ক্বদর

পর্ব ০১

সুরা ক্বদরের অনুবাদ:

১) নিশ্চয়ই আমরা এটিকে নাজিল করেছি ( ইন্না আনজালনা হু ফি) অন্ধকারের (লাইলাতুল) মহাশক্তিময় যুগে (ক্বদর, ক্বাদিরুন অর্থ মহাশক্তিময়/ক্ষমতাবান ২ঃ২০, ২ঃ১০৬, ২ঃ১০৯) (2:185;14:1; 44:1-4;81:17-19).

২) তোমরা কি জানো অন্ধকারের মহাশক্তিময় যুগ কি?

৩) অন্ধকারের মহাশক্তিময় যুগ (লাইলাতুল ক্বদরি) মনোনীত হয়েছে/আধিপত্য লাভ করেছে (খাইরুন, ৫৬ঃ২০, ৬৮ঃ৩৮, ২০ঃ১৩, ২৮ঃ৬৮, ৪৪ঃ৩২) অশুভ শক্তিদের ঐক্যবদ্ধতার মাধ্যমে (মিন আলফি, ২৪ঃ৪৩, ৩ঃ১০৩) একটি সুপরিচিত সময়ে (শাহরিন)

অর্থাৎ অশুভ শক্তিদের একীভুত বা ঐক্যবদ্ধ হবার কারণে একটি মহাশক্তিময় অন্ধকার যুগের উদ্ভব হয়েছিল।

৪-৫) অবতীর্ণ (তানাজ্জালুল) প্রাকৃতিক শক্তি (মালাইকা) এবং (ওয়া) প্রাকৃতিক উপাদান (রুহ, যেমন বাতাস, ১৭ঃ৬৯, ১৫ঃ২২, ১০ঃ২২, ৭ঃ৫৭) এই অন্ধকার মহাশক্তিময় যুগে (ফি হা) তোমার রবের অনুমতিক্রমে (বি ইজনি রাব্বিহিম) তার নির্দেশনা থেকে (মিন কুল্লি আমর, আমর-৫১ঃ৪, ৫৭ঃ১৪, ৪২ঃ৫২) শান্তি এনেছিল (সালামুন হিয়া) যতক্ষণ না পর্যন্ত পাপাচার আবৃত হয় (হাত্তা মাতলাই আল-ফাজর)।(39:69;83:6).

মাতলাইল শব্দটা ৫০ঃ১০, ৩৭ঃ৬৫ আয়াতে আছে যেখানে খেজুরের আবরণকে “তা’লুন” বলা হচ্ছে। আল ফুজারি/ফাজর এর অর্থ হলো পাপাচার (wickedness) যা হলো মুত্তাকি এর বিপরীত শব্দ (৩৮ঃ২৮)

বিশ্লেষণ

১) ১৬ঃ২ দেখা যায় কিভাবে মালাইকা এবং রুহ একসাথে কাজ করে আল্লাহর আদেশ তার বান্দার হৃদয়ে পৌঁছে দেয়।

২) ২৬ঃ১৯২-১৯৪ দেখা যায় কুরআনটা মালাইকা ও রুহ এর মাধ্যমে (বিহি) অবতীর্ণ হয়েছে সরাসরি রাসুলের হৃদয়ে। স্পষ্ট আয়াত।

প্রচলিত তাফসিরকারকরা এই “রুহ” এর নাম দিছে জিব্রাইল, যা বাইবেল থেকে আসছে? কুরআনে জিব্রিলকে কোথাও রুহ বা মালাইকা বলা হয়নি। জিব্রিল অন্য টপিক।

৩) ৯৭ঃ৩ এ আলফি শব্দটার অর্থ সম্মিলিত হওয়া/একত্রিত হওয়া/একীভূত হওয়া। এই কনটেক্সে অশুভ শক্তিরা একত্রিত হয়ে একটি মহাশক্তিময় অন্ধকার যুগের সূচনা করেছিল, যা সমাজে সুপরিচিত তীব্র অস্থির সময় (শাহরু রামাদান) এর জন্ম দিয়েছিলো।

৪) খাইরুন শব্দটার সাধারণ অর্থ হলো better/উত্তমতর। কিন্তু এটির অর্থ আধিপত্য (superiority) লাভ বা মনোনীত (chosen) হতে পারে কন্টেক্সট অনুসারে।

৫) মালাইকা আর রুহ যে শান্তি এনেছিল তা হলো কুরআন। এই কুরআন অধ্যয়ন ও আত্মস্হ (কুল ওয়া আশরাবু) করার মাধ্যমে মানুষকে পাপাচারের অন্ধকার রেখা (মিন আল ফাজরি) থেকে আলোর রেখায় নিয়ে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল (২ঃ১৮৭)। যদিও অধিকাংশই ঈমান আনেনি এবং রাসুলগণ বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল (২৩ঃ৫১-৫২) এবং রাসুল অভিযোগ করেছিলেন যে “আমার সম্প্রদায় এ কুরআনকে পরিত্যাগ করেছে (২৫ঃ৩০)।” এসব কারণে আরবজাতি যে মহাশক্তিময় অন্ধকার যুগে ছিল, গত ১৪০০ বছর ধরে সেখানেই ছিল এবং এখনো সেখানেই পড়ে আছে। এবং তাদের সেই অন্ধত্ব ছড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ পাকিস্তান আফগানিস্তান সহ সকল তথাকথিত মুসলিম দেশ গুলোতে।

সারমর্মঃ

১) অশুভ শক্তিদের একীভূত হবার কারণে একটি মহাশক্তিময় অন্ধকার যুগের সুচনা হয় যা সমাজে তীব্র অস্থিরতা (শাহরু রামাদান) এনে দিয়েছিল। সে সময়ে কুরআন নাজিল হয় সরাসরি রাসুলের হৃদয়ে মালাইকা ও রুহ এর মাধ্যমে। (২৬ঃ১৯২-১৯৪)।

উদাহরণ স্বরূপ সমাজে যদি সব দুর্নীতিবাজ একত্রিত হয়, তাহলে এই অশুভ শক্তির বিপক্ষে দাঁড়ানোর মত সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।

২) সে যুগে নিসা/নির্ভরশীলদের সাথে অসদাচরণ (রাফাছু) করা হতো (২ঃ১৮৭)। সে যুগেও দখল বানিজ্য করা হতো এবং বিচারককে ঘুষ দিয়ে রায় নিজের পক্ষে আনা হতো। (২ঃ১৮৮)

৩) তাই যারাই সে ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়েছে (ফামান শাহিদা মিনকুন) তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল সেই মহা অশুভ শক্তিকে প্রতিহত/বিরত করার সংকল্পবদ্ধ হতে (সিয়াম পালন) (২ঃ১৮৫) এবং মানুষের প্রয়োজনে আওয়াজ তুলতে/প্রতিবাদ করতে (২ঃ১৮৯)

পর্ব ০২

সুরা কদর অনুযায়ী লাইলাতুল কদর তো একবারেই এসেছিলো। কুরআন নাজিলের কারনে ঐ রাতের মর্জাদার কথা সুরাতে বলা আছে কিন্তু প্রতিবছর এটা আসবে এবং তা তালাশ করতে হবে এই বিষয়ে কোন নির্দেশনা যেহেতু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দেননি তাই এটা প্রতি বছর পালন করাও কুরআন বিরুদ্ধ তথা আল্লাহর নির্দেশের পরিপন্থী।

1,রমযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে।(2:185)

2.হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী।(44:1-5)

3.নিশ্চয়ই আমি ইহা অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে; আর মহিমান্বিত রাত সম্বন্ধে তুমি জান কী? মহিমান্বিত রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।ঐ রাতে মালাইকাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের রবের অনুমতিক্রমে। শান্তি! ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ তারা এই আলোর আবির্ভাবে থাকবে ।(97:1-5)

4.নিশ্চয়( قُرۡاٰنَ الۡفَجۡرِ ) কুরআনের আলো সাক্ষী সাক্ষী হয়ে থাকবে।(17:78)

5.আল্লাহ ইসলামের জন্য যার বক্ষ উন্মুক্ত করে দিয়েছেন, ফলে সে তার রব হতে আগত আলোর মধ্যে আছে, সে কি তার সমান যে এরূপ নয়? অতএব দুর্ভোগ সে কঠোর হৃদয় ব্যক্তিদের জন্য, যারা আল্লাহর স্মরণ বিমুখ! তারা স্পষ্ট বিভ্ৰান্তিতে আছে।(39:22)

পর্ব ৩

কুরআন অবতীর্ণ হবার আগে প্রি-ইসলামিক আরবের ক্যালেন্ডারে “রামাদান” নামের কোনো মাসের অস্তিত্বই ছিল না। তাহলে সুরা বাকারার ২:১৮৫ তে “শাহরু রামাদান” বলতে কোন মাসকে বুঝাইছে?

ধরুন, আপনি ইংরেজি বারো মাসের নাম জানেন। এখন আপনাকে যদি আমি বলি “স্বাধীনতার মাসে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি”। তার মানে কিন্তু মাসটার নাম “স্বাধীনতা” হয়ে যায়না। আপনি যেহেতু বাংলাদেশের ইতিহাস জানেন, তাই আপনি বুঝে নিলেন যে স্বাধীনতার মাস হলো “মার্চ মাস”। এখানে মার্চ মাসকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে “স্বাধীনতার মাস” বলে।

এবার ১৪০০ বছর আগে টাইম ট্রাভেল করে আরবে যান। আপনি জানেন যে “রামাদান” নামক কোনো মাসের অস্তিত্ব নাই। আপনি নিচের ১২টি আরবি মাসের নাম জানেন:

১.মুতামির, ২.নাজির, ৩.খাওয়ান, ৪.ওয়াবসান, ৫.হানিন, ৬.রুব্বা, ৭.আস্সাম/মুনসিল, ৮.আদিল, ৯.নাতিক, ১০.ওয়াইল, ১১.ওয়ারনাহ,১২. বুরাক।

এখন কুরআনের সুরা বাকারা ১৮৫ আয়াতে “শাহরু রামাদান” উল্লেখ করে বলা হলো ঐ রাতে কুরআন গাইডেন্স হিসাবে অবতীর্ণ হয়েছে। ধরুন, আপনি আয়াতটি লাইভ শুনলেন নবী এর মুখে। আপনি কি কিছু বুঝবেন এইটা তৎকালীন প্রি ইসলামিক আরবি ক্যালেন্ডারে কোন মাসের কথা বলা হইছে?

আমরা যেমন স্বাধীনতার মাস বা বিজয়ের মাসকে গ্লোরিফাই করি একটি নির্দিষ্ট ইভেন্টের কারণে ( ২৬শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর) তেমনি কুরআন অবতীর্ণ হবার যে ইভেন্ট (অর্থাৎ যেই রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়) সেই মাসকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে “শাহরু রামাদান” বা “তীব্র উত্তাপের মাস” বলে।

রামাদান শব্দের অর্থ হচ্ছে “তীব্র উত্তাপ”। কুরআন অবতীর্ণের ইভেন্টকে “তীব্র উত্তাপ” বলে গ্লোরিফাই করার কারণ হলো সমাজের অন্ধকার দূর করতে তীব্র উত্তাপের মত শক্তির প্রয়োজন হয়।

এখন মজার ব্যাপার হলো প্রি ইসলামিক ক্যালেন্ডারের “নাতিক” মাসকে বর্তমান ইসলামিক ক্যালেন্ডারে “রামাদান” নামক মাসটি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হইছে। অর্থাৎ “রামাদান” নামে যে মাসটি এখন দেখতে পাচ্ছেন তা কুরআন অবতীর্ণের বহু পরে (কথিত খলিফা ওমরের শাসনামলে) প্রবর্তিত ইসলামিক ক্যালেন্ডারে একটি মাস হিসাবে স্বীকৃতি পাইছে।

মানে ব্যাপারটা হলো ডিসেম্বর মাসের নাম বদলায়ে ২০ বছর পরে অফিসিয়ালি “বিজয়ের মাস” রাখার মত অবস্থা।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে কিন্তু আমরা সুনির্দিষ্টভাবে জানি যে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি।

সমস্যা হলো প্রি ইসলামিক “নাতিক” মাসেই (যা পরে রামাদান মাস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হইছে) যে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, তার কোনো প্রমাণ নাই। কুরআন অবতীর্ণ হবার ইভেন্টকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে “শাহরু রামাদান” বলে, কিন্তু সেটা কবে, কোন রাতে, সেই তথ্য কুরআনে নেই। একইভাবে “লাইলাতুল ক্বদর”ও সেই বিশেষ রাতকেই ইঙ্গিত করে, তবে সেটা কবে সেটাও বলা নাই কুরআনে। এবং এটিকেও “সম্মানের রাত” (ক্বদর অর্থ সম্মান, লাইল অর্থ রাত) হিসাবে গ্লোরিফাই করা হয়েছে, “ক্বদর” নামে কোনো রাতের নাম নয় এটি, ঠিক যেমন “রামাদান” নামে কোনো মাস ছিল না। এগুলো শুধুমাত্রই “বিশেষণ”, কোনো বিশেষ্য নয়।

এত সম্মানের রাত ও সম্মানের মাস নিয়ে এত ধোয়াশা কেন কুরআনে- সেটাই হলো ফুড ফর থট! এটা যখন পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি স্তম্ভ, স্রস্টা কি পারতেন না স্পেসিফিক করে বলে দিতে যে কবে ছিল সেই রাত কিংবা সেই মাস?

পর্ব ০৪

রোজার উদ্দেশ্য কি না খেয়ে থাকার চর্চা করা?
বা অন্যকে না খেয়ে থাকতে উৎসাহিত বা বাধ্য করা?
রোজার সফলতা কি ত্রিশ দিন না খেয়ে থাকতে পারার মাঝে?

এইসব গুলোর উত্তর না। রোজার উদ্দেশ্য মুত্তাকি হওয়া। তাই আল্লাহ কোরআনে,সুরা বাকারায় ১৮৩ আয়াতে বলেছেন,

“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি সাওমকে কুতিবা করা হয়েছে,যেমন তোমাদের আগের লোকেদের প্রতি করা হয়েছিল,যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার।”

মুত্তাকী হতে হলে আপনাকে সাতটি কাজ করতে হবে যার একটি হল ওয়াদা রক্ষা করা।

আপনার ক্ষুধা আপনাকে জানান দিবে যে আপনি মুত্তাকি হওয়ার চেষ্টায় আছেন।কিন্তু আমাদের ক্ষুধা আমাদের জানান দেয়,সময় আর কতক্ষণ আছে।কোরআনের সাওমের সফলতা হল মুত্তাকিদের কাজগুলো করতে পারার মাঝে।আর আমাদের সফলতা ইফতারে খাওয়া আর হিসেবে যে আমার কয়টা রোজা হল।

মুত্তাকী হওয়ার জন্য প্রধানত যা যা করনীয় তাই আছে সুরা বাকারার ১৭৭ নং আয়াতে।

১)পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মূখ ফেরানোতে কোন কল্যান নাই (ইহুদি,খ্রিস্টানরা প্রার্থনা করে পূর্ব দিকে মুখ ফিরিয়ে আর মুসলমানরা প্রার্থনা করে বা নামায পড়ে পশ্চিম দিকে মুখ ফিরিয়ে)

২)কল্যাণ আছে…
১.আল্লাহ
২.আখিরাত
৩.ফেরেশতা
৪.আল কিতাব(আল কুরআন)
৫.নবীদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপনে।

৩) সম্পদের প্রতি ভালোবাসা থাকা সত্ত্বেও যারা সেই সম্পদ পিতামাতা,আত্নীয় স্বজন,এতিম,মিসকিন, পথচারী বা মুসাফির ও দাস মুক্তির জন্য ব্যয় করে।

৪) যারা আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব সমূহ বুঝে নিয়ে তা পালন ও প্রতিষ্ঠা করে।

৫) যারা যাকাত বা পরিশুদ্ধতা অর্জন করে।

৬) যারা ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে।

৭) যারা অভাব অনটনে,দু:খ দুর্দশায় ও সংকট সংঘাতে ধৈর্য্য ধারণ করে।

তারাই সত্যবাদী ও মুত্তাকী। তাদের জন্যই আছে মহা পুরস্কার।

আবারও বলি রোজার উদ্দেশ্য না খেয়ে থাকতে পারায় না,রোজার উদ্দেশ্য পিতা,মাতা,আত্নীয় স্বজনের জন্য ব্যয় করায়,সম্পদের প্রতি আসক্তি থাকা স্বত্বেও।তাহলেই আপনি মুত্তাকী আর আপনার না খেয়ে থাকা সফল।আর আমরা রোজা রাখি কে কে রোজা রাখছে তা জানার জন্য আর বেরোজদারকে জাহান্নামি হিসেবে আইডেনটিফাই করার জন্য।

কোরআন বুঝে পড়লে,আপনি নিজেকে নিয়ে চিন্তায় থাকবেন যে আপনি নিজে মুত্তাকী হতে পারছেন কিনা। আর আমরা অন্যের খাবারের দোকান বন্ধ করে নিজেকে রোজাদার হিসেবে সফল মনে করি। অথচ আল্লাহ বলছেন,ধর্মের ব্যাপারে কোন জোড় জবড়দস্তি নেই।(সুরা বাকারা,আয়াত ২৫৬)

যেহেতু আমাদের এসব জানা নেই,তাই আমরা খোলা দোকান পিটিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করছি বলে মনে করি। কিন্তু ওয়াদা রক্ষা করে,পিতামাতা,আত্নীয়স্বজনের জন্য ব্যয় করাকে আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা মনে করি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *