Collected from https://www.facebook.com/ishaq.yahya.3726
সালাত VS নামাজ (ব্যাক্তিগত উপলব্ধি)


সালাতের ব্যাপারে আমি যতটুকু বুঝেছি তার কিছুটা তুলেধরার চেষ্টা করছি, দয়াকরে কোরআন থেকে যাচাই করে আপনাদের উপলব্ধি শেয়ার করবেন।

কোরআনের সালাত প্রতিষ্ঠার বিষয়টা ব্যাপক যা অল্প কথায় বলা অসম্ভব। সালাতকে অধিকাংশ ধর্মবেত্তাগন রিচুয়াল নামাজ হিসাবে পালন করে থাকে যা সালাতের মূল শিক্ষা ও উদ্দেশ্যকে ঢেকে ফেলে যাতে মানুষ ব্যাক্তিগত ও সামাজিক ভাবে সালাত প্রতিষ্ঠার সুফল বন্চিত হয়। সমাজে সর্বত্রই মানুষ প্রচলিত রিচুয়াল নামাজ পড়েই ঘুষ সুদ দেয়া নেয়া সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে আর মনেমনে ভাবছে নামাজতো পড়েছি,মাফও চেয়েছি, আল্লাহ যেহেতু দয়ালু মাফ তো পাবই। এমন ভাবনা যে কতবড় ভুল তা কোরআন বুঝে পড়লেই সহজেই বুঝতে পারা যায়।

২:৪৫ এ আল্লাহ বলেন বিনয়বনতরা ছাড়া অন্যদের জন্য সালাত একটি কঠিন কাজ। প্রচলিত নামাজ কি কঠিন? কাফির মুশরিক মুনাফিকরাও সহজেই প্রচলিত নামাজ পড়তে পারে। সালাত তাঁরাই প্রতিষ্ঠা করতে পারে যারা প্রকৃত বিশ্বাসী বা প্রকৃত মোমিন।

কোরআনের সকল অনুবাদে ও ধারনাপ্রসূত জ্ঞানে সালাত প্রতিষ্ঠাকে নামাজ পড়া দিয়ে প্রতিস্থাপনের জন্য আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন শব্দও পরিবর্তন করা হয়েছে যার ফলে কোরআন বুঝা নতুন পাঠকদের জন্য কঠিন হয়েছে এবং কিছু আয়াত কোরআনের মূলনীতির বেশকিছু আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।কোরআনের সকল আয়াত বা শব্দই গুরূত্বপূর্ন তবে বুঝার সুবিধার্থে কিছু আয়াতকে সামনে আনতে চাই যা আমার পাঠোদ্ধারের জন্য সহায়ক হবে:

(১) সম্পূর্ন কোরআনই সুসামন্জস্যপূর্ন যাতে বিপরীতমূখী আয়াত থাকতে পারেনা। ৩৯:২৩

(২) কোরআন বক্রতামুক্ত। ৩৯:২৮

(৩) কোরআন এক মহাসাক্ষ্য যা বৈপরীত্য ও অন্তরবিরোধ মুক্ত। ৫৬:৭৬

(৪) ৫৪:১৭,২২,৩২,৪০ অনুযায়ী কোরআন খুবই সহজ যা প্রতিটি মানুষকে হৃদয়াঙ্গম করার তাগিদ রয়েছে ৩:১১৮ ও ৪:৭৮ অনুযায়ী কোরআনের বর্ননা সহজ যা সহজাত বিচার বুদ্ধি প্রয়োগ করে বুঝতে হয়। এছাড়াও বহুস্থানে সহজাত বিচার বুদ্ধি প্রয়োগের তাগিদ রয়েছে যা একটি ফরজ বা অত্যাবশকীয় কাজ। আসলে কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশিত সকল আদেশ নিষেধ পালন করাই ফরজ।

(৫) আল্লাহ আমাদের বোঝা হাল্কা করতে চান। ৪:১২৮

(৬) … এই কিতাব কোরআনে রয়েছে আল্লাহতে পুরোপুরি সমর্পিতদের জন্যে প্রত্যেক বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, হেদায়েত, রহমত ও সুসংবাদ। ১৬:৮৯

(৭) ১০:১০,১৮,৬৮ ১৭:৪৩ ছাড়াও বহুস্থানে আছে আল্লাহ পবিত্র, মহামহান ও মহামহিম। ৯:২৮ এ আছে শরীককারীরা অপবিত্র। ১০:১০০ যারা বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করেনা তাদের উপর আল্লাহ অপবিত্রতা ছডিয়ে দেন। ২৪:২৩ বিশ্বাসী নারীরা পূতপবিত্র। ৩৩:৩৩ আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করলে আল্লাহই পূতপবিত্র করে দেন। ৩৩:৫৩ ভাল আচরন করলে আল্লাহ বিশ্বাসীদের অন্তর পবিত্র করে দেন। ৫৩:৩২ নিজেদের পবিত্রতার বড়াই করা নিষেধ, আল্লাহ জানেন কে আল্লাহ সচেতন বিশ্বাসী। ৯৮:০৩ আল্লাহর নাজিলকৃত বিধান পবিত্র। ৯:৯৫ পাপীরা অপবিত্র।

(৮) আল্লাহর বিশ্বভ্রম্মান্ডে ধর্মকে ব্যাবহার করে কোন প্রকার লেনদেন বা বিনিময় ও ধর্ম ব্যাবসার সুযোগ নেই। ১১:২৯এ নবী নূহ আল্লাহর বানীর কোন বিনিময় বা ধনসম্পদ চান নাই। ১১:৫০ এ নবী হুদ আল্লাহর বানীর কোন বিনিময় বা প্রতিদান চান নাই। ১১:৮৮ নবী শোয়াইকে আল্লাহ ভাল জীবনউপকরন দিয়েছেন। ৩৬:২১ পর পর আসা তিন নবীর কেউই কোন বিনিময় চান নাই। ২:১৭৪ এ ধর্মকে ব্যাবহার করে যেকোন প্রকারে ফায়দা নেয়াকে আল্লাহ আগুন খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন ও তাদের তওবাও গ্রহন করা হবেনা বলে সুস্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন।

(৯) ব্যয় বিষয়ক আয়াতে ২:৩,৪৩ এ অন্যের কল্যানে ব্যায় করার তাগিদ রয়েছে ২:২১৫ তে ধারাবাহিক ব্যয়ের খাতগুলো হল প্রথমত মা-বাবা, তারপর পরিবার, এতিম, অভাবী ও মুসাফিরদের দের জন্য ব্যয়। ব্যয়ের পরিমানের ব্যাপারে ২:২১৯ এ আছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পুরাটাই। ৯:৩৪,৩৫ এ ধর্মগুরু দের মানুষের সম্পদ গ্রাস ও মানুষকে আল্লাহর দেখানো পথে ব্যয়ের বাঁধা দেয়ার জন্য দায়ী করা হয়েছে ও সম্পদ জমাকারীদের কঠোর শাস্তির সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। ৯:৬০ এ সাদাকার খাতে দরিদ্র, অক্ষম, অসহায়, বিধর্মীকে আকৃষ্ট করতে, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, দাসমুক্তি, ঋনগ্রস্থকে পরিত্রান ও আল্লাহর দেখানো পথে ব্যায়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। ১৩:২১,১৪:৩১ এ সময় থাকতেই গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয়ের তাগিদ দেয়া আছে।

(১০) আল্লাহ দীনের ব্যাপারে আমাদের উপর কোন প্রকার কঠোরতা আরোপ করেন নাই। ২২:৭৮এবার উল্লেখ করবো যে সকল শব্দের বিভ্রান্তিমূলক ব্যাবহার ও অনুবাদে অর্থ বিভ্রাট কোরআন ও সালাত প্রতিষ্ঠা বুঝা কঠিন করে:

(ক) সালাত প্রতিষ্ঠার ও নামাজ পড়া।

(খ) পবিত্রতা অর্জন ও পরিচ্ছন্ন হওয়া (ওজু, গোসল, তায়মুম)। ইতিহাস ঘাটলে দেখাযায় পার্সীয়ান জুরাষ্ট্রেরিয়ান রিলিজিয়নে আগুনের তাপের মাধ্যমে পবিত্রতা হাসিল করতো ও দিনে পাঁচ বার নামাজ পডতো, একই আদলে প্রচলিত মুসলমানরা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে ও নামাজ পড়ে অথচ পূর্বের আলোচনা ও লেখা আয়াত অনুযায়ী অবিশ্বাসী, মুশরিক ও মুনাফিকদের আল্লাহ অপবিত্র বলেছেন এবং পানি, আগুন বা সেনিটাইজার দিয়েও পবিত্রতা অর্জনের সুযোগ নেই। ৫:৬ হল প্রকৃত বিশ্বাসীদের জন্য সার্বক্ষনিক পরিচ্ছন্ন থাকার আয়াত।

(গ) যাকাত ২.৫% ও যাকাত আদায় (পরিশুদ্ধিতা অর্জন)। আল্লাহর নির্দেশনায় কেহ যদি প্রয়োজনের আতিরিক্ত সবটাই ব্যায় করে সেক্ষেত্রে ২.৫% আবার কিভাবে দিবে?

(ঘ) যাকাত ও সাদাকা। যাকাত মানে পরিশুদ্ধ অর্জন যা সালাত প্রতিষ্ঠার সাথে সংশ্লিষ্ট। সাদাকার খাতও নির্দিষ্ট। আকিমুস সালাত ওয়াতুজযাকাত, সালাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিশুদ্ধি অর্জন।

(ঙ) ব্যয় ও দান। আল্লাহ বলেছেন ব্যয় করতে কারন সম্পদ আল্লাহর যা মানুষ বিত্ত্ববৈভবের অহংকার না করে আল্লাহর দেখানো পন্থায় খরচ করবে।দান কথাটায় মানুষের অহংকার প্রকাশের সুযোগ তৈরী হয়।

(চ) জিহাদ (যুদ্ধ) ও জিহাদ (সর্বাত্বক আন্তরিক প্রচেষ্টা)। আল্লাহ যেকোন প্রকারেই ধর্মের নামে জোর জবরদস্তি নিষেধ করেছেন তাহলে আত্মরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছাড়া যুদ্ধ করার সুযোগ কোথায় বরং জিহাদের অর্থে সর্বাত্মক আন্তরিক প্রচেষ্টা বসিয়ে দেখি আল্লাহর বিধান কত সুন্দর।

প্রচলিত নামাজের ষ্রাকচার নিয়ে কিছু প্রশ্ন সত্যিই চিন্তা জাগানিয়া:

(I) প্রচলিত ওজু কি আল্লাহর বিধান না মানুষ্য তৈরী? আল্লাহ বলেছেন মোমিন/বিশ্বাসীরাই পবিত্র, ৫:৬ তো পরিচ্ছন্নতার আয়াত।

(II) কিবলা কি আল্লাহর দেয়া? পূর্ব পশ্চীমমূখি হওয়াতে তো কোন পূন্য নেই ২:১৭৭ পূর্ব পশ্চিম ও সব দিকইতো আল্লাহর ২:১১৫। আল্লাহর অবস্থান তো সকল পৃথিবী ও আকাশ মন্ডলী পরিবেষ্টন করে আছে ২:২৫৫।

(III) ইমামের পিছনে এক্তাদা কি আল্লাহ নির্দেশিত? আল্লাহ আমাদের হৃদয়ের কথা শুনেন ও জানেন, ইমাম আমার হয়ে আল্লাহর সাথে ভায়া মিডিয়া হয়ে আমার মনের কথা বলবেন? আল্লাহর কাছে চাওয়া পাওয়া সবই তো সঙ্গোপনে ৭:৫৫।

(IV) তাকবিরে তাহরিমা তো কোরআনের কোন শব্দ না। আল্লাহুআকবার superlative degree অথচ আল্লাহর তুলনা শুধূই তিনি নিজে। আল্লাহুআকবার কথাটা কি কোরআনে কোথাও আছে? এর অর্থ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বা আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সর্বশ্রেষ্ঠ মানে কাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ? অন্য গডদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ? সবচেয়ে বড় মানে অন্য সকল গডদের চেয়ে বড়? শব্দে তুলনা রয়েছে অথচ আল্লাহর কোন তুলনা চলে না। আল্লাহর তুলনা তিনি নিজেই। সূরা ইখলাস আয়াতوَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤ ﴾৪. তাঁর তুলনা শুধু তিনিই)।

(V) আল্লাহর দেয়া দিক নিদের্শনা আল্লাহকে শোনানো কি ঠিক? নামাজে আল্লাহকে বলি ‘তোমাকে দিয়েছি কাউসার….’ আল্লাহকে শব্দ করে বা ফিস ফিস করে শুনাই ‘তুমি কি দেখ নাই আমি হস্তিবাহিনীকে কি করেছি?…’।

(VI) তাশাহুদ – হে নবী সম্মোধন করে প্রতি বৈঠকে সালাম দেই, নবীকি জীবিত? আর সাক্ষ্যও দেই, আল্লাহ কি আমার সাক্ষ্য চেয়েছেন? আমি সাক্ষ্য দেয়ার কে? সাক্ষী তো দিতে হয় অবলোকনের পরে। আমি কি অবলোকন করেছি?(VII) সালাম ফেরানোতে আমরা ফেরেশতাদের সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করি অথচ তারা আজ্ঞাবহ মাত্র তারা জান্নাতিদের সালাম দিবে সালামুন আলাইকুম বলে।(সুরা রাদ ১৯-২৪)

(VIII) একজন চিন্তকের মনোভাব উল্লেখ করছি: মাত্র ৭ টা পয়েন্ট? রুকু – সিজদা? রুকুর পরে সিজদা? না সিজদার পর রুকু? রুকু ১টা, সিজদা ২ টা কেন? এরকম তো হাজার হাজার প্রশ্ন আমার মনে? নামাজই যদি বেহেশ্তের চাবি হয় তাহলে তার ডিটেইল বর্ণনা নেই কেন? আমার নামাজ কেন হুজুরের পিছনে? হুজুর কী আমার জন্য জবাবদিহি করবেন? না করলে আমি তার পিছনে কেন? …. উফ…. এরকম লিখতে গেলে রাত ভোর হয়ে যাবে… তবু জিজ্ঞাসা শেষ হবে না।… আমি দিশেহারা …… এজন্য আমি একমাত্র আল্লাহরই সাহায্য চাই ..অনেক কোরআনের অনুসারী চিন্তক নিজেদের পূর্ববর্তী ধ্যানধারনা ত্যাগ করতে না পেরে কোরআন থেকে নামাজ খুঁজে। তারা কোরআনের বিচ্ছিন্ন বাক্য বা শব্দ নিয়ে প্রচলিত নামাজের মালা বুনে যদিও ওসব বাক্য বা শব্দগুলোর নাজিল করার উদ্দেশ্য ভিন্ন। যেমন:

(a) যত জায়গায় সময়ের উল্লেখ আছে, সেসব নিয়ে তারা নামাজের ওয়াক্ত বানায়। (২:২৩৮, ১১:১১৪, ১৭:৭৮, ২৪:৫৮)

(b) রূকু সিজদা কিয়াম শব্দগুলো নিয়ে প্রচলিত নামাজের মধ্যে মিলায় যদিও আয়াতগুলি মান্য করা, পালন করা বা প্রতিষ্ঠিত করা এমন অর্থেই যথাযথ হয়।

(c) প্রচলিত নামাজের ষ্ট্রাকচার কোরআনেতো নাই এমন কি সিয়াসিত্তা হাদিসেও নাই।

(d) আগে ৪:১০২ আয়াত কে দিয়ে নামাজের রাকাত মেনে নিতাম, পরবর্তীতে একটু গভীরে গিয়ে দেখলাম এটা মোমিনদের সার্বক্ষনিক সতর্ক থাকার দিকনির্দেশনা মূলক বিধান।

(e) ১৫:৮৭ দিয়ে নামাজে বার বার পঠিত সাত আয়াত (সুরা ফাতিহা) বুঝানো হয় অথচ কোরআনের ১৫:৮৭ নং আয়াতে ‘আয়াত’ শব্দটাই নাই। এভাবেই প্রচলিত নামাজকে গ্রহন যোগ্য করতে অসংখ্য শব্দ ও অর্থ বিভ্রাট চোখে পড়ে।এখন দেখবো আল্লাহর সাফল্যের সরলপথের অনুসারী আল্লার নিকট গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিবর্গের সালাত:

I. আল্লাহর দেয়া হালাল জীবিকা থেকে আল্লাহর দেখানো পথে ব্যয় করাও সালাত। ২:৩, ৮:৩

II. আল্লাহর বিধান পালনের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ হওয়াও সালাত। ২:৪৩

III. ধৈর্য ও বিনয়ের সাথে আল্লাহর সাহায্য চাওয়াও সালাত। ২:৪৫, ২:১৫৩

IV. আল্লাহ ব্যতীত অন্য যে কোন কিছুর ইবাদত না করা, মা বাবা আত্মীয় পরিজন এতিম গরীব মিসকিনদের সাথে সদাচার ও মানুষের সাথে উত্তম কথা বলাও সালাত। ২:৮৩

V. যেকোন সৎকাজও সালাত। ২:১১০

VI. আল্লাহ ইব্রাহীম ও ইসমাইল থেকে ধর্মাদর্শ কে বিশুদ্ধ রাখার অঙ্গীকার নিয়েছেন যাতে মানুষ সহজে আবর্তিত হতে পারে বা বুঝে মেনে পালন করার মাধ্যমে সালাত প্রতিষ্ঠা করতে পারে। ২:১২৫

VII. পূর্ব বা পশ্চিমমুখী হওয়ার মধ্যে কোনো পুণ্য নেই। পুণ্য রয়েছে আল্লাহ, আখেরাত, ফেরেশতা, সকল কিতাব ও নবীদের ওপর বিশ্বাসে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে আত্মীয়স্বজন, এতিম, মিসকিন, অসহায়, মুসাফির ও সাহায্যপ্রার্থীকে সাহায্য এবং দাসমুক্তির জন্যে অর্থদানে। ওয়াদা রক্ষায়। দুঃখকষ্ট, বালা-মুসিবত ও (সত্যের পথে যে-কোনো) দুর্যোগে ধৈর্যধারণ করায়। যারা তা করবে, তারাই প্রকৃত সত্যানুসারী ও আল্লাহ-সচেতন। এর সবই কাজ করলেই হয় সালাত প্রতিষ্ঠা, অর্জিত হয় পরিশুদ্ধি। ২:১৭৭

VIII. তালাক বা স্বামী মারা গেলে ইদ্দত মধ্যবর্তী কালীন সময়ে আল্লাহর দেয়া বিধান বিনীত ভাবে মানা ও মানতে সহযোগীতা করাও সালাত যদিও বাঁধা বা ভয়ভীতি আসে। ২:২২৬-২৪২

IX. না বুঝে ও অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় সালাত বা আল্লাহর বিধান পালন করা নিষেধ। ৪:৪৩, ৫:৬

X. আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহর বিধান মানাতে সর্বাত্মক আন্তরিক প্রচেষ্টায় পরিশুদ্ধি অর্জনও সালাত। ৪:৭৭

XI. ঈমান এনে সৎকাজের মাধ্যমে পরিশুদ্ধি অর্জনই সালাত।২:২৭৭, ২১:৭৩

XII. বিপদে আপদের আশংকায় সালাতে প্রতিষ্ঠিত থেকে সৎকাজও সংক্ষিপ্ত করা যায়। ৪:১০১

XIII. ঈমানদারগণ একত্রিত অরস্হায় বা পরামর্শ সভায় কালীন সার্বক্ষনিক পারষ্পরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। ৪:১০২

XIV. নিরাপত্তা শংকায় কাজ সংক্ষিপ্ত কালে সার্বক্ষনিক আল্লাহকে স্মরন ও পরবর্তীতে কাজ পূর্ন করাও সালাত। ৪:১০৩

XV. লোক দেখানো প্রচলিত নামাজ ও সৎকাজে শৈথিল্য হচ্ছে মুনাফিকদের সালাত। ৪:১৪২

XVI. উত্তম ঋন প্রদানও সালাত। ৫:১২

XVII. নি:স্বার্থে মৃত ব্যাক্তির পক্ষে ওসিয়ত পূর্ন করে দেয়াও সালাত প্রতিষ্ঠা। ৫:১০৬

XVIII. সালাত, কোরবানী, জীবন, মরন সবই আল্লাহর সনে। ৬:১৬২

XIX. গভীর মনোযোগ ও বিরুদ্ধ আনুগত্যে সালাত প্রতিষ্ঠা করতে হয়। ৭:২৯

XX. সালাতে সুন্দর পোশাক পরিধান ও উত্তম খাবার খেতে হয় তবে সীমার অতিক্রম করা যাবে না। ৭:৩১

XXI. আল্লাহর কিতাব দৃঢ়ভাবে ধারন করাও সালাত। ৭:১৭০

XXII. শিষ দেয়া, হাততালি দেয়া, উঠবস করা, আল্লার আমাদের প্রতি দেয়া নির্দেশনা না বুঝে আল্লাহকে সুর করে শুনানোতে কি পার্থক্য? এসব নামাজকে আল্লাহ বলেছেন কুফর। ৮:৩৫

XXIII. জ্ঞানীরাই সালাত ও আল্লাহর বিধান বুঝতে সক্ষম। ৯:১১

XXIV. আল্লাহর বিধান সংরক্ষনও সালাত। ৯:১৮

XXV. বিশ্বাসীদের পরষ্পরিক সৎ উপদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করাও সালাত। ৯:৭১

XXVI. আল্লাহর বিধান মানা প্রতিটি বিশ্বাসীর অন্তর গৃহই কিবলা ও সালাত প্রতিষ্ঠার ভিত। ১০:৮৭

XXVII. মোমিন যতক্ষন জেগে থাকে, ততক্ষনই সালাত। ১১:১১৪

XXVIII. ভাল দ্বারা মন্দ দূর করাও সালাত। ১৩:২২

XXIX. ফজরে কোরআন পাঠও সালাত। ১৭:৭৮

XXX. বুঝেশুনে কাজ করাও সালাত। ১৭:১১০

XXXI. পরিবার পরিজনকে পরিশুদ্ধির পথে আহব্বান ও অবিচল থাকাও সালাত। ১৯:৫৫, ২০:১৩২

XXXII. অপদার্থরা প্রকৃত সালাতকে নষ্ট করে। ১৯:৫৯

XXXIII. আল্লাহর স্মরনে সকল কাজই ইবাদত এবং এর সবই সালাত। ২০:১৪

XXXIV. আল্লাহভীতিতে ধৈর্য ধারন করে রিজিক থেকে ব্যয়ও সালাত। ২২:৩৫

XXXV. আল্লাহর বিধান পালনে যত্নবান, বিনয়ী ও নম্রতা অবলম্বনও সালাত। ২৩:২, ২৩:৯

XXXVI. আল্লাহর বিধান মেনে আখিরাতে বিশ্বাস রেখে ব্যাবসা বানিজ্য ও ক্রয় বিক্রয় সহ সকল কর্মকান্ড করাও সালাত। ২৪:৩৭, ২৭:৩XXXVII. কোরআন বুঝে পড়াও সালাত এবং আবশ্যই আল্লাহকে সার্বক্ষনিক স্মরণে রেখে জীবনের সকল কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে যে সালাত প্রতিষ্ঠা পায় তা সর্বক্ষেত্রে সকল অশ্লীল ও মন্দ কাজকে দূরে রাখে। ২৯:৪৫

XXXVIII. সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ ও বিপদে দৃঢ সংকল্পে ধৈর্যধারনও সালাত। ৩১:১৭

XXXIX. আল্লাহর আহবানে নিজেদের মাঝে সলাপরামর্শ করে কোন কার্যসম্পাদন বা পরিচালনা করাও সালাত। ৪২:৩৮

XL. ইত্যাদি


Collected from ishaq.yahya.3726

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *