরআন স্ত্রীকে “সাহিবাহ” বা “সাথী” বলেছে।

“সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,তার মাতা, তার পিতা, তার #সাথী (সাহিবাহ) ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।” [সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৬]

এমনিভাবে যে স্ত্রীর বাস্তবিক কোন অস্তিত্বই নেই তাকেও কোরআন “সাহিবাহ” বলে অভিহিত করেছে। যেমন, আল্লাহ কোন পত্নী কিংবা সঙ্গী নেই মর্মে ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি বলেছেন-

“তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের আদি স্রষ্টা। কিরূপে আল্লাহর পুত্র হতে পারে, অথচ তাঁর কোন #সাথী নেই? তিনি যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব বস্তু সম্পর্কে সুবিজ্ঞ।” [সূরা আনআম- ১০১]

এই সেই কুরআন, যার প্রতিটি শব্দ বুননের পিছনেও রয়েছে কার্যকরী মুলনীতি।

#

কোরআনে আল্লাহ সফলতার তিনটি অপশন দিয়েছেন
সূরা বাকারা আয়াত: (৩-৪-৫)

১/ يُؤۡمِنُونَ অর্থাৎ বিশ্বাস স্থাপন করা- সৃষ্টিকর্তা এবং তার নাযিলকৃত কিতাব ও নবী রাসূলের প্রতি।
২/ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ নিষেধ ফলো করা ও তাতে প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং নিজ দায়িত্ব হিসেবে তা পালন করা।
৩/ رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ অর্থাৎ আল্লাহ যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে ব্যয় করা। তবেই ٱلۡمُفۡلِحُونَ সফলতা।

আর পুরো কোরআনে আলোচনা হচ্ছে এই তিনটি বিষয়ের উপরে,যেন মানুষ কিভাবে সফল হতে পারে সেই শিক্ষা এবং দিকনির্দেশনা গ্রহণ করতে করে।

যারা কোরআন নিজ মাতৃভাষায় পাঠ করে থাকেন এবং আরবি মূল শব্দ নিয়ে রিসার্চ ও গবেষণা করে থাকেন, তারা ভালো করেই জানেন যে পুরো কোরআনে আল্লাহ যত আদেশ-নিষেধ মানুষের জীবন ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে দিয়েছেন, এসব কিছুই হচ্ছে মানুষের উপকারিতার জন্য যার মধ্যে রয়েছে মানবতা।

আল্লাহ কোরআনে যেই বিষয়গুলোর ব্যাপারে নিষেধ করেছেন, সেগুলো মানুষের জীবনে অশান্তি ও ধ্বংসের কারণ।
আর যেই বিষয় গুলোর ব্যাপারে আদেশ দিয়েছেন সেগুলো মানুষের জীবনে শান্তি ও সফলতার কারণ।
এতে আল্লাহর কোনো লাভ কিংবা ক্ষতি নেই, এসব কিছুই মানুষের জন্য প্রযোজ্য,আল্লাহর নয়।

উদাহরণস্বরূপ- ধরুন আপনি একজন রোগী এখন ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন, ডাক্তার আপনাকে দেখে আপনার সুস্থতার জন্য কিছু পরামর্শ এবং ওষুধ দিয়েছে, এখন আপনি যদি ডাক্তারের এই পরামর্শ ও নিয়ম পদ্ধতি ফলো করে মেনে চলেন, তবে এটা আপনার জন্যই উত্তম, আর যদি না মানেন তবে এটা আপনার জন্যই ক্ষতি, ডাক্তারের নয়।
ঠিক তেমনি আল্লাহর দেয়া সমস্ত বিধি-বিধান পালনের মধ্যেই নির্ভর করে মানুষের সুখ-শান্তি সফলতা।

আল্লাহ কুরআনে বলেছেন رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُون অর্থাৎ রিজিক থেকে ব্যয় করার কথা, আমরা অনেকেই রিজিক মানে শুধু সম্পদ মনে করে, কিন্তু বিষয়টা এমন নয় বরং রিজিক হচ্ছে আল্লাহ মানুষকে যে জ্ঞান বিবেক-বুদ্ধি ধন সম্পদ যা কিছু দিয়েছেন টোটাল বিষয়টাকেই বোঝায়, আর যখন মানুষ আল্লাহর দেওয়া এই সমস্ত রিজিক পরিবার প্রতিবেশী সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য ব্যয় করবে,তখনই সে একজন প্রকৃত মানুষ এবং সফল হতে সক্ষম হবে।

ধরুন কেউ পথ চিনে না আপনি তাকে দেখিয়ে দিলেন,
অথবা কোন অন্ধকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিলেন,
অথবা কেউ ঝগড়া মারামারি করেছিল আপনি গিয়ে তাদের মধ্যে সংশোধন করে দিলেন,
অথবা কেউ দরিদ্র অসুস্থতায় কিংবা ক্ষুধার জ্বালায় অথবা থাকার মত স্থান এর অভাবে ভুগছে
আপনি আপনার সমর্থন অনুযায়ী মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করলেন,
এককথায় মানুষের কল্যাণের জন্য যতরকম কথা কাজকর্ম রয়েছে এই টোটাল বিষয়গুলোই হচ্ছে رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُون অন্তর্ভুক্ত, আর এগুলো মানুষের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যয় করাই হচ্ছে رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُون রিজিক থেকে ব্যয় করা। আর এগুলো হলে এক একটা সালাত।

আর ব্যক্তিগত ভাবে যাদের ভিতরে এই বিশিষ্ট গুণগুলো রয়েছে তারা শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অনেক সুখী এবং খুব সহজেই তারা সফল হতে পারে।

অতএব আমাদের চিন্তা করে দেখা উচিৎ আল্লাহ সফলতা রেখেছেন কোথায়,আর আমরা ছুটছি কোন পথে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *