কুরবানী -০২

হুবহু ‘কুরবানী’ শব্দটি কুরআনে নেই। কাছাকাছি যে শব্দগুলো কুরআনে আছে সেগুলো হচ্ছে কুরব্, কারিব, কুরবা, কুরবান ইত্যাদি। ‘কুরবানী’র প্রচলিত অর্থ ও তাৎপর্যের সাথে কুরব্, কারিব, কুরবান প্রভৃতি শব্দের পার্থক্য রয়েছে। এবার কুরআনে এ শব্দগুলোর কিছু প্রয়োগের দৃষ্টান্ত দেয়া যাক। কুরব্, কারিব, কুরবা, কুরবানের অর্থ হচ্ছে কোন বস্তু সামনে/কাছে রাখা (51:27), সম্পর্কের দিক দিয়ে কাছাকাছি হ‌ওয়া (2:83), অবস্থানগত দিক দিয়ে নৈকট্যে/কাছাকাছি থাকা (50:16) ইত্যাদি। মাজুসী/জরথুষ্ট্রীয় অগ্নিপূজকদের ধর্মমতে পশুবলীর মাধ্যমে দেবতাদের নৈকট্য/কুরব্ অর্জিত হয়। এথেকেই ‘কুরবানী’ শব্দের উদ্ভব অর্থাৎ যে আচারাদি পালনের মাধ্যমে দেবতাদের নৈকট্য অর্জন হয়। সুনির্দিষ্ট অর্থে দেবতাদের উদ্দেশ্যে পশুবলি। কুরআনে স্রষ্টার সন্তুষ্টি বা নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তে পশুবলি বা অন্য কোন প্রকারে ভেট/উৎকোচ প্রদানের ধারা নেই। হালাল পশু-জবাই দৈনন্দিন খাবারের প্রয়োজনে হবে, ঘটা ক’রে লক্ষকোটি পশু-জবাই নিঃসন্দেহে অর্থহীন, অপচয়মূলক, নানান দিক দিয়ে ক্ষতিকর ও স্পষ্ট বিলাসিতা— এধরনের কোন প্রথার প্রতি কুরআনের বিন্দু মাত্র সমর্থন নেই:

Al-Hajj 22:28

যাতে তারা তাদের জন্য কল্যাণ গুলো প্রত্যক্ষ করতে পারে আর তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক দান করেছেন, নির্দিষ্ট দিন গুলোতে তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। কাজেই তোমরা (নিজেরা) তাথেকে খাও আর দুঃস্থ অভাবীদের খাওয়াও।

হজ্বের মৌসুমে হজ্বস্থলে পশু-জবাইয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে— ঢালাও পশু-জবাইয়ের উৎসবের খাতিরে নয়— উপস্থিত লোকদের খাবারের স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে। স্মরণযোগ্য, হজ্ব উপলক্ষে কেবল পশু নয়, চাল-ডাল-আটা প্রভৃতি খাবার এবং নগদ টাকাও হাদিয়া স্বরূপ (donation) দেয়া যাবে। অর্থাৎ গলদেশে মাল‍্য পরিহিত চতুষ্পদ জন্তু (َالْقَلَآئِدَ- 5:2, 97) ও টাকা-জিনিসপত্র (الْهَدْيَ- 5:2, 97) দুই-ই দেয়া যাবে। তাহলে এটা স্পষ্ট হলো পশুজবাই বা অন্যান্য দানের বিষয়টি হজ্বের অনুষ্ঠান ও স্থানের সাথে সম্পর্কিত; হজ্ব উপলক্ষে পৃথিবীব্যাপী ঘরে ঘরে পশুজবাই/খাবার দাবারের উৎসব আয়োজনের কোন ইঙ্গিত কুরআনে নেই।

37:102-8 আয়াত গুলোতে দেখা যায় নবী ইব্রাহীম ভুলক্রমে তার স্বপ্নকে আল্লাহর আদেশ মনে করে তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে অর্থাৎ সন্তানের সম্মতিতে তাকে জবাই করতে উদ্যত হলে আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ইব্রাহীমকে ওহীর মারফত এহেন কাজ থেকে নিবৃত্ত করেন এই বলে— তুমি তো স্বপ্নকেই সত্য ঠাহর করে বসলে (قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا- 37:105), ওটা তো নিছক স্বপ্ন ছিল— আমি তো ওহী মারফত এমর্মে তোমাকে কোন আদেশ দেইনি! আল্লাহ আরও বলেন, তুমি সদাচারী বলেই তোমাকে আমি এতবড় অপরাধ/হত্যাকাণ্ড সংঘটন থেকে রক্ষা করলাম; এক‌ইসাথে তোমার গুণবান সন্তানকেও নিহত হ‌ওয়ার হাত থেকে রক্ষা করলাম (37:107)।

ইব্রাহীম স্বপ্নাদেশকে ভুলবশত আল্লাহর আদেশ মনে করে তা কার্যকরকরণে অগ্ৰসর হ‌ওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্যের পরাকাষ্ঠার‌ই প্রমাণ দেন। তার এই নিরংকুশ আনুগত্যের মনোভাবে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ একদিকে যেমন তার ভুল সংশোধন করে দেন তেমনি অন্যদিকে আল্লাহর প্রতি তার এই নিখাদ আনুগত্যের স্পিরিটকে ভাবীকালের সমগ্র মানবতার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে কুরআনে সংরক্ষণ করেন। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ত্যাগের এই চেতনাই মানবজাতির জন্য ইব্রাহীমের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার, পশু-জবাই উৎসব নয়। উপর্যুক্ত পুরো ঘটনায় পশু-জবাইয়ের কোন প্রসঙ্গ নেই। আল্লাহ ইব্রাহীমের এই ঘটনাকে পরবর্তীদের জন্য শিক্ষণীয় আদর্শ হিসেবে সংরক্ষিত করেন (وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ- 37:108)। উল্লেখ্য, আল্লাহ এখানে বলেননি যে সন্তানকে জবাইয়ের এই ভুল ও ব্যর্থ প্রচেষ্টাকে আল্লাহ পরবর্তীদের জন্য ‘ফরজ’ করে দিয়েছেন। সেরকম হলে তো সকল পিতামাতার উপর‌ই সন্তান জবাইয়ের বিধান জারি হতো! আমরা তো কেউই সেটার অনুকরণে সন্তান জবাইয়ে উদ্যত হ‌ই না। আল্লাহ এটাও বলেননি যে সন্তান জবাইয়ের স্থলে পশু-জবাইকে আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন। কোন আদেশ প্রদান করে অতঃপর সেটার পালনকালে নিবৃত্ত করা/সংশোধনী দেয়া আল্লাহর পদ্ধতি নয়; কুরআনে এরকম কোন দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না। ইব্রাহীমের এই পুরো ঘটনায় উট/দুম্বার কোন উল্লেখ‌ নেই। সন্তানের বদলে আল্লাহ দুম্বা কুরবানী কবুল করে নেন— এই ধরনের বয়ান কাহিনীকারদের তৈরি।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۖ

আর আমি তাকে (তার আনুগত্যের দৃষ্টান্তকে) পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম (37:108)—
এই বাক্যাংশটুকু থেকে কুরবানীর বিধান চয়ন করা কুরআনের মূলধারার ব্যাখ্যাকারদের কারসাজি মাত্র। হুবহু এই একই বাক্যাংশটুকু কুরআনের অন্যত্র নবী মূসা, হারুন ও ইলিয়াসের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। সেসব স্থলে মুফাসসিররা তাদের কৃত 37:108 আয়াতের অর্থ গ্ৰহন করেননি, ভিন্ন অর্থ (এবং যেটা যথার্থ) গ্ৰহন করেছেন:

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ

আমি তাদের উভয়কে (মূসা ও হারূনকে) পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম (37:119)।

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ

আমি তাকে (ইলিয়াসকে) পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম (37:129)।

আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এক‌ই সূরা অর্থাৎ আস-সাফফাতের 108-11, 119-22 ও 129-32 আয়াতগুলোতে নবী ইব্রাহীম, মূসা, হারুন ও ইলিয়াস সম্বন্ধে হুবহু এ‌ক‌ই বর্ণনাভঙ্গি ব্যবহার করা হয়েছে, শব্দে শব্দে মিল রয়েছে। এতদ্বসত্ত্বেও মুফাসসিররা পশু কুরবানীকে জায়েজ করার উদ্দেশ্যে 37:108 আয়াতের অর্থ ঘুরিয়ে দিলেন! ইব্রাহীমের ত্যাগ ও আনুগত্যের উদাহরণের স্থলে ‘কুরবানী’কে গ্ৰহন করলেন! এবং কুরআন-বিমুখ অজ্ঞতাপ্রেমী মূর্খতাপ্রিয় প্রশ্নশূন্য মুসলমান এই অযৌক্তিক দলিলবিহীন প্রথাকেই যুগযুগান্তরে আঁকড়ে ধরে আছে!

As-Saffat 37:100

رَبِّ هَبْ لِيْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ

হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর।

As-Saffat 37:101

فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِيْمٍ

অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।

As-Saffat 37:102

فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يٰبُنَيَّ اِنِّيْۤ اَرٰي فِي الْمَنَامِ اَنِّيْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرٰي ؕ قَالَ يٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ۫ سَتَجِدُنِيْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِيْنَ

অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফিরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইবরাহীম (আঃ) বলল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন।

As-Saffat 37:103

فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَتَلَّهٗ لِلْجَبِيْنِ ۚ

দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহীম তাকে উপুড় ক’রে শুইয়ে দিল।

As-Saffat 37:104

وَنَادَيْنٰهُ اَنْ يّٰۤاِبْرٰهِيْمُ ۙ

তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম!

As-Saffat 37:105

قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْيَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ

তুমি স্বপ্নকে সত্য ঠাহর করে বসলে! এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

As-Saffat 37:106

اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓـؤُا الْمُبِيْنُ

অবশ্যই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।

As-Saffat 37:107

وَفَدَيْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِيْمٍ

আমি এক ভয়াবহ জবাই/হত্যাকাণ্ড সংঘটন থেকে তাকে ছাড়িয়ে নিলাম/নিস্কৃতি দিলাম।

As-Saffat 37:108

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۖ

আর আমি তাকে (তার আনুগত্যের দৃষ্টান্তকে) পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম।

As-Saffat 37:109

سَلٰمٌ عَلٰۤي اِبْرٰهِيْمَ

ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক!

As-Saffat 37:110

كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ

সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি।

As-Saffat 37:111

اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ

সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।

As-Saffat 37:119

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِمَا فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ

আমি তাদের উভয়কে (মূসা ও হারূনকে) পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম।

As-Saffat 37:120

سَلٰمٌ عَلٰي مُوْسٰي وَهٰرُوْنَ

মূসা ও হারূনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

As-Saffat 37:121

اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ

এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

As-Saffat 37:122

اِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ

তারা দু’জন ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত।

As-Saffat 37:129

وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ ۙ

আমি তাকে (ইলিয়াসকে) পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম।

As-Saffat 37:130

سَلٰمٌ عَلٰۤي اِلْ يَاسِيْنَ

ইলিয়াসের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

As-Saffat 37:131

اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ

এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।

As-Saffat 37:132

اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ

সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তুর্ভুক্ত।

Adh-Dhariyat 51:27

فَقَرَّبَهٗۤ اِلَيْهِمْ قَالَ اَلَا تَاْكُلُوْنَ

অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’

Al-Baqarah 2:83

وَاِذْ اَخَذْنَا مِيْثَاقَ بَنِيْۤ اِسْرَآءِيْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللّٰهَ ۟ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا وَّذِي ‌الْقُرْبٰي وَالْيَتٰمٰي وَالْمَسٰكِيْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَّاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ ؕ ثُمَّ تَوَلَّيْتُمْ اِلَّا قَلِيْلًا مِّنْكُمْ وَاَنْتُمْ مُّعْرِضُوْنَ

আর স্মরণ কর, যখন বনী ইসরাঈলের শপথ নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত করবে না, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, অনাথ ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত গ্রহন করবে। কিন্তু অল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা অগ্রাহ্যকারী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিলে।

Qaf 50:16

وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ وَنَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهٖ نَفْسُهٗ ۚۖ وَنَحْنُ اَقْرَبُ اِلَيْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِيْدِ

আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি, আর তার প্রবৃত্তি তাকে (নিত্য নতুন) কী কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আমি তার গলার শিরা থেকেও নিকটবর্তী।

Al-Hajj 22:28

لِّيَشْهَدُوْا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللّٰهِ فِيْۤ اَيَّامٍ مَّعْلُوْمٰتٍ عَلٰي مَا رَزَقَهُمْ مِّنْۢ بَهِيْمَةِ الْاَنْعَامِ ۚ فَكُلُوْا مِنْهَا وَاَطْعِمُوا الْبَآئِسَ الْفَقِيْرَ ۫

যাতে তারা তাদের জন্য কল্যাণ গুলো প্রত্যক্ষ করতে পারে আর তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যে রিযক দান করেছেন, নির্দিষ্ট দিন গুলোতে তার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। কাজেই তোমরা (নিজেরা) তাথেকে খাও আর দুঃস্থ অভাবীদের খাওয়াও।

Yusuf 12:111

لَقَدْ كَانَ فِيْ قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِّاُولِي الْاَلْبَابِ ؕ مَا كَانَ حَدِيْثًا يُّفْتَرٰي وَلٰكِنْ تَصْدِيْقَ الَّذِيْ بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيْلَ كُلِّ شَيْءٍ وَّهُدًي وَّرَحْمَةً لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ

এদের কাহিনীসমূহে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় আছে। এ কুরআন কোন মিথ্যে রচনা নয়, বরং তাদের পূর্বে আগত কিতাবের প্রত্যয়নকারী আর যাবতীয় বিষয়ের বিস্তারিত বিররণে সমৃদ্ধ, আর মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য পথের দিশারী ও রহমত।

(এগুলোর প্রচলিত অনুবাদ)
চলবে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *