এ কেমন রহমত ও বরকতের মাস প্রচন্ড রোদের তাপ অথচ পানি পর্যন্ত খাওয়া যাবে না!?
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে রোজা পাশাপাশি রোদ্রের তাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে, দিন মজুর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই রোজা যে কতটা ভয়ঙ্কর জুলুম তা কোন ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
এ কেমন ধর্মান্ধতা? এ কেমন ধর্মের বিধান যা মানুষের নফসের উপরে জুলুম করতে বাধ্য করে?
এই রোজা যে কতটা ভয়ংকর জুলুম তা মসজিদের কোণে বসে ইমামতি হুজুরগিরি এবং বুজুর্গগিরি করে টের পাওয়া যাবে না, এবং টের পাওয়া যাবে না অফিসের এসি রুমে বসে থেকে, অথবা ঘরের ভিতরে শুয়ে শুয়ে মোবাইল ল্যাপটপ নিয়ে টাইম পাস করে।
বরং একজন দিন মজুর খেটে খাওয়া কৃষক শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করে দেখুন- যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রোদে পুড়ে জীবিকা অর্জন করে, জিজ্ঞাসা করে দেখুন? প্রচন্ড রোদের তাপে ১১-১২ ঘন্টা ভাত পানি না খেয়ে থাকার কষ্টটা কি? যদিও আল্লাহর ভয়ে তারা নিজেদের উপরে জুলুম করে আর্থিক সংকট এবং অসুস্থতার সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেহটা শুটকি মাছের মত শুকিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের অবস্থাটা হচ্ছে বুক ফাটে তবুও মুখ ফাটে না, এ যেন এক নীরব যন্ত্রণা ।
অনেক কুরআনের ভাইরাও, এটা যে আল্লাহর বিধান নয় তা মেনে নিতে পারবেনা।অথচ এগুলো আমাদের সমাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- কারণ আমরা নিজেরাও এই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে এসেছি, আমরা জানি কতটা কষ্ট এবং যন্ত্রণাময় ছিল ওই সময়টা, যদিও আল্লাহর সন্তুষ্টি ভেবে মনকে সান্ত্বনা দিতে বুঝিয়ে নিতাম।
অতএব জ্ঞানীদের বিবেক দিয়ে চিন্তা করে দেখা উচিৎ যেই আল্লাহ মানুষের প্রয়োজনে কিতাব নাযিল করেছেন এবং মানুষের জীবন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শান্তি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিধান দিয়েছেন, যেহেতু তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সেই আল্লাই কি করে সেই মানুষের উপরেই অমানবিক বিধান দিয়ে খুশি হবেন ।
কি অদ্ভুত একজন মানুষ সারাদিন রোজা রেখে উপোস থেকে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্ট করবে!
আর আল্লাহ আসমানের উপরে বসে খুশি হবেন!
না আল্লাহ এত নিষ্ঠুর হতে পারেন না, নিশ্চয়ই এটা ধর্মব্যবসায়ীদের চক্রান্ত যারা কোরআনের অর্থ অনুবাদ পরিবর্তন করে ফেলেছেন।
জ্ঞানীদের এতটুকু চিন্তা করে দেখা উচিৎ,
আল্লাহ কুরআন তার প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নাযিল করেননি বরং তিনি মানুষের জীবন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নাজিল করেছেন, অতএব মানুষ নিজের উপরে জুলুম করে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার কথা আল্লাহ কখনোই বলবেন না।
Academic বিশ্লেষণটা বলে ধারণাটি দিচ্ছি। মূলতঃ সিয়াম শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে আদি মূল (Proto root) সম (সোয়াদ-মীম) আর ত্রি-আক্ষরিক মূল (Triliteral root) সমাম (সোয়াদ-মীম-মীম) থেকে যার অর্থ হচ্ছে কথা কানে না তুলে কোন সিদ্ধান্তে অবিচল থাকা (not to listen to SB or sth and/or, to be determined/decided/steadfast, persevering, কোন ব্যক্তি বা কোন কিছুর পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেয়া (to stand for or against Sb or sth).
প্রসঙ্গতঃ এর মূল (Root) হিসেবে বর্তমানে প্রচলিত সোয়াদ-ওয়াও-মীম (সাওম) পার্শিয়ানদের কর্তৃক ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাবে নির্ণয় করা হয়েছে (কারণ মূলের ক্ষেত্রে কোন vowel আসতে পারবে না, যা আরবি ভাষার ১নং নিয়ম বিরোধী। আরবি ভাষাটাই semitic বা consonantal). অতএব, সাওম বা সিয়াম (কোনটাই plural নয় এবং একই মূল থেকে উদ্ভূত ভিন্ন derivatives মাত্র) এর মধ্যে “বিরত থাকা” বা “সংযমী হওয়া” type এর কোন অর্থই নেই। সুতরাং, এ যাবৎকাল “বিরত থাকা/Abstain” বা “সংযমী হওয়া/Restrain” অর্থ ধরে নিয়ে করা পৃথিবীর সমস্ত অনুবাদ ও গবেষণা মারাত্মক ভুল ও বিপথে গমন মাত্র।
বর্তমান ইসলাম ধর্ম হচ্ছে মানুষ তৈরী। কুরআন এ রোজা রাখার ব্যাপারে কিছুই নাই। অন্য ধর্মের উপবাসের সাথে কমপিট করতে যেয়েই আগের মুসলিম ধর্ম প্রবর্তকরা বা হুজুররা এসব রিচুয়ালের প্রবর্তন করেন। এর পেছনে অনেক ধান্দা ছিলো। সামনের দিনেও আরো অনেক অনুষঙ্গ যোগ হবে, বোঝাই যায়।
রমজান মাস যদি আল্লাহর বিধান হয়,তাহলে এত ঋতুর পরিবর্তন কেন,এটাতো বছরের নির্দিষ্ট সময়ে স্থীর থাকার কথা??
প্রচলিত রোজাটা সিয়াম নয়। সিয়াম হলো স্রষ্টার বিধান জানতে প্রয়োজনীয় কাজ যা করে স্রষ্টায় বিশ্বাস স্হাপনের পর পরই স্রষ্টার স্বরূপ, আদেশ, নিষেধ জেনে স্রষ্টা সচেতন বা মুত্তাকী হওয়া যায়। এটি ব্যক্তি ইচ্ছা নির্ভর যা কোন নির্দিষ্ট মাসে সীমিত নয়।
রোজা রমজান নয়, রমজানও রোজা নয়। আরবিতে “সিয়াম” ফার্সিতে “রোজা” বাংলায় “উপবাস বা কৃচ্ছ সাধন। রমজান আরব দেশের চন্দ্র মাসের নবম ও সবচেয়ে ছোট দিনের মাসটির নাম।
রমজান মাস স্থির রাখতে হলে পৃথিবীর সকল মুছলিমগণকে আরব দেশে হাজির হয়ে রোজা, ঈদ পালন করতে হবে।
সিয়ামের উপলব্ধিঃ
কোরআন পড়লে বিশেষ করে ৯ঃ১১২, ৩৩ঃ৩৫, ৬৬ঃ০৫ আয়াত গুলি থেকে যে কেউ সহজেই বুঝতে পারে যে এটি আল্লাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজেদের অজ্ঞতা ও ক্ষুদ্র স্বার্থের কারনে এই গুরুত্বপূর্ণ বিধানে শব্দবিভ্রাট ও অর্থবিভ্রাট করে এর মূল অন্তর্নিহীত বাস্তবতার শিক্ষা থেকে আমাদের বিভ্রান্ত করছে।
সিয়ামের মূল শিক্ষাটা একনিষ্ঠ ভাবে অবিচল বা অটল থেকে আল্লাহর নাজিলকৃত কিতাব থেকে আল্লাহর বিধান সম্মন্ধে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারে। এক্ষেত্রে মানুষ আল্লাহর উপরে ঈমান আনার অব্যবহিত পরেই সিয়াম পালনের মাধ্যমে কোরআনের প্রয়োজনীয় বিধান সম্মন্ধে সম্মক জ্ঞান অর্জন করবে যাতে সে মুত্তাকী বা আল্লাহ সচেতন হয়ে কুফর মুনাফেকী ও শির্কমুক্ত জীবন যাপন করতে পারে।
বর্তমানে প্রচলিত রোজা একটি ফার্সী শব্দ আর রোজা নামক রিচুয়ালের উপবাস প্রাচীন জুরাষ্টেরিয়ান রিলিজিয়ন থেকেই এসেছে বলেই প্রতীয়মান।
সিয়াম বুঝার জন্য নিম্নের আয়াত গুলি বাংলা মর্মার্থ সন্নিবেশ করা হলঃ
আল-বাকারাহ 2:183
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে যারা ঈমান আনলা! তোমাদের প্রতি সিয়াম প্রস্তাবিত করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের প্রতি প্রস্তাবিত করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী/আল্লাহসচেতন হতে পার।
আল-বাকারাহ 2:184
أَيَّامًا مَّعْدُودَٰتٍۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَۚ وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُۥۚ وَأَن تَصُومُوا۟ خَيْرٌ لَّكُمْۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
(সিয়াম) নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে পীড়িত কিংবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে এবং সিয়ামে সক্ষমের উপর কর্তব্য হচ্ছে ফিদইয়া প্রদান করা, এটা অভাবীকে অভাবমুক্ত করা এবং যে ব্যক্তি নিজের খুশীতে সৎ কাজ করতে ইচ্ছুক, তার পক্ষে তা আরও উত্তম আর তার পরও সিয়াম পালন করাই তোমাদের পক্ষে উত্তম/কল্যানকর, যদি তোমরা বুঝ।
আল-বাকারাহ 2:185
شَهْرُ رَمَضَانَ ٱلَّذِىٓ أُنزِلَ فِيهِ ٱلْقُرْءَانُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَٰتٍ مِّنَ ٱلْهُدَىٰ وَٱلْفُرْقَانِۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَۗ يُرِيدُ ٱللَّهُ بِكُمُ ٱلْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ ٱلْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا۟ ٱلْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا۟ ٱللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَىٰكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
গভীর চিন্তার উত্তপ্ত মুহূর্ত/কাল/সময়- কুরআনের জ্ঞান নাযিল করা হয়, যা লোকেদের পথ প্রদর্শক এবং হিদায়াতের সুস্পষ্ট বর্ণনা এবং সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী, কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ সময়/কাল পাবে, সে যেন এ সময়ে সিয়াম পালন করে আর যে পীড়িত কিংবা সফরে থাকলে সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে, আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান, যা কষ্টদায়ক তা চান না যেন তোমরা মেয়াদ পূর্ণ করতে পার, আর তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মাহাত্ম্য ঘোষণা কর, আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার।
আল-বাকারাহ 2:186
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِى عَنِّى فَإِنِّى قَرِيبٌۖ أُجِيبُ دَعْوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِۖ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لِى وَلْيُؤْمِنُوا۟ بِى لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
যখন আমার বান্দারা আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি তো নিকটেই, আহবানকারী যখন আমাকে আহবান করে আমি তার আহবানে সাড়া দেই; সুতরাং তাদের উচিত আমার নির্দেশ মান্য করা এবং আমার প্রতি ঈমান আনা, যাতে তারা সরলপথ প্রাপ্ত হয়।
আল-বাকারাহ 2:187
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ ٱلصِّيَامِ ٱلرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَآئِكُمْۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّۗ عَلِمَ ٱللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْۖ فَٱلْـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبْتَغُوا۟ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمْۚ وَكُلُوا۟ وَٱشْرَبُوا۟ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلْخَيْطُ ٱلْأَبْيَضُ مِنَ ٱلْخَيْطِ ٱلْأَسْوَدِ مِنَ ٱلْفَجْرِۖ ثُمَّ أَتِمُّوا۟ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيْلِۚ وَلَا تُبَٰشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَٰكِفُونَ فِى ٱلْمَسَٰجِدِۗ تِلْكَ حُدُودُ ٱللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَاۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ ءَايَٰتِهِۦ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ
তোমাদের জন্য চিন্তার উত্তপ্ত কালের সিয়ামের রাতে তোমাদের অধিন্নস্ত নারীদেরও সিয়ামে সম্পৃক্ত করা জায়িয করা হয়েছে, তারা তোমাদের আচ্ছাদন আর তোমরা তাদের আচ্ছাদন (তোমরা একে অপরের পরিপূরক)। আল্লাহ জানতেন যে, তোমরা (তাদের সম্পৃক্ত না করে মূলতঃ) নিজেদের সঙ্গেই প্রতারণা করছিলে। সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিলেন। অতএব, এখন থেকে তোমরা তাদের সিয়ামে একই ধরনের বুঝে সম্পৃক্ত কর এবং খোঁজ/অনুসন্ধান/তালাশ কর আল্লাহর কিতাব তোমাদের জন্য যা কিছু তিনি বিধিবদ্ধ করেছেন তা লাভ কর এবং তোমরা আহার/গ্রাস/ধারন কর ও পান/শোষন/বুঝতে থাক যে পর্যন্ত তোমাদের জন্য কালো রেখা হতে ঊষাকালের সাদা রেখা প্রকাশ না পায় (অর্থাৎ আল্লাহর বিধান সমূহ দিবালোকের মত স্পষ্ট না হয়)। এভাবেই রাতের আগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর, (যাতে হিদায়াত থেকে অন্ধকারে চলে না যাও)আর মাসজিদে/আল্লাহর বিধানে ই’তিকাফ/সর্বদা লেগে থাক ও এ অবস্থায় কোন অবস্থায় সময়ের অপচয় করো না। এসব আল্লাহর আইন, কাজেই অপচয়ের নিকটবর্তী হয়ো না। আল্লাহ মানব জাতির জন্য নিজের আয়াত সমূহ বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা মুত্তাকী/আল্লাহ সচেতন হতে পারো।
এছাড়াও কোরআনে আরো কিছু আয়াত রয়েছে যেখানে সিয়াম পালনের তাগিদ রয়েছে। এই সিয়াম গুলি বিভিন্ন কৃত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট বলেই প্রতীয়মান। যদি কখনো কোন মুত্তাকী বা আল্লাহ সচেতন ব্যক্তি তার মুত্তাকী বৈশিষ্ট হারিয়ে ফেলে, কেবল মাত্র সে ক্ষেত্রেই ঐ রকম অপরাধ সংঘটিত করতে পারে তাই তার বা তাদের শাস্তি ও সংশোধনের জন্যই আল্লাহ পুনরায় সিয়ামের বিধান দিয়েছেন।
২ঃ১৯৬ – হজ্জ ওমরাহ তে তিন দিন ও সাত দিন সহ দশ দিনের সিয়াম।
৫ঃ৯৫ – অযাযিত ভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার আইন অমান্য করলে বা শিকার করে ফেললে স্থানীয় আইন সহ আল্লাহর বিধান বুঝতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক দিনের সিয়াম।
৪ঃ৯২ – বিশ্বাসী চিনতে না পেরে ভুল করে হত্যা করে ফেললে দুই মাসের সিয়াম।
৫ঃ৮৯ – শপথ ভংগের কাফফারার জন্য তিন দিনের সিয়াম।
৫৮ঃ০৪ – জিহারের মত অশ্লিল আহাম্মকির জন্যও দুই মাস সিয়াম।
লাইলাতাস-সিয়াম= সিয়ামের রাত।
২:১৮৭ আয়াতে সিয়ামের রাতে যা হালাল তা বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন হলো, সিয়ামের রাত কোনটা?
দিনে সিয়াম তার পরে যে রাত আসে সেটাই কি সিয়ামের রাত??
আল্লাহ যেহেতু “সিয়ামের রাত” উল্লেখ করেছেন, তাহলে সিয়ামের রাত মানে সিয়াম অবস্থায় যে রাত।
তাহলে ২:১৮৭ আয়াত মতে সিয়াম রাতে। এবং সেই অবস্থায় যা বৈধ তা উল্লেখ করা হয়েছে। যাহা অনেকে সিয়াম অবস্থায় অবৈধ জানে ও আলোচনা আছে।
বিষয়টি আমার কাছে আয়াত অনুযায়ী এরকমই লাগছে, আয়াতের অর্থও এটাই দাড়ায়।
হয়তো অনেক উপলব্ধি অন্য রকম হবে। আমার উপলব্ধি আয়াতের শাব্দিকভাবে এরকমই।
কুরআনের সাথে নিরব বিরোধ রয়েছে হাদীসের, এটা অনেকেই এখন বুঝতে পারতেছে।
তাই প্রচলিত সিয়ামও হাদীসের কঠিন একটি ষড়যন্ত্র। আয়াত ভালো করে না পড়লে বিষয়টি ধরতে পারা খুবই কঠিন একটি কাজ।